আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি, আমার ধারাবাহিকতা ধরে না রাখতে পারার জন্য। বিগত কয়েকমাস আমি হাজিরা খাতা মাসের প্রথম দিনেই আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি যা এমাসে সম্ভব হয়নি। আরো একটি কারনে এমনটি হতে পারে যে অফলাইন আড্ডার রেশ এখনও কাটাতে পারিনি মনেহয়।
বাবা সরকারী চাকুরে হলেও আমি কৃষক পরিবারেরই সন্তান। ছোটবেলায় সবরকম কৃষিকাজই করে এসেছি। সেখানে দেখতাম, ধান রোপনের কিছুদিন পর জমিটা কেমন যেন মিইয়ে গেছে, কিছু আগাছাও জন্মেছে। তখন আগাছাগুলি পরিষ্কার করে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিত। তাজ্জব ব্যাপার, দুদিন পর জমিতে গেলে নিজেদের জমি আমি নিজেই চিনতাম না। আমুল পরিবর্তন। পুরোটা যেন সবুজের সমারোহ হয়ে গেছে।
সেদিনের অফলাইন আড্ডাটা আমার কাছে ঠিক তেমনই মনে হয়েছে। আর এমন প্রাণখোলা আড্ডাও মনেহয় এর আগে এভাবে হয়নি। ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারির যেন পরিপূর্ণ চার্জ দেয়া হয়েছে দিয়াবাড়ীর ওই বটতলায়। আর আড্ডার পরিপূর্ণতা এনে দিয়েছিলেন আমাদের প্রান প্রিয় @monipuri মামা। উনার কেক, মিস্টি ধারাবাহীকতার একটা অংশ, কিন্তু উনি যা এনেছিলেন তা শুধু পরিবারের জন্য ছাড়া আমি কাওকে আনতে দেখিনি। মিস করিনি উনার বুকে বুক মিলাতে। উনি যা অর্জন করেছেন তা সবার ভাগ্যে জোটে না। এটা যে অটুট বন্ধনের একটা পরিবার, যিনি আসেননি তাকে বোঝানো যাবে না। তবে আপনারা সেটার কিছুটা আক্ষেপ নিন, তার জন্যই এখানে লেখা।
সেপ্টেম্বর মাসে হাজিরা শুধু জমেছে মাঝরাতের বেলায় কিন্তু সামগ্রিক হাজিরার সংখ্যা কমে গেছে। হয়তো অনেকেই ভুলে গেছেন যে হাজিরাও একটা গুরুত্বপূর্ণ শাখা। একমাত্র এখান থেকেই আপনি কিছু পেতে পারেন যা আপনার শোকেচে দেখাবে। অক্টোবরে এ সংখ্যা বাড়বে বলেই বিশ্বাস।
আমি বিগত ১৬ বছর ঢাকাতে বা তার আশেপাশে, এই ১৬ বছরে দেখেছি। কোন চাঞ্চল্যকর ঘটনার পেছনে অতি চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটে চলেছে। দেশ এখন চঞ্চল্যকর ঘটনায় পরিপূর্ণ। সাবধান থাকুন, যেন অতি চাঞ্চল্যকর কিছু ঘটলে আপনি তার আওতামুক্ত থাকতে পারেন।
সুস্থ থাকুন