পূর্ব ইতিহাস
জলি আর মলি , নাম শুনে অনেকে দুই বোন মনে করবেন। আসলে তেমন কিছু নয়, এরা দুই বান্ধবী ছিলো । ছিলো বলছি তার বিশেষ কারন আছে । স্কুল জীবনের প্রথম দিনেই পরিচয় জলি আর মলির , সে থেকে বান্ধবী । এক সময় বন্ধুত্ব এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকল যে দুজন কে আলাদা করা মুশকিল । সব কিছু দুজনে এক সাথে করে , এক রকম কাপর পরে , একজন কিছু করলে অন্য জনের ও তাই করা চাই । স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে দুই বান্ধবী একি কলেজে ভর্তি হলো । একাদশ শ্রেণী শেষ করে দ্বাদশ শ্রেণীতে পা রাখতেই জলির বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো।
পাত্র এত ভালো যে জলির বাবা মা এই পাত্র হাতছাড়া করতে রাজি নয় । বন্ধুত্ব হওয়ার পর থেকে জীবনে এই প্রথম এমন একটা সময় এলো যা দুই বান্ধবী এক সাথে করতে পারছে না। দুজনেই খুব দুঃখিত , কিন্তু কি বা করার আছে । দুঃখ নিয়েই জলি বিয়ের পিঁড়িতে বসলো , আর মলি বান্ধবীর বিয়েতে মন খারাপ করে ঘুরতে লাগলো । তবে বিধাতা হয়ত এই দুই বান্ধবীর এক সাথে সব কিছু করার সিলসিলা ভাংতে চায়নি । সেই বিয়ের আসরেই মলির বিয়ে ঠিক হলো । এই পাত্র ও এত ভালো যে মলির বাবা মা হাত ছাড়া করতে চাইলো না । আরও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো , পাত্র জলির বর এর নেংটো কালের বন্ধু । সবাই খুব খুসি , দুই বান্ধবীর বন্ধুত্ব এখন চিরকাল অটুট রইবে ।
সাধারনত আমরা দেখতে পাই মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে আগের বন্ধু বান্ধবী দের সাথে দূরত্ব তৈরি হয় । কিন্তু জলি আর মলির বর দুজনে কাছের বন্ধু হওয়ায় তেমনটা হলো না , নানা আচার অনুষ্ঠান এক সাথে উদযাপন করা , এক সাথে ঘুরতে যাওয়া । এসব এর কারনে জলি মলির বন্ধুত্ব আরও গভির হলো
এত গভিরে গেলো যে শেষে কুল তল খুঁজে না পেয়ে দিশা হারালো । এখন যদি দুজনের সম্পর্ক কে ডেস্ক্রাইব করতে হয় তাহলে একটি শব্দ ই আমার মাথায় আসছে “জানি দুষমন”। কিভাবে এই শত্রুতা শুরু হয়েছে তা কেউই বলতে পারবে না , অবশ্য হুট করে তো আর শুরু হয়নি প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নজরেও পরত না। কারন ওরা সব সময় একে অন্য কে ফলো করতো । কিন্তু বিয়ে পর ব্যাপারটা প্রতিযোগিতা মূলক হয়ে ওঠে।
এই প্রতিযোগিতা আরও প্রকট হয়ে যখন দুজনের স্বামীরা ঠিক করে এক সাথে ফ্লাট কিনবে । পাশাপাশি ফ্লাট, ঘণ্টায় ঘণ্টায় দেখা হয় , এটা ওটা কম্পেয়ার করে তারপর স্বামীদের গিয়ে চাপ দেয় । যেমন ধরেন , বিয়ের দুই বছর পর , জলি একদিন দুপুরে মলির বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে পা নাড়াতে নাড়াতে বলল…… এই শোন গত দুইমাস আমার মাসিক বন্ধ , আজ বলেছে ডাক্তার কাছে নিয়ে যাবে…… শুনে মলিআনন্দে লাফিয়ে উঠে বান্ধবিকে জড়িয়ে ধরেছিলো ঠিক ই তখন । কিন্তু রাতে স্বামী ফিরলে বায়না ধরলো তার ও মাসিক বন্ধের ইচ্ছা । স্বামী অনেক বুঝিয়েছে , কিন্তু লাভ হয়নি । ঠিক দুমাস পর মলিও জলির বাসায় গিয়ে জানিয়ে এসেছে ওর ও মাস দুই হলো মাসিক বন্ধ ।
আর বিধাতা জিনি জলির বিয়ের দিন দুই বান্ধবীর একসাথে সব কাজ করার যে সিলসিলা জারি রেখছিলেন তিনি আবারো দুজনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলো । দুজনের ই ছেলে হলো । না হয় কি হতো কে জানে , কারন ততদিনে প্রতিযোগিতা বিশ্রী রুপ ধারন করেছে । পাশাপাশি থাকা আর স্বামীদের বন্ধুত্বের কারনে রোজ রোজ দেখা হয় , এক সাথে মাঝ মাঝে ঘুরতেও যাওয়া হয় । কিন্তু আগের সেই বন্ধুত্বের জায়গা দখল করে নিয়েছে হিংসা ।
[HIDE]
ধিরে ধিরে মলি জলির ছেলেরা বড় হতে থাকে । এবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে , ছেলে দের নিয়ে । একজন নিজের ছেলের জন্য কিছু করলে অন্নজন সেটাকে ছাপিয়ে যেতে চাইত । নিজের ছেলে বান্ধবী/ শত্রুর ছেলের চেয়ে ভালো করলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেত । শহরের বেস্ট স্কুলে ভর্তি করায় ছেলে দের । এতে অবশ্য মলি আর জলির ছেলেদের মাঝেও দারুন বন্ধুত্ব তৈরি হয় ।
এভাবেই চলতে থাকে , তারপর একদিন মলি আর জলির জীবনে এমন একটা ঘটনা এক সাথে একি সময়ে ঘটে যা ওরা দুজনের কেউ চায়নি। হ্যাঁ সেই বিধাতা যে আগে আরও দুবার মলি আর জলির প্রতিযোগিতায় হস্তক্ষেপ করেছিলো । সে হয়ত তৃতীয় বারের মত ওদের প্রতিযোগিতা সমানে সমান রাখলো । ওদের দুজনের স্বামী একি দিনে একি সময় এক্সিডেন্ট করে মারা গেলো । দুই বন্ধু একি গাড়ি করে অফিস থেকে ফিরছিলো।
স্বামী হারানোর শোকে দুই বান্ধবীর রেষারেষি ভুলে যাওয়া উচিৎ ছিলো । কিন্তু তেমনটা হল না , উল্টো মলি দূরে চলে জাওয়র জন্য নিজেদের ফ্লাট বিক্রি করে বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া বাড়িতে উঠলো । দূরে চলে যাওয়ার পরও দুই জনের রেষারেষি অটুট রইলো , যদিও জলি আর্থিক ভাবে একটু দুর্বল হয়ে পরলো। তবে চলে যাওয়ার মত ছিলো , স্বামীর লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে ভালো টাকা পেয়েছে দুজনেই । বাড়তি হিসেবে মলি বাবার বাড়ির সম্পদ পেয়েছে । কিন্তু জলি দমে যাওয়ার পাত্রি ছিলো না , পুরা টক্কড় দিয়ে চলেছে বান্ধবীর সাথে । ছেলে কে সবচেয়ে দামি স্কুলে পড়িয়েছে ডলির ছেলের সাথে ।
জলি মলির সম্পর্ক দিন দিন খারাপের দিকে গেলেও , নিজেদের বাবাদের মত , জিসান আর মাহিন ততদিনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে । একজনের বাড়ি অন্যজনের যাতায়াত সব সময় আছে । জলি মলি নিজেদের মাঝে যতই কিছু করুক , ছেলেদের কখনো কম আদর করে না। জিসান যখন মাহিন দের বাড়ি আসে , তখন মলি আন্টি ওকে অনেক আদর করে । তবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওর মায়ের তথ্য নিয়ে নেয় ।
আবার একি রকম ভাবে মাহিন যখন জিসান এর বাড়ি যায় তখন জলি ও সেইম কাজ করে । মাহিন আর জিসান এই ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করে । এই নিয়ে দুই বন্ধ খুব হাসাহাসি করে নিজেদের মাঝে ।
ভালোই যাচ্ছিলো দুই বন্ধুর , দুজনেই টপ রেজাল্ট করে এস এস সি তে এবং একি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি হয় । প্রথম বর্ষ দুজনের ই দারুন কাটে । একে অন্যের বাড়িতে সময় কাটায় , মাঝে মাঝে দু বন্ধু মিলে শপিং মলে ঘুরে ঘুরে মেয়ে দেখে । কিন্তু নিজেদের বাবা দের পথে না হেটে মায়েদের পথে হাঁটা শুরু হয়ে । হঠাত করেই দুই বন্ধুর দেখা সাক্ষাত বন্ধ , এমন কি কলেজে দেখা হলেও কথা বলে না । এমন কি মলি আর জলি ও এই নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পরে । কিন্তু কেউই নিজেদের রাগ ভেঙ্গে এগিয়ে আসে না আলোচনার জন্য । এদিকে ছেলেদের পড়াশুনার মান দিন দিন খারাপ এর দিকে যেতে থাকে । জলি আর মলি চিন্তিত হয় , কিন্তু কেউ কারো কাছে হার মানতে নারাজ ।
[/HIDE]
জলি আর মলি , নাম শুনে অনেকে দুই বোন মনে করবেন। আসলে তেমন কিছু নয়, এরা দুই বান্ধবী ছিলো । ছিলো বলছি তার বিশেষ কারন আছে । স্কুল জীবনের প্রথম দিনেই পরিচয় জলি আর মলির , সে থেকে বান্ধবী । এক সময় বন্ধুত্ব এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকল যে দুজন কে আলাদা করা মুশকিল । সব কিছু দুজনে এক সাথে করে , এক রকম কাপর পরে , একজন কিছু করলে অন্য জনের ও তাই করা চাই । স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে দুই বান্ধবী একি কলেজে ভর্তি হলো । একাদশ শ্রেণী শেষ করে দ্বাদশ শ্রেণীতে পা রাখতেই জলির বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো।
পাত্র এত ভালো যে জলির বাবা মা এই পাত্র হাতছাড়া করতে রাজি নয় । বন্ধুত্ব হওয়ার পর থেকে জীবনে এই প্রথম এমন একটা সময় এলো যা দুই বান্ধবী এক সাথে করতে পারছে না। দুজনেই খুব দুঃখিত , কিন্তু কি বা করার আছে । দুঃখ নিয়েই জলি বিয়ের পিঁড়িতে বসলো , আর মলি বান্ধবীর বিয়েতে মন খারাপ করে ঘুরতে লাগলো । তবে বিধাতা হয়ত এই দুই বান্ধবীর এক সাথে সব কিছু করার সিলসিলা ভাংতে চায়নি । সেই বিয়ের আসরেই মলির বিয়ে ঠিক হলো । এই পাত্র ও এত ভালো যে মলির বাবা মা হাত ছাড়া করতে চাইলো না । আরও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো , পাত্র জলির বর এর নেংটো কালের বন্ধু । সবাই খুব খুসি , দুই বান্ধবীর বন্ধুত্ব এখন চিরকাল অটুট রইবে ।
সাধারনত আমরা দেখতে পাই মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে আগের বন্ধু বান্ধবী দের সাথে দূরত্ব তৈরি হয় । কিন্তু জলি আর মলির বর দুজনে কাছের বন্ধু হওয়ায় তেমনটা হলো না , নানা আচার অনুষ্ঠান এক সাথে উদযাপন করা , এক সাথে ঘুরতে যাওয়া । এসব এর কারনে জলি মলির বন্ধুত্ব আরও গভির হলো
এত গভিরে গেলো যে শেষে কুল তল খুঁজে না পেয়ে দিশা হারালো । এখন যদি দুজনের সম্পর্ক কে ডেস্ক্রাইব করতে হয় তাহলে একটি শব্দ ই আমার মাথায় আসছে “জানি দুষমন”। কিভাবে এই শত্রুতা শুরু হয়েছে তা কেউই বলতে পারবে না , অবশ্য হুট করে তো আর শুরু হয়নি প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নজরেও পরত না। কারন ওরা সব সময় একে অন্য কে ফলো করতো । কিন্তু বিয়ে পর ব্যাপারটা প্রতিযোগিতা মূলক হয়ে ওঠে।
এই প্রতিযোগিতা আরও প্রকট হয়ে যখন দুজনের স্বামীরা ঠিক করে এক সাথে ফ্লাট কিনবে । পাশাপাশি ফ্লাট, ঘণ্টায় ঘণ্টায় দেখা হয় , এটা ওটা কম্পেয়ার করে তারপর স্বামীদের গিয়ে চাপ দেয় । যেমন ধরেন , বিয়ের দুই বছর পর , জলি একদিন দুপুরে মলির বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে পা নাড়াতে নাড়াতে বলল…… এই শোন গত দুইমাস আমার মাসিক বন্ধ , আজ বলেছে ডাক্তার কাছে নিয়ে যাবে…… শুনে মলিআনন্দে লাফিয়ে উঠে বান্ধবিকে জড়িয়ে ধরেছিলো ঠিক ই তখন । কিন্তু রাতে স্বামী ফিরলে বায়না ধরলো তার ও মাসিক বন্ধের ইচ্ছা । স্বামী অনেক বুঝিয়েছে , কিন্তু লাভ হয়নি । ঠিক দুমাস পর মলিও জলির বাসায় গিয়ে জানিয়ে এসেছে ওর ও মাস দুই হলো মাসিক বন্ধ ।
আর বিধাতা জিনি জলির বিয়ের দিন দুই বান্ধবীর একসাথে সব কাজ করার যে সিলসিলা জারি রেখছিলেন তিনি আবারো দুজনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলো । দুজনের ই ছেলে হলো । না হয় কি হতো কে জানে , কারন ততদিনে প্রতিযোগিতা বিশ্রী রুপ ধারন করেছে । পাশাপাশি থাকা আর স্বামীদের বন্ধুত্বের কারনে রোজ রোজ দেখা হয় , এক সাথে মাঝ মাঝে ঘুরতেও যাওয়া হয় । কিন্তু আগের সেই বন্ধুত্বের জায়গা দখল করে নিয়েছে হিংসা ।
[HIDE]
ধিরে ধিরে মলি জলির ছেলেরা বড় হতে থাকে । এবার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে , ছেলে দের নিয়ে । একজন নিজের ছেলের জন্য কিছু করলে অন্নজন সেটাকে ছাপিয়ে যেতে চাইত । নিজের ছেলে বান্ধবী/ শত্রুর ছেলের চেয়ে ভালো করলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেত । শহরের বেস্ট স্কুলে ভর্তি করায় ছেলে দের । এতে অবশ্য মলি আর জলির ছেলেদের মাঝেও দারুন বন্ধুত্ব তৈরি হয় ।
এভাবেই চলতে থাকে , তারপর একদিন মলি আর জলির জীবনে এমন একটা ঘটনা এক সাথে একি সময়ে ঘটে যা ওরা দুজনের কেউ চায়নি। হ্যাঁ সেই বিধাতা যে আগে আরও দুবার মলি আর জলির প্রতিযোগিতায় হস্তক্ষেপ করেছিলো । সে হয়ত তৃতীয় বারের মত ওদের প্রতিযোগিতা সমানে সমান রাখলো । ওদের দুজনের স্বামী একি দিনে একি সময় এক্সিডেন্ট করে মারা গেলো । দুই বন্ধু একি গাড়ি করে অফিস থেকে ফিরছিলো।
স্বামী হারানোর শোকে দুই বান্ধবীর রেষারেষি ভুলে যাওয়া উচিৎ ছিলো । কিন্তু তেমনটা হল না , উল্টো মলি দূরে চলে জাওয়র জন্য নিজেদের ফ্লাট বিক্রি করে বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া বাড়িতে উঠলো । দূরে চলে যাওয়ার পরও দুই জনের রেষারেষি অটুট রইলো , যদিও জলি আর্থিক ভাবে একটু দুর্বল হয়ে পরলো। তবে চলে যাওয়ার মত ছিলো , স্বামীর লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে ভালো টাকা পেয়েছে দুজনেই । বাড়তি হিসেবে মলি বাবার বাড়ির সম্পদ পেয়েছে । কিন্তু জলি দমে যাওয়ার পাত্রি ছিলো না , পুরা টক্কড় দিয়ে চলেছে বান্ধবীর সাথে । ছেলে কে সবচেয়ে দামি স্কুলে পড়িয়েছে ডলির ছেলের সাথে ।
জলি মলির সম্পর্ক দিন দিন খারাপের দিকে গেলেও , নিজেদের বাবাদের মত , জিসান আর মাহিন ততদিনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে । একজনের বাড়ি অন্যজনের যাতায়াত সব সময় আছে । জলি মলি নিজেদের মাঝে যতই কিছু করুক , ছেলেদের কখনো কম আদর করে না। জিসান যখন মাহিন দের বাড়ি আসে , তখন মলি আন্টি ওকে অনেক আদর করে । তবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওর মায়ের তথ্য নিয়ে নেয় ।
আবার একি রকম ভাবে মাহিন যখন জিসান এর বাড়ি যায় তখন জলি ও সেইম কাজ করে । মাহিন আর জিসান এই ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করে । এই নিয়ে দুই বন্ধ খুব হাসাহাসি করে নিজেদের মাঝে ।
ভালোই যাচ্ছিলো দুই বন্ধুর , দুজনেই টপ রেজাল্ট করে এস এস সি তে এবং একি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি হয় । প্রথম বর্ষ দুজনের ই দারুন কাটে । একে অন্যের বাড়িতে সময় কাটায় , মাঝে মাঝে দু বন্ধু মিলে শপিং মলে ঘুরে ঘুরে মেয়ে দেখে । কিন্তু নিজেদের বাবা দের পথে না হেটে মায়েদের পথে হাঁটা শুরু হয়ে । হঠাত করেই দুই বন্ধুর দেখা সাক্ষাত বন্ধ , এমন কি কলেজে দেখা হলেও কথা বলে না । এমন কি মলি আর জলি ও এই নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পরে । কিন্তু কেউই নিজেদের রাগ ভেঙ্গে এগিয়ে আসে না আলোচনার জন্য । এদিকে ছেলেদের পড়াশুনার মান দিন দিন খারাপ এর দিকে যেতে থাকে । জলি আর মলি চিন্তিত হয় , কিন্তু কেউ কারো কাছে হার মানতে নারাজ ।
[/HIDE]