রমাদ্বান যাবার পরও সিয়ামের একটা রেশ রয়ে যায়। বিশেষ করে শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়ামের। এই ৬ সিয়াম পালনের ব্যাপারে হাদিসে বেশ উৎসাহ রয়েছে। এ বিষয়ক দুইটি হাদিস হচ্ছে :
.
১) مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ فَذَاكَ صِيَامُ الدَّهْرِ
.
"যে সারা রমাদ্বান সিয়াম পালন করলো এরপর শাওয়্যাল মাসে এর অনুগামী হয়ে আরও ছয়টি সিয়াম পালন করলো সে যেন সারা বছর সিয়াম পালন করল" [১]
.
এই হাদিসে الدَّهْرِ এর ব্যাখ্যায় কোনো কোনো ব্যাখ্যাকার সারা জীবনের অর্থও নিয়েছেন।
.
২) مَنْ صامَ رمضانَ، وسِتَّةَ أيامٍ مِن شوَّالٍ، فكأنَّما صامَ السَّنَةَ كُلَّها.
.
"যে রমাদ্বানে সিয়াম রাখলো এরপর শাওয়্যাল মাসে ছয়টি সিয়াম পালন করলো সে যেন গোটা বছরই সিয়াম পালন করলো"[২]
.
এই হাদিসগুলো পৃথক পৃথক সাহাবা হতে বর্ণিত, একটা আবু আইয়্যুব আনসারী (রা.) হতে, একটা জাবির বিন আব্দিল্লাহ (রা.) হতে। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আযাদ দাস সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত সহিহ বর্ণনাও রয়েছে। সুতরাং বর্ণনা অনেক, এবং এসকল বর্ণনা সামগ্রিকভাবে শাওয়্যালের ৬ সিয়ামের গুরুত্ব প্রমাণে যথেষ্ট।
.
হাসান বাসরী (রাহ.) এর নিকট এই সিয়ামের উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন :
.
: وَاللَّهِ لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ بِصِيَامِ هَذَا الشَّهْرِ عَنِ السَّنَةِ كُلِّهَا.
.
"আল্লাহর কসম, নিশ্চয় আল্লাহ এই মাসের ( এই সিয়ামের) মাধ্যমে আল্লাহ সারা বছরের জন্য সন্তুষ্ট হয়ে যান"[৩]
.
একারণে হানাফী, শাফিই ও হাম্বলীদের মতে এই সিয়াম মুস্তাহাব।[৪] তবে ইমাম মালিক (রাহ.) হতে তাঁর কোনো কোনো ছাত্র এই সিয়াম পালনকে মাকরূহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এর কারণ ছিল, তিনি মনে করতেন যদি রমাদ্বানের ঠিক পর পর কোনো বিরতি না দিয়ে এই সিয়াম পালন করা হয় তাহলে জাহিলরা একে আবশ্যিক কিছু মনে করবে।[৫]
.
কিন্তু এই সমস্যা যদি না থাকে? সেক্ষেত্রে ইমাম মালিকও (রাহ.) একে মুস্তাহাবই মনে করেন। বর্ণিত আছে :
.
وَاسْتَحَبَّ مَالِكٌ صِيَامَهَا فِي غَيْرِهِ خَوْفًا مِنْ إِلْحَاقِهَا بِرَمَضَانَ عِنْدَ الْجُهَّال.
.
"জাহিলদের নিকট এই সিয়াম রমাদ্বানের সাথে যুক্ত মনে হবে এমন ভীতি যদি না থাকে তাহলে ইমাম মালিকের মতে এই সিয়াম মুস্তাহাব"[৬]
.
সেক্ষেত্রে কারও কোনো দ্বিমত বা ইখতিলাফ বাকি থাকেনা এই সিয়ামের মুস্তাহাব হওয়া নিয়ে।
.
আল্লাহ তা'আলা তাওফিক দিন যেন আমরা তা আদায়ে সক্ষম হই। উল্লেখ্য যে এই ছয় সিয়াম একত্রেও আদায় করা যায় সারা মাস জুড়ে বিছিন্নভাবেও আদায় করা যায়। এতে কোনো সমস্যা নেই।
.
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে অনেক বোনের পিরিয়ডের কারণে রমাদ্বানের সিয়াম কাযা হয় তাঁরা অনেকেই কাযা আদায় না করে মুস্তাহাবের পেছনে পড়েন এটা অনুচিত। আল্লাহ আপনাকে ফরযের কাযার জন্য ধরবেন মুস্তাহাবের জন্য নয়। আর মৃত্যুর কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। কাজেই আগে কাযা পরে মুস্তাহাব ইন শা আল্লাহ।
.
.
[১) ইমাম মুসলিম (রাহ.), আস সহিহ, হা; ১১৬৪
২) ইমাম আহমাদ (রাহ.), আল মুসনাদ, হা: ১৪৪৭৭, আল্লামা শু'আইব আরনাউত্বের (রাহ.) মতে সহিহ লি-গাইরিহ
৩) ইমাম তিরমিযি (রাহ.), আস সুনান: ২/১২৫; তাহকীক : বাশশার আওয়্যাদ মা'রূফ
৪) ক) হাশিয়াতু ইবন আবিদিন : ২/৪৩৫
খ) আল মুগনী : ৩/১৭২
গ) আল মাউসু'আতুল ফিকহিয়্যাহ আল কুওয়াইতিয়্যাহ : ২৪/২৮১
৫) শরহুয যুরকানী আলাল মুওয়াত্তা : ২/৩০১
৬) মাওয়াহিবুল জালীল : ২/৪১৪]
সংগৃহীত
.
১) مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ فَذَاكَ صِيَامُ الدَّهْرِ
.
"যে সারা রমাদ্বান সিয়াম পালন করলো এরপর শাওয়্যাল মাসে এর অনুগামী হয়ে আরও ছয়টি সিয়াম পালন করলো সে যেন সারা বছর সিয়াম পালন করল" [১]
.
এই হাদিসে الدَّهْرِ এর ব্যাখ্যায় কোনো কোনো ব্যাখ্যাকার সারা জীবনের অর্থও নিয়েছেন।
.
২) مَنْ صامَ رمضانَ، وسِتَّةَ أيامٍ مِن شوَّالٍ، فكأنَّما صامَ السَّنَةَ كُلَّها.
.
"যে রমাদ্বানে সিয়াম রাখলো এরপর শাওয়্যাল মাসে ছয়টি সিয়াম পালন করলো সে যেন গোটা বছরই সিয়াম পালন করলো"[২]
.
এই হাদিসগুলো পৃথক পৃথক সাহাবা হতে বর্ণিত, একটা আবু আইয়্যুব আনসারী (রা.) হতে, একটা জাবির বিন আব্দিল্লাহ (রা.) হতে। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আযাদ দাস সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত সহিহ বর্ণনাও রয়েছে। সুতরাং বর্ণনা অনেক, এবং এসকল বর্ণনা সামগ্রিকভাবে শাওয়্যালের ৬ সিয়ামের গুরুত্ব প্রমাণে যথেষ্ট।
.
হাসান বাসরী (রাহ.) এর নিকট এই সিয়ামের উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন :
.
: وَاللَّهِ لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ بِصِيَامِ هَذَا الشَّهْرِ عَنِ السَّنَةِ كُلِّهَا.
.
"আল্লাহর কসম, নিশ্চয় আল্লাহ এই মাসের ( এই সিয়ামের) মাধ্যমে আল্লাহ সারা বছরের জন্য সন্তুষ্ট হয়ে যান"[৩]
.
একারণে হানাফী, শাফিই ও হাম্বলীদের মতে এই সিয়াম মুস্তাহাব।[৪] তবে ইমাম মালিক (রাহ.) হতে তাঁর কোনো কোনো ছাত্র এই সিয়াম পালনকে মাকরূহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এর কারণ ছিল, তিনি মনে করতেন যদি রমাদ্বানের ঠিক পর পর কোনো বিরতি না দিয়ে এই সিয়াম পালন করা হয় তাহলে জাহিলরা একে আবশ্যিক কিছু মনে করবে।[৫]
.
কিন্তু এই সমস্যা যদি না থাকে? সেক্ষেত্রে ইমাম মালিকও (রাহ.) একে মুস্তাহাবই মনে করেন। বর্ণিত আছে :
.
وَاسْتَحَبَّ مَالِكٌ صِيَامَهَا فِي غَيْرِهِ خَوْفًا مِنْ إِلْحَاقِهَا بِرَمَضَانَ عِنْدَ الْجُهَّال.
.
"জাহিলদের নিকট এই সিয়াম রমাদ্বানের সাথে যুক্ত মনে হবে এমন ভীতি যদি না থাকে তাহলে ইমাম মালিকের মতে এই সিয়াম মুস্তাহাব"[৬]
.
সেক্ষেত্রে কারও কোনো দ্বিমত বা ইখতিলাফ বাকি থাকেনা এই সিয়ামের মুস্তাহাব হওয়া নিয়ে।
.
আল্লাহ তা'আলা তাওফিক দিন যেন আমরা তা আদায়ে সক্ষম হই। উল্লেখ্য যে এই ছয় সিয়াম একত্রেও আদায় করা যায় সারা মাস জুড়ে বিছিন্নভাবেও আদায় করা যায়। এতে কোনো সমস্যা নেই।
.
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে অনেক বোনের পিরিয়ডের কারণে রমাদ্বানের সিয়াম কাযা হয় তাঁরা অনেকেই কাযা আদায় না করে মুস্তাহাবের পেছনে পড়েন এটা অনুচিত। আল্লাহ আপনাকে ফরযের কাযার জন্য ধরবেন মুস্তাহাবের জন্য নয়। আর মৃত্যুর কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। কাজেই আগে কাযা পরে মুস্তাহাব ইন শা আল্লাহ।
.
.
[১) ইমাম মুসলিম (রাহ.), আস সহিহ, হা; ১১৬৪
২) ইমাম আহমাদ (রাহ.), আল মুসনাদ, হা: ১৪৪৭৭, আল্লামা শু'আইব আরনাউত্বের (রাহ.) মতে সহিহ লি-গাইরিহ
৩) ইমাম তিরমিযি (রাহ.), আস সুনান: ২/১২৫; তাহকীক : বাশশার আওয়্যাদ মা'রূফ
৪) ক) হাশিয়াতু ইবন আবিদিন : ২/৪৩৫
খ) আল মুগনী : ৩/১৭২
গ) আল মাউসু'আতুল ফিকহিয়্যাহ আল কুওয়াইতিয়্যাহ : ২৪/২৮১
৫) শরহুয যুরকানী আলাল মুওয়াত্তা : ২/৩০১
৬) মাওয়াহিবুল জালীল : ২/৪১৪]
সংগৃহীত