What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সফল হতে হলে যেসব বিষয় আপনাকে ত্যাগ করতে হবে (3 Viewers)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,427
Credits
283,140
Recipe pizza
Loudspeaker
সফলতা কার না কাম্য! এই সফলতা যেন মনে হয় আকাশের চাঁদ। মন প্রাণ ছুঁতে চায় কিন্তু সহজেই পারা যায় না। তবে সফল যারা তাদের কিছু কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যে আসলেই এই সফলতা তাদের প্রাপ্য ছিলো। খুব বেশি খড়কাঠ যে এর জন্য পোড়াতে হবে তাও কিন্তু নয়! গুটি কয়েক বিষয় এড়িয়ে চললে বা জীবন থেকে বাদ দিলেও আপনিও থকাতে পারেন সফলদের তালিকায়।

স্বাস্থ্যহানিকর এবং অনিয়মিত জীবনধারাকে না বলুন

“আপনার শরীরের যত্ন নিন। কারণ এতেই আপনার একমাত্র বসবাস।“- জিম রন

জীবনে যদি আপনি কিছু অর্জন করতে চান, তবেই এখানেই সবকিছুর শুরু। প্রথমত আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে এবং এই দুটি বিষয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে:

১. স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট

২. শরীরচর্চা

Te74HEn.jpg


রীরচর্চা - Source: Lifestyle — Milly

স্বল্পমেয়াদী মনোভাবটি মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন

“আপনার জীবন কিন্তু একটাই। কিন্তু এই জীবনের পথচলা যদি সঠিক হয়, তবে এই একটি জীবনই যথেষ্ট।“ ম্যায়ে ওয়েস্ট

সফল মানুষেরা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। আর তারা খুব ভালো করেই জানেন যে, স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা ঠিক কতোটা যুক্তিসঙ্গত। তাই এই বিষয়টি চর্চায় রাখতে হলে শুধুমাত্র করণীয় তালিকায় রেখে দিলেই চলবে না, বরং বাস্তবে রূপ দেয়ার উপায় বের করে নিতে হবে আপনাকেই। তবে অবশ্যই আপনার পর্যায় এবং অবস্থান বুঝে এগিয়ে যেতে হবে।
 
ছোটখাটো ভূমিকা পালন করা বাদ দিন

“ছোটখাটো ভূমিকা পালন করে সারা বিশ্বের জন্য কিছু করা আসলেই সম্ভব নয়। ছোট হওয়ার ব্যাপারে কোন উদবুদ্ধতা নেই যাতে করে আপনার চারপাশের মানুষের মনোভাব অনিশ্চিত হয়ে যায়। আমাদের সবার মাঝেই কিন্তু উদ্ভাসিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ঠিক শিশুদের মতো। আর তাও শুধু আমাদের কয়েক জনের মধ্যে নয়, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে। আমরা যদি নিজেদের সম্ভাবনাকে উদয় হতে দেই, তাহলে তা অন্যান্যরাও আপনা আপনি অনুপ্রাণিত হন। আমরা যখন আমাদের ভয় থেকে মুক্তি পাই, তখন অন্যেরাও আমাদের উপস্থিতিতে আপনা আপনি মুক্ত হয়ে যান।“- মারিয়ানা উইলিয়ামসন

VebelBg.png


Source: durefoods

আপনি যদি কখনোই কোন সুযোগের সদ্ব্যবহার না করেন বা আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ না দেয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি কখনোই নিজের সত্যিকার সম্ভাবনাকে বিস্তার করতে পারবো না। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে পিছপা না হয়ে সামনে এগিয়ে যান এবং অবশ্যই সাফল্যকে ভয় পাবেন না।

আপনার অজুহাতগুলোকে না বলুন

যারা সফল তারা জানেন যে, নিজেদের জীবনের জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। সেক্ষেত্রে তাদের শুরুর পথচলা, দুর্বলতা এবং পূর্বের কোন ব্যর্থতাই কোন প্রভাব ফেলে না। আপনার জীবনে পরবর্তীতে কী ঘটতে যাচ্ছে তার জন্য যে দায়ী আপনি নিজেই তা বুঝতে পারাটা কিন্তু একই সঙ্গে ভয়ানক এবং রোমাঞ্চকর। আর যখনই আপনি বিষয়টি বুঝতে পারেন, শুধুমাত্র তখনই আপনি সাফল্যের দেখা পাবেন। অজুহাতই আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নয়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। নিজের এবং নিজের জীবনের দায়িত্ব আপনি ছাড়া কেউ নিবে না– এই কথাটি চিরন্তন সত্যগুলোর মধ্যে একটি।
 
স্থির মানসিকতায় পরিবর্তন আনুন

“ভবিষ্যতের পথটা তাদের জন্যই সুগম হয় যারা নিজেদের দক্ষতা বাড়ান এবং তা সৃজনশীলতার সাথে সম্পৃক্ত করেন।“ – রবার্ট গ্রিন, মাস্টারি

স্থির মানসিকতার মানুষেরা বিশ্বাস করেন যে, তাদের বুদ্ধিমত্তা বা প্রতিভা সাধারণত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে ঘিরেই হয়ে থাকে। আর সেই একমাত্র প্রতিভাই কোন রকম শ্রম ছাড়াই তাদেরকে সাফল্য এনে দিবে। কিন্তু তাদের এই ধারণাটি তো একেবারেই ভুল! অন্যদিকে, সফল ব্যক্তিরা কিন্তু ঠিকই এই বিষয়টি বোঝেন। তারা প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ সময় ব্যয় করেন তাদের মানসিকতা উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য। এছাড়াও তারা নিত্য নতুন জ্ঞান আহরণ করেন, নতুন কিছু শিখেন এবং নিজেদের দক্ষ করে তোলেন এবং সর্বোপরি তাদের জীবনের উন্নয়নের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলেন। মনে রাখবেন, আপনি আজকে যেই পর্যায়ে আছেন, আগামীতেও সেই একই পর্যায়ে আপনি থাকবেন না বা তার চাইতেও ভালো কোন অবস্থানে থাকতে চাইবেন।

jnzbFY2.jpg


Source: Киев – carpediem

জাদুকরী উপায়ে সব হয়ে যাবে– এই ভাবনাটি ভুলে যান

“প্রতিদিন এবং প্রতিটি উপায়ে আমি ভালো থেকে উত্তমের পথে ধাবিত হচ্ছি।“ – এমিলে ক্যুইয়ে

রাতারাতি সাফল্যের বিষয়টি অনেকটা পৌরাণিক কথার মতোই। সফল ব্যক্তিরা এই বিষয়টি নিয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত যে, প্রতিদিন ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাই আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। তবে প্রতিদিনই পরের দিনের জন্য লক্ষ্য ঠিক করুন এবং প্রতিদিন শুধুমাত্র এক শতাংশ হলেও উন্নতি করার চেষ্টা করুন।
 
আপনার পরিপূর্ণতার মনোভাবকে ছাড় দিন

আমরা যতোই চেষ্টা করি না কেন, কোনকিছুই সবসময় একেবারে যথাযথ, ত্রুটিহীন বা পরিপূর্ণ হবে না। হেরে যাওয়ার ভয় (বা এমনকি সফলতার ভয়) প্রায়ই আমাদেরকে যেকোন পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যেতে বাঁধা দেয় বা এই মনোভাবটি নিয়ে আমরা একেবারেই থমকে যাই। এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বড় কোন ফলাফলের আশায় অপেক্ষায় বসে থাকলে অনেক কার্যকরী সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।

wDK8Cqx.png


পরিপূর্ণতা - Source: Climate CoLab

একসাথে একাধিক কাজ করা পরিহার করুন

“একাধিক কাজ করার অর্থ হলো অনেক কাজ একসাথে এলোমেলো করে ফেলা।“- জেরেমি ক্লার্কসন

সফলদের সাফল্যগাঁথায় এই বিষয়টি অপরিচিত কোন বিষয় নয়। তাই তারা প্রতিবার একটি করে কাজ হাতে নেন এবং দৃঢ় প্রত্যয় ও মনোযোগের সাথে তা সম্পন্ন করেন। তা যাই হোক না কেন– ব্যবসায়িক ধারণা, কথোপকথন বা শরীরচর্চা। একই সময়ে একটি কজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকাটা অপরিহার্য।
 
সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখাটা আপনার দখলে না রাখলেও চলবে

“কিছু বিষয় আমাদের ওপর নির্ভর করে, আর কিছু বিষয় করে না।“ – এপিকটেটাস, এথেন্সের দার্শনিক

এই দুটি বিষয়ের মধ্যকার পার্থক্য নির্ধারণ করা বেশ জরুরী। যেসব বিষয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই সেসব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে যেসব বিষয় আপনার দখলে আছে তাতে মনোযোগ দিন। আর এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন যে, কোন কিছুর ওপর আপনার মনোভাব স্থির করলেই তা আপনার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

LZFvQSJ.png


Source: ourmidland

যেসব বিষয় আপনার লক্ষ্যর সহায়ক নয় সেগুলোকে না বলতে শিখুন

“ছোটখাটো ত্যাগের মাধ্যমে অল্পস্বল্প অর্জন, আর বড়সড় ত্যাগের মাধ্যমে বিশাল কোন অর্জন পাওয়া সম্ভব। বড় কোন লক্ষ্য নির্ধারণ করলে যে বড় কোন ত্যাগ করতে হবে সি মানসিকতাটা থাকা প্রয়োজন।“ – জেমস্‌ অ্যালেন

সফল ব্যক্তিরা বিষয়টি বোঝেন যে, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাদের বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং সহকর্মীদের কিছু কাজ, চাহিদাকে না বলতে হবে। স্বল্পমেয়াদে আপনাকে তাৎক্ষনিক পরিতৃপ্তির বলিদান দিতে হলেও দীর্ঘমেয়াদে এর ফলাফল আপনাকে সন্তুষ্টি দিবে।
 
অতিরিক্ত ঘুমানো ত্যাগ করতে হবে , হাবিজাবি কাজ ত্যাগ করতে হবে এসব কই?
 
সফল আর হতে পারলাম কোথায়। জীবনের অর্ধেক সময় তো পার করেই ফেললাম। আগে এসব তথ্য জানলে ভালো হতো।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top