রোমান এম্পায়ার হল প্রাচীন পৃথিবীর এক প্রবল পরাক্রান্ত এম্পায়ার। ইটালীর রোম শহর ছিল এর রাজধানী। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এই তিন মহাদেশ জুড়ে রোমান এম্পায়ার বিস্তৃত ছিল। তাদের সৈন্যবাহিনীর প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা আর অস্ত্র ছিল সে যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ।ভূমধ্যসাগরের চারদিকের সকল ভূমি তাদের দখলে ছিল। প্রথমে তারা ছিল প্যাগান।ঈসা ( আ) এর অনুসারীদের তারা অনেক টর্চার করে। পরে তারা নিজেরাই খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় ।
সম্পদশালী এ রাষ্ট্রের সম্পদের হাতছানিতে চারদিক থেকে বারবারিয়ানরা ( হান, অস্ট্রগোথ, ভিসিগোথ, ভেন্ডলসহ নানা জার্মানিক ট্রাইব) হামলে পড়ে। রোমকে টানা যুদ্ধ করে যেতে হয়।
এতবড় রাষ্ট্র শাসন করা দু:সাধ্য বলে সাম্রাজ্যকে পশ্চিম ও পূর্ব দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
বার্বারিয়ানদের আক্রমণে ওয়েস্টার্ন রোমান এম্পায়ার বিলুপ্ত হয়ে যায়। টিকে যায় ইস্টার্ন রোমান( বায়জান্টাইন) এম্পায়ার,যার রাজধানী বিখ্যাত কনস্টান্টিনোপল ( বর্তমানে ইস্তাম্বুল) নগরী। ইস্টার্ন রোমান এম্পায়ারের কাছ থেকে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় মুসলিমরা মিসর, সিরিয়া, ফিলিস্তীন ও আর্মেনীয়া জয় করে।
এদিকে কাস্পিয়ান সাগরের কাছে বাস করা তুর্কীরা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়। এদের নেতা সেলজুকের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ রাজ্য দ্যা গ্রেট সেলজুক এম্পায়ার।সেলজুকরা রাজ্য বিস্তার করতে করতে রোমানদের বর্ডারে এসে পৌছায়। সেলজুক সুলতান আলপ আর্সালান ১০৭১ সালে বিখ্যাত মালাজদিগার্ট/ মানজিকার্তের যুদ্ধে রোমান বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন এবং রোমান সম্রাটকে বন্দী করেন( বায়জান্টাইন ইতিহাসে প্রথম কোন সম্রাট বন্দী হল)। সুলতান সম্রাটের সাথে ভাল ব্যাবহার করে তাকে মুক্তি দেন এবং প্রায় পুরো আনাতোলিয়া(এশিয়া মাইনর) রোমান/ বায়জান্টাইনদের কাছ থেকে দখল করে সেলজুক সালতানাতের অংশ করে নেন। নিচে সেলজুক সালতানাতের মানচিত্র।
সেলজুক সুলতান মালিক শাহের মৃত্যুর পর তার সাম্রাজ্যে গৃহযুদ্ধ লাগে। সামাজ্য কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যায়। রোমানদের কাছ থেকে সেই ১০৭১ সালে দখল নেয়া আনাতোলিয়ায় এক সেলজুক প্রিন্স প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন এক সালতানাত। সালতানাতের নাম হয় সেলজুক সালতানাত অব রুম।
সম্পদশালী এ রাষ্ট্রের সম্পদের হাতছানিতে চারদিক থেকে বারবারিয়ানরা ( হান, অস্ট্রগোথ, ভিসিগোথ, ভেন্ডলসহ নানা জার্মানিক ট্রাইব) হামলে পড়ে। রোমকে টানা যুদ্ধ করে যেতে হয়।
এতবড় রাষ্ট্র শাসন করা দু:সাধ্য বলে সাম্রাজ্যকে পশ্চিম ও পূর্ব দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
বার্বারিয়ানদের আক্রমণে ওয়েস্টার্ন রোমান এম্পায়ার বিলুপ্ত হয়ে যায়। টিকে যায় ইস্টার্ন রোমান( বায়জান্টাইন) এম্পায়ার,যার রাজধানী বিখ্যাত কনস্টান্টিনোপল ( বর্তমানে ইস্তাম্বুল) নগরী। ইস্টার্ন রোমান এম্পায়ারের কাছ থেকে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় মুসলিমরা মিসর, সিরিয়া, ফিলিস্তীন ও আর্মেনীয়া জয় করে।
এদিকে কাস্পিয়ান সাগরের কাছে বাস করা তুর্কীরা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়। এদের নেতা সেলজুকের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ রাজ্য দ্যা গ্রেট সেলজুক এম্পায়ার।সেলজুকরা রাজ্য বিস্তার করতে করতে রোমানদের বর্ডারে এসে পৌছায়। সেলজুক সুলতান আলপ আর্সালান ১০৭১ সালে বিখ্যাত মালাজদিগার্ট/ মানজিকার্তের যুদ্ধে রোমান বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন এবং রোমান সম্রাটকে বন্দী করেন( বায়জান্টাইন ইতিহাসে প্রথম কোন সম্রাট বন্দী হল)। সুলতান সম্রাটের সাথে ভাল ব্যাবহার করে তাকে মুক্তি দেন এবং প্রায় পুরো আনাতোলিয়া(এশিয়া মাইনর) রোমান/ বায়জান্টাইনদের কাছ থেকে দখল করে সেলজুক সালতানাতের অংশ করে নেন। নিচে সেলজুক সালতানাতের মানচিত্র।
সেলজুক সুলতান মালিক শাহের মৃত্যুর পর তার সাম্রাজ্যে গৃহযুদ্ধ লাগে। সামাজ্য কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যায়। রোমানদের কাছ থেকে সেই ১০৭১ সালে দখল নেয়া আনাতোলিয়ায় এক সেলজুক প্রিন্স প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন এক সালতানাত। সালতানাতের নাম হয় সেলজুক সালতানাত অব রুম।