কোভিডের কারণে গোটা দেশ লকডাউন বন্দি। তারমধ্যেও রুপা ও রজত নীপার বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। পিউ যে তার মাসিকে বড্ড ভালোবাসে। তাছাড়া অনুপমও তো এখন কাজের সূত্রে বিদেশে রয়েছে। রুপা ও নীপা দুই বোনই খুব পরোপকারী। ভালো মনের মানুষ। কোভিডের টাইমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। রুপার স্বামী রজতও কখনো বাধা দেয়নি এসব ছোটোখাটো সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে। উল্টে তাদের কাজে হাত লাগিয়েছে। আর নীপার স্বামী অনুপম বেশিরভাগ সময়ই কাজের জন্যে দেশের বাইরে থাকে , তবে রজতের মতোই খুব সাপোর্টিভ।
বাবা মা চলে যাওয়ার পর রুপা ও নীপা দুজন দুজনের অবলম্বন হয়েছে। রজত তো তাও নিজের শ্বশুর শাশুড়ি কে দেখে গ্যাছে। অনুপম দেখেনি। আসলে রুপা ও নিপার মধ্যে বয়সের ডিফারেন্স ৯ বছর। কলেজে পড়তে পড়তে রুপার বিয়ে হয়ে যায় রজতের সাথে , অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। নীপা তখন খুবই ছোট , স্কুলে পড়ে। শ্যালিকা ও জামাইবাবুর মধ্যে দুষ্টু মিষ্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রথম থেকেই ছিল।
নীপার সাথে অনুপমের দেখা কলেজে। কলেজ লাইফের প্রেম , তারপর তা পরিণয় পাওয়া বিয়েতে। দিদির বেলায় মা বাবা সম্বন্ধ দেখে বিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু নীপার সময় তো মা বাবা পাশে ছিলোনা। মাধ্যমিকে উঠতে সে তার বাবা কে হারিয়েছিল , আর উচ্চমাধ্যমিকের সময়ে মা কে। দুজনেরই মৃত্যু অসুস্থতার কারণেই হয়েছিলো। বাবার হার্ট অ্যাট্যাক , তো মায়ের ক্যান্সার। তাই কলেজে উঠতে রুপা ও রজতই হয়ে উঠেছিল তার অভিভাবক।
কলেজ পাশ করে অনুপম ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায়। চাকরিতে স্থিতু হলে অনুপম নীপাকে বিয়ের প্রস্তাব দ্যায়। তারপর রজত ও রুপা দাঁড়িয়ে থেকে অনুপম ও নীপার চার হাত এক করে দ্যায়। নীপা অনুপমের সাথে সেট্লড্ হয়ে যাওয়ার পর রুপা ঝাড়া হাত পা হয় , এবং তখন তারা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিছুদিন পর রুপার কোল আলো করে রজতের ঘরে একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসে , যার নাম তারা রাখে পিউ।
সবকিছু এভাবেই খুব স্মুথলী চলছিলো। অনুপমকে মাঝে মাঝেই কাজের সূত্রে বিদেশে যেতে হতো। তখন রুপা ও রজত নীপাকে কোম্পানি দিতো যাতে ওর একা ফীল না হয়। এরকমই একটা সময় ছিল যখন লকডাউনের কারণে অনুপম দুবাইতে আটকে। রূপা রজত ও নীপা এই দুর্যোগের সময়ে যতোটা সম্ভব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো।
একদিন এক সন্ধ্যায় রজত ও রুপা নিজেদের মেয়ে পিউ কে নিয়ে নীপার বাড়িতে এসেছিলো। গল্পগুজব , আড্ডা ভালোমতোই চলছিলো। রাতে তাদের বাড়ি ফেরার সময়ে ছোট্ট পিউ জেদ ধরলো যে সে আজ মাসির সাথেই থাকবে। তাই রুপা রজত পিউ কে নীপার বাড়িতে রেখে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলো। আর সে সময়ে ঘটলো এক মস্ত বড়ো দূর্ঘটনা। উড়ালপুল দিয়ে যাওয়ার সময়ে রজতের গাড়িটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা নিচে এসে পড়লো। স্বামী স্ত্রী দুজনেই চরম আহত হলো। উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশগণ তাদেরকে হসপিটালে নিয়ে গেলো। নিপার কাছে খবর পৌঁছলো। নীপা তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পৌঁছলো। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল রুপার। ডাক্তার প্রায় জবাব দিয়ে দিয়েছিলো।
বাবা মা চলে যাওয়ার পর রুপা ও নীপা দুজন দুজনের অবলম্বন হয়েছে। রজত তো তাও নিজের শ্বশুর শাশুড়ি কে দেখে গ্যাছে। অনুপম দেখেনি। আসলে রুপা ও নিপার মধ্যে বয়সের ডিফারেন্স ৯ বছর। কলেজে পড়তে পড়তে রুপার বিয়ে হয়ে যায় রজতের সাথে , অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। নীপা তখন খুবই ছোট , স্কুলে পড়ে। শ্যালিকা ও জামাইবাবুর মধ্যে দুষ্টু মিষ্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রথম থেকেই ছিল।
নীপার সাথে অনুপমের দেখা কলেজে। কলেজ লাইফের প্রেম , তারপর তা পরিণয় পাওয়া বিয়েতে। দিদির বেলায় মা বাবা সম্বন্ধ দেখে বিয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু নীপার সময় তো মা বাবা পাশে ছিলোনা। মাধ্যমিকে উঠতে সে তার বাবা কে হারিয়েছিল , আর উচ্চমাধ্যমিকের সময়ে মা কে। দুজনেরই মৃত্যু অসুস্থতার কারণেই হয়েছিলো। বাবার হার্ট অ্যাট্যাক , তো মায়ের ক্যান্সার। তাই কলেজে উঠতে রুপা ও রজতই হয়ে উঠেছিল তার অভিভাবক।
কলেজ পাশ করে অনুপম ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায়। চাকরিতে স্থিতু হলে অনুপম নীপাকে বিয়ের প্রস্তাব দ্যায়। তারপর রজত ও রুপা দাঁড়িয়ে থেকে অনুপম ও নীপার চার হাত এক করে দ্যায়। নীপা অনুপমের সাথে সেট্লড্ হয়ে যাওয়ার পর রুপা ঝাড়া হাত পা হয় , এবং তখন তারা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিছুদিন পর রুপার কোল আলো করে রজতের ঘরে একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান আসে , যার নাম তারা রাখে পিউ।
সবকিছু এভাবেই খুব স্মুথলী চলছিলো। অনুপমকে মাঝে মাঝেই কাজের সূত্রে বিদেশে যেতে হতো। তখন রুপা ও রজত নীপাকে কোম্পানি দিতো যাতে ওর একা ফীল না হয়। এরকমই একটা সময় ছিল যখন লকডাউনের কারণে অনুপম দুবাইতে আটকে। রূপা রজত ও নীপা এই দুর্যোগের সময়ে যতোটা সম্ভব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো।
একদিন এক সন্ধ্যায় রজত ও রুপা নিজেদের মেয়ে পিউ কে নিয়ে নীপার বাড়িতে এসেছিলো। গল্পগুজব , আড্ডা ভালোমতোই চলছিলো। রাতে তাদের বাড়ি ফেরার সময়ে ছোট্ট পিউ জেদ ধরলো যে সে আজ মাসির সাথেই থাকবে। তাই রুপা রজত পিউ কে নীপার বাড়িতে রেখে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলো। আর সে সময়ে ঘটলো এক মস্ত বড়ো দূর্ঘটনা। উড়ালপুল দিয়ে যাওয়ার সময়ে রজতের গাড়িটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা নিচে এসে পড়লো। স্বামী স্ত্রী দুজনেই চরম আহত হলো। উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশগণ তাদেরকে হসপিটালে নিয়ে গেলো। নিপার কাছে খবর পৌঁছলো। নীপা তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পৌঁছলো। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল রুপার। ডাক্তার প্রায় জবাব দিয়ে দিয়েছিলো।