সন্তানের প্রতি পিতার দায়িত্ব কর্তব্যঃ-
ভবিষ ̈ৎ মানব প্রজন্মের জন ̈ এবং সুখ-শান্তিময় জীবন-যাপনের জন ̈ নর-নারীকে বৈধ ও অনুমোদিত বৈধ দাম্পত্য জীবন-
যাপন করতে হবে। নর-নারীর অবৈধ সম্পর্কের কারণে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তা সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয় এবং মানব
সমাজ ও সভ ̈তার জন ̈ তা মারাত্মক পরিণাম বয়ে আনে। শিশু-সন্তানের স্বাভাবিক সুস্থ-বিকাশের জন্য সন্তানের পিতামাতার
মধ্যে সম্প্রীতিময় দাম্পত্য-জীবন একান্ত অপরিহার্য। পিতামাতার মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহ বিবাদ থাকলে সন্তানের উপর
তার বিরূপ প্রভাব পড়ে।
সন্তানাকাক্সক্ষী পিতাকে সন্তান গর্ভে থাকাকালে সন্তানের মঙ্গলার্থেই গর্ভধারিণী মাতার স্বাস্থ্য রক্ষা, সুস্থ দেহ, মন-মানসিকতা
গঠন ও পবিত্র রাখা এবং হালাল খাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা কর্তব্য।
১. প্রাথমিক কর্তব্য: সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই পিতার ওপর কতগুলো গুরু দায়িত্ব ও কর্তব্য এসে পড়ে যা- পিতাকে অবশ ̈ই পালন করতে
হবে। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই শিশুর ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামত ধ্বনি শোনান।
৭ম দিবসে ইসলাম সম্মত নাম নির্বাচন করা ও সামর্থ ̈ অনুযায়ী আকীকা করা। ছেলে সন্তানের সময় মত খাৎনা করানো।
২. পরিচর্যা ও লালন-পালন: হৃদয় নিংড়ানো ঐকান্তিক দরদ, ভালবাসা ও স্নেহ মমতার কোমল পরশে সন্তানদেরকে অতি যত্ন সহকারে প্রতিপালন করা।
এ মর্মে আল্লাহর ঘোষণা: "সন্তান ও জননীর ভরণ-পোষণের ভার পিতার উপরই ন্যস্ত।"
শিশু-সন্তান মহান আল্লাহর বিশেষ নি'আমত এবং তাঁর পক্ষ হতে পিতা-মাতার নিকট রক্ষিত আমানত। তাই সন্তানের
জীবনের নিরাপত্তা, চিকিৎসা, রোগ মুক্ত রাখা, স্বাস্থবানরুপে গড়ে তোলা এবং জীবনের উন্নতি ও বিকাশকল্পে পিতাকে
যথোপযুক্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩. শিক্ষা-প্রশিক্ষণ দান: সুসন্তান হচ্ছে- জান্নাত বাগিচার পুষ্পতুল্য। শিশুরাই হচ্ছে উম্মাহর প্রস্ফুটিত ফুল- মানবতার ভবিষ ̈ৎ। সুতরাং সন্তানের
সুশিক্ষাই মুসলিম পিতার সর্বপ্রধান কর্তব্য।
মহানবী (স)-এর নিম্নে কয়েকটি বাণী : "কারো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার জন্য একটি উত্তম নাম রাখবে ও আদব
কায়দা শিক্ষা দেবে।"
"সাত বছর বয়স হলে তোমরা সন্তানদেরকে নামাযের আদেশ কর। দশ বছর বয়সে প্রয়োজনে শাস্তি দিয়ে নামায আদায়
করাও এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।" সন্তানকে সুনাগরিক করে গড়ে তোলার জন ̈ সন্তানকে প্রথম থেকেই আদব-
কায়দা ও সৌজন ̈তা শিক্ষা দেয়া ও পিতার কর্তব ̈। মহানবী (স) বলেছেন: "সন্তানকে সুশিক্ষা বা আদব-আখলাক শিক্ষা
দান করাই সন্তানের জন ̈ পিতার শ্রেষ্ঠ উপহার।"
৪. পুত্র-কন্যায় পার্থক্য না করা: পিতা-পুত্র ও কন্যার মধ্যে আদর-যত্নে, স্নেহ-মমতার ব্যাপারে কোন রকম পার্থক্য করবে না। বরং উভয়কে সমানভাবে স্নেহ
আদর করবেন। এমনকি কনা সন্তানকে একটু বেশি আদর-যত্ন করাও সুন্নাত।
সন্তান প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলে পিতা তার বিবাহের ব্যবস্থা করবেন। এ প্রসঙ্গে মহানবী (স) বলেনঃ "সন্তান বয়োপ্রাপ্ত হলে বিবাহ
দিবে- অন্যথা কোন পাপে লিপ্ত হলে পিতা দায়ী হবে।"
কোন কারণে কন্যা যদি স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্তা হয় কিংবা বিধবা বা অসহায় অবস্থায় পড়ে- তাকে সাদরে গ্রহণ করে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-আশ্রয় ও ভরণ-পোষণ করবেন। এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে যে "কন্যা যদি তোমার নিকট অসহায় হয়ে
ফিরে আসে তবে তার জন্য খরচ করাই তোমার জন ̈ সর্বশ্রেষ্ঠ সাদকা।"
৫. সন্তানের কল্যাণ কামনা করা: পিতা সর্বদা সন্তানের কল্যাণকামী হবেন এবং তাদের সৎপথে চালাবেন। তাদের জন্য দু'আ করবেন।
মহানবী (স) এ প্রসঙ্গে বলেনঃ তোমরা সন্তানদের বিপক্ষে কখনো বদ দু'আ করোনা।
মহান আল্লাহ কুরআনে শিক্ষা দিয়েছেন: "হে প্রভু! তুমি আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও। প্রভু আমার! তুমি দু'আ কবুল কর।"
মানব শিশু আল্লাহর নিয়ামত। কাজেই কখনও তাদের জন ̈ বদ দু'আ করা উচিত নয়। সন্তান কোন অন্যায় আচরণ করলে
তা সংশোধন করে দেওয়া পিতার কর্তব ̈।
মহানবী (স) বলেছেন : "তোমরা সন্তানদেরকে বদদু'আ করোনা।" -(মুসলিম)
৬. ধর্মের পথে পরিচালনা: ধর্মের পথে পরিচালনা : সন্তানকে ধর্মের পথে, সৎ, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করা পিতার অন ̈তম কর্তব ̈।
মহানবী (স) বলেছেন- "তোমরা সন্তানকে ৭ বছর বয়সের সময় নামাযের আদেশ দেবে এবং ১০ বছর বয়সের সময় প্রয়োজনে
মারবে।" (আবূ দাউদ)
সন্তানকে তাওহীদের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখা এবং যাবতীয় র্শিক থেকে দূরে রাখা পিতার দায়িত্ব। হযরত লুকমান (আ)
যেভাবে তাঁর সন্তানকে র্শিকমুক্ত থাকার জন ̈ উপদেশ দিয়েছিলেন- ঠিক তেমনিভাবে সকল পিতার ভ‚মিকা হওয়া উচিত।
হযরত লুকমান (আ) বলেছিলেন- আল−াহর বাণী :
"হে বৎস! আল্লাহর সাথে শিরক করো না।, নিশ্চয়ই শিরক মারাত্মক যুলুম।" (সূরা লুকমান - ১৩)
৭. বিলাসিতামুক্ত জীবনে অভস্ত করা:
সন্তানকে কষ্ট সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল এবং পরিি ̄'তি মোকাবিলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা উচিত। কেননা, সন্তানকে প্রথম
থেকে বিলাসিতা ও অলস প্রবণ করে গড়ে তোলা সন্তানের ভবিষ ̈তের জন ̈ মারাত্মক হতে পারে। কাজেই পিতাকে সে
দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
৮. মানসিক গঠন : শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভ‚মিকা সীমাহীন। মা তার সন্তানের মন-মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে।
মায়ের উন্নত চিন্তা, রুচি, ভাষা, ভাবধারা, আদব-কায়দা, তাহযীব-তামাদ্দুন-কৃষ্টি-সভ্যতা, ঐতিহ্য, আচার-আচরণ ইত্যাদি
শিশুর মন-মানস গড়ে তোলার সহায়ক হয়। কাজেই মাকে শিশুর মানসিক গঠন ও বিকাশে উত্তম ভ‚মিকা পালন করতে
হবে।
ভবিষ ̈ৎ মানব প্রজন্মের জন ̈ এবং সুখ-শান্তিময় জীবন-যাপনের জন ̈ নর-নারীকে বৈধ ও অনুমোদিত বৈধ দাম্পত্য জীবন-
যাপন করতে হবে। নর-নারীর অবৈধ সম্পর্কের কারণে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তা সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয় এবং মানব
সমাজ ও সভ ̈তার জন ̈ তা মারাত্মক পরিণাম বয়ে আনে। শিশু-সন্তানের স্বাভাবিক সুস্থ-বিকাশের জন্য সন্তানের পিতামাতার
মধ্যে সম্প্রীতিময় দাম্পত্য-জীবন একান্ত অপরিহার্য। পিতামাতার মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহ বিবাদ থাকলে সন্তানের উপর
তার বিরূপ প্রভাব পড়ে।
সন্তানাকাক্সক্ষী পিতাকে সন্তান গর্ভে থাকাকালে সন্তানের মঙ্গলার্থেই গর্ভধারিণী মাতার স্বাস্থ্য রক্ষা, সুস্থ দেহ, মন-মানসিকতা
গঠন ও পবিত্র রাখা এবং হালাল খাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা কর্তব্য।
১. প্রাথমিক কর্তব্য: সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই পিতার ওপর কতগুলো গুরু দায়িত্ব ও কর্তব্য এসে পড়ে যা- পিতাকে অবশ ̈ই পালন করতে
হবে। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরই শিশুর ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামত ধ্বনি শোনান।
৭ম দিবসে ইসলাম সম্মত নাম নির্বাচন করা ও সামর্থ ̈ অনুযায়ী আকীকা করা। ছেলে সন্তানের সময় মত খাৎনা করানো।
২. পরিচর্যা ও লালন-পালন: হৃদয় নিংড়ানো ঐকান্তিক দরদ, ভালবাসা ও স্নেহ মমতার কোমল পরশে সন্তানদেরকে অতি যত্ন সহকারে প্রতিপালন করা।
এ মর্মে আল্লাহর ঘোষণা: "সন্তান ও জননীর ভরণ-পোষণের ভার পিতার উপরই ন্যস্ত।"
শিশু-সন্তান মহান আল্লাহর বিশেষ নি'আমত এবং তাঁর পক্ষ হতে পিতা-মাতার নিকট রক্ষিত আমানত। তাই সন্তানের
জীবনের নিরাপত্তা, চিকিৎসা, রোগ মুক্ত রাখা, স্বাস্থবানরুপে গড়ে তোলা এবং জীবনের উন্নতি ও বিকাশকল্পে পিতাকে
যথোপযুক্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩. শিক্ষা-প্রশিক্ষণ দান: সুসন্তান হচ্ছে- জান্নাত বাগিচার পুষ্পতুল্য। শিশুরাই হচ্ছে উম্মাহর প্রস্ফুটিত ফুল- মানবতার ভবিষ ̈ৎ। সুতরাং সন্তানের
সুশিক্ষাই মুসলিম পিতার সর্বপ্রধান কর্তব্য।
মহানবী (স)-এর নিম্নে কয়েকটি বাণী : "কারো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার জন্য একটি উত্তম নাম রাখবে ও আদব
কায়দা শিক্ষা দেবে।"
"সাত বছর বয়স হলে তোমরা সন্তানদেরকে নামাযের আদেশ কর। দশ বছর বয়সে প্রয়োজনে শাস্তি দিয়ে নামায আদায়
করাও এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।" সন্তানকে সুনাগরিক করে গড়ে তোলার জন ̈ সন্তানকে প্রথম থেকেই আদব-
কায়দা ও সৌজন ̈তা শিক্ষা দেয়া ও পিতার কর্তব ̈। মহানবী (স) বলেছেন: "সন্তানকে সুশিক্ষা বা আদব-আখলাক শিক্ষা
দান করাই সন্তানের জন ̈ পিতার শ্রেষ্ঠ উপহার।"
৪. পুত্র-কন্যায় পার্থক্য না করা: পিতা-পুত্র ও কন্যার মধ্যে আদর-যত্নে, স্নেহ-মমতার ব্যাপারে কোন রকম পার্থক্য করবে না। বরং উভয়কে সমানভাবে স্নেহ
আদর করবেন। এমনকি কনা সন্তানকে একটু বেশি আদর-যত্ন করাও সুন্নাত।
সন্তান প্রাপ্ত বয়ষ্ক হলে পিতা তার বিবাহের ব্যবস্থা করবেন। এ প্রসঙ্গে মহানবী (স) বলেনঃ "সন্তান বয়োপ্রাপ্ত হলে বিবাহ
দিবে- অন্যথা কোন পাপে লিপ্ত হলে পিতা দায়ী হবে।"
কোন কারণে কন্যা যদি স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্তা হয় কিংবা বিধবা বা অসহায় অবস্থায় পড়ে- তাকে সাদরে গ্রহণ করে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-আশ্রয় ও ভরণ-পোষণ করবেন। এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে যে "কন্যা যদি তোমার নিকট অসহায় হয়ে
ফিরে আসে তবে তার জন্য খরচ করাই তোমার জন ̈ সর্বশ্রেষ্ঠ সাদকা।"
৫. সন্তানের কল্যাণ কামনা করা: পিতা সর্বদা সন্তানের কল্যাণকামী হবেন এবং তাদের সৎপথে চালাবেন। তাদের জন্য দু'আ করবেন।
মহানবী (স) এ প্রসঙ্গে বলেনঃ তোমরা সন্তানদের বিপক্ষে কখনো বদ দু'আ করোনা।
মহান আল্লাহ কুরআনে শিক্ষা দিয়েছেন: "হে প্রভু! তুমি আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও। প্রভু আমার! তুমি দু'আ কবুল কর।"
মানব শিশু আল্লাহর নিয়ামত। কাজেই কখনও তাদের জন ̈ বদ দু'আ করা উচিত নয়। সন্তান কোন অন্যায় আচরণ করলে
তা সংশোধন করে দেওয়া পিতার কর্তব ̈।
মহানবী (স) বলেছেন : "তোমরা সন্তানদেরকে বদদু'আ করোনা।" -(মুসলিম)
৬. ধর্মের পথে পরিচালনা: ধর্মের পথে পরিচালনা : সন্তানকে ধর্মের পথে, সৎ, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করা পিতার অন ̈তম কর্তব ̈।
মহানবী (স) বলেছেন- "তোমরা সন্তানকে ৭ বছর বয়সের সময় নামাযের আদেশ দেবে এবং ১০ বছর বয়সের সময় প্রয়োজনে
মারবে।" (আবূ দাউদ)
সন্তানকে তাওহীদের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখা এবং যাবতীয় র্শিক থেকে দূরে রাখা পিতার দায়িত্ব। হযরত লুকমান (আ)
যেভাবে তাঁর সন্তানকে র্শিকমুক্ত থাকার জন ̈ উপদেশ দিয়েছিলেন- ঠিক তেমনিভাবে সকল পিতার ভ‚মিকা হওয়া উচিত।
হযরত লুকমান (আ) বলেছিলেন- আল−াহর বাণী :
"হে বৎস! আল্লাহর সাথে শিরক করো না।, নিশ্চয়ই শিরক মারাত্মক যুলুম।" (সূরা লুকমান - ১৩)
৭. বিলাসিতামুক্ত জীবনে অভস্ত করা:
সন্তানকে কষ্ট সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল এবং পরিি ̄'তি মোকাবিলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা উচিত। কেননা, সন্তানকে প্রথম
থেকে বিলাসিতা ও অলস প্রবণ করে গড়ে তোলা সন্তানের ভবিষ ̈তের জন ̈ মারাত্মক হতে পারে। কাজেই পিতাকে সে
দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
৮. মানসিক গঠন : শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভ‚মিকা সীমাহীন। মা তার সন্তানের মন-মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে।
মায়ের উন্নত চিন্তা, রুচি, ভাষা, ভাবধারা, আদব-কায়দা, তাহযীব-তামাদ্দুন-কৃষ্টি-সভ্যতা, ঐতিহ্য, আচার-আচরণ ইত্যাদি
শিশুর মন-মানস গড়ে তোলার সহায়ক হয়। কাজেই মাকে শিশুর মানসিক গঠন ও বিকাশে উত্তম ভ‚মিকা পালন করতে
হবে।