XamanSaqib94
Member
গত সোমবার ব্যালন ডি'অর পোগ্রামে ভিনিসিয়াস জুনিয়র "সক্রেটিস এওয়ার্ড" জিতার পর অনেকের প্রশ্ন ছিলো কে এই।এওয়ার্ডটা কি গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের নামে? দার্শনিক সক্রেটিস নাহলে ফুটবলার সক্রেটিস টাই বা কে?
সক্রেটিস ডি সুজা ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার, যিনি কিনা আশির দশকের ব্রাজিলের সেরা ফুটবলারদের একজন, টেলে সান্তানার সেই ৮২'র ব্রাজিলের একজন তারকা।
সক্রেটিস শুনলে সবার আগে দার্শনিক সক্রেটিসের নাম মাথায় আসে, তার নামটা আসলে সক্রেটিসের সাথে মিল রেখেই রাখা হয় - কেননা পরিবার আগে থেকেই জ্ঞ্যানপিপাসু ছিলো। ছোটবেলা থেকেই অনেক দর্শনের বই, বিজ্ঞানের বই, ইতিহাসের বই পড়ে তিনি বড় হয়েছেন - এবং পরবর্তীতে এই জ্ঞ্যানটা কাজেও লাগিয়েছেন। যেকারনে তাকে সর্বজ্ঞ্যানী ফুটবলার বললেও ভুল হবেনা।
ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ছিলেন একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড। পরবর্তীতে তার স্কিল ও প্লে-মেকিং এবিলিটির কারনে নাম্বার টেন এটাকিং মিডফিল্ডারে পরিনত হন। এবং মডার্ন এটাকিং মিডফিল্ডার অথবা ডীপলায়িং প্লে-মেকার দের মতোন নিচ থেকে প্লে মেকিং টাও তিনি করতেন ঐ আশির দশকে।
লম্বায় তিনি ৬.৪ ফিট ছিলেন, যেকারনে এরিয়ালে ভালো ছিলেন এবং শুরুর দিকটায় স্ট্রাইকার ছিলেন। তবে তার আসল ক্যারিশমা ছিলো পায়েই। বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতোন শট নিতে পারতেন দারুন এক্যুরেসিতে, সাথে নিখুত পেনাল্টি ও ফ্রী-কিক। উনার পেনাল্টি নেওয়ার স্টাইলটা ছিলো ইউনিক, একটা মাত্র স্টেপে পেনাল্টি শট নিতেন। টাইট স্পেসেও দারুন বল কন্ট্রোল, ড্রিবলিং এর পাশাপাশি ভালো লিংকাপ করতে পারতেন।
এই উচ্চতার সাথে চুলের স্টাইল, হেডব্যান্ড ও মুখে দাড়ির জন্যে তাকে মাঠে খুব সহজেই চেনা যেতো, নান্দনিক গোল-এসিস্ট ছাড়াও। এছাড়াও তিনি মাঠে নজর কাড়তেন তার লিডারশীপ দিয়ে। ড্রেসিংরুমে তার ভালো একটা ইনফ্লুয়েন্স ছিলো তার, ১৯৮২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ক্যাপ্টেন ও ছিলেন।
ফুটবল ক্যারিয়ারে ম্যাক্সিমাম টাইমেই ছিলেন ব্রাজিলে। করিন্থিয়াসের হয়ে ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটান। মাঝে এক সিজন ইতালির ফিওরেন্টিনায় কাটিয়ে আবারো ব্রাজিলে ফিরেন ফ্লামেংগো তে খেলতে।
ব্রাজিলের হয়ে কিছু না জিতাটা সবসময়ের আফসোস! ব্রাজিলিয়ান সেরি-আ ও জিতেননি, তবে ৪ বার রাজ্যলীগ জিতেছেন করিন্থিয়াস ও ফ্লামেংগোর হয়ে।
তবে প্লেয়িং লাইফে থেকেই তিনি একজন প্রতিবাদী চরিত্র! ব্রাজিলের সেসময়কার স্বৈরশাসকদের বিপক্ষে তিনি নির্ভয়েই মুখ খুলতেন প্রতিনিয়ত। খেলা ছাড়ার পর ব্রাজিলের বামপন্থী রাজনীতি তে যোগ দেন।
খেলা ছাড়ার পর রাজনীতি ছাড়া লেখালেখিতেও মনোনিবেশ করেন। শুধু ফুটবলই না - পলিটিক্স, দর্শন, ইকোনোমিক্স নিয়েও পেপারে নিয়মিত লিখতেন এবং টিভি মিডিয়াতেও পোগ্রাম করতেন।
খেলা ছাড়ার পর মেডিসিনের উপর ব্যাচেলর ডিগ্রী নেন এবং ডাক্তারি প্র্যাক্টিস ও করতে থাকেন। যা কিনা একজন সাবেক ফুটবলারের জন্যে আনকমন একটা বেপার।
,
এতো জ্ঞ্যানী ও ক্যারিশম্যাটিক একটা পার্সন পার্সোনাল লাইফে কিংবা ফুটবলের প্র্যাক্টিসে খুব ডিসিপ্লিনড, হার্ডওয়ার্কিং ছিলেন না মোটেও! অন্যান্য ব্রাজিলিয়ানদের মতোন তার ও অনিয়ম আর আলকোহলের নেশা ছিলো। প্রচুর স্মোকিং ও ড্রিংক্স করতেন, খেলার মাঠে স্লো ছিলেন আর ওয়ার্করেট ও দিতেন কম। এটা ঠিক করতে যে হার্ডওয়ার্ক লাগে সেটাতে তার ভালো অনীহা ছিলো। তার নিজের কাছেই তিনি একজন আদর্শ এথলেট ছিলেন না।
মাত্রাতিরিক্ত এলকোহল সেবনের জন্যে জীবনের শেষ ৪ মাসে তিনবার আইসিইউতে ভর্তি হন, এবং ২০১১'র ৪ই ডিসেম্বর দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। ব্যাক্তিগতভাবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলেও ফুটবল মাঠে ও ফুটবল মাঠের বাইরের অবদানের জন্যে সক্রেটিস ডি সুজা দার্শনিক সক্রেটিসের সাথে নামে মিল থাকা একজন সাবেক ফুটবলার নন - নিজের অবদানেই পরিচিত একজন অলরাউন্ডার, একজন ক্যারিশম্যাটিক ফিগার ও।
সক্রেটিস ডি সুজা ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার, যিনি কিনা আশির দশকের ব্রাজিলের সেরা ফুটবলারদের একজন, টেলে সান্তানার সেই ৮২'র ব্রাজিলের একজন তারকা।
সক্রেটিস শুনলে সবার আগে দার্শনিক সক্রেটিসের নাম মাথায় আসে, তার নামটা আসলে সক্রেটিসের সাথে মিল রেখেই রাখা হয় - কেননা পরিবার আগে থেকেই জ্ঞ্যানপিপাসু ছিলো। ছোটবেলা থেকেই অনেক দর্শনের বই, বিজ্ঞানের বই, ইতিহাসের বই পড়ে তিনি বড় হয়েছেন - এবং পরবর্তীতে এই জ্ঞ্যানটা কাজেও লাগিয়েছেন। যেকারনে তাকে সর্বজ্ঞ্যানী ফুটবলার বললেও ভুল হবেনা।
ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ছিলেন একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড। পরবর্তীতে তার স্কিল ও প্লে-মেকিং এবিলিটির কারনে নাম্বার টেন এটাকিং মিডফিল্ডারে পরিনত হন। এবং মডার্ন এটাকিং মিডফিল্ডার অথবা ডীপলায়িং প্লে-মেকার দের মতোন নিচ থেকে প্লে মেকিং টাও তিনি করতেন ঐ আশির দশকে।
লম্বায় তিনি ৬.৪ ফিট ছিলেন, যেকারনে এরিয়ালে ভালো ছিলেন এবং শুরুর দিকটায় স্ট্রাইকার ছিলেন। তবে তার আসল ক্যারিশমা ছিলো পায়েই। বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতোন শট নিতে পারতেন দারুন এক্যুরেসিতে, সাথে নিখুত পেনাল্টি ও ফ্রী-কিক। উনার পেনাল্টি নেওয়ার স্টাইলটা ছিলো ইউনিক, একটা মাত্র স্টেপে পেনাল্টি শট নিতেন। টাইট স্পেসেও দারুন বল কন্ট্রোল, ড্রিবলিং এর পাশাপাশি ভালো লিংকাপ করতে পারতেন।
এই উচ্চতার সাথে চুলের স্টাইল, হেডব্যান্ড ও মুখে দাড়ির জন্যে তাকে মাঠে খুব সহজেই চেনা যেতো, নান্দনিক গোল-এসিস্ট ছাড়াও। এছাড়াও তিনি মাঠে নজর কাড়তেন তার লিডারশীপ দিয়ে। ড্রেসিংরুমে তার ভালো একটা ইনফ্লুয়েন্স ছিলো তার, ১৯৮২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ক্যাপ্টেন ও ছিলেন।
ফুটবল ক্যারিয়ারে ম্যাক্সিমাম টাইমেই ছিলেন ব্রাজিলে। করিন্থিয়াসের হয়ে ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটান। মাঝে এক সিজন ইতালির ফিওরেন্টিনায় কাটিয়ে আবারো ব্রাজিলে ফিরেন ফ্লামেংগো তে খেলতে।
ব্রাজিলের হয়ে কিছু না জিতাটা সবসময়ের আফসোস! ব্রাজিলিয়ান সেরি-আ ও জিতেননি, তবে ৪ বার রাজ্যলীগ জিতেছেন করিন্থিয়াস ও ফ্লামেংগোর হয়ে।
তবে প্লেয়িং লাইফে থেকেই তিনি একজন প্রতিবাদী চরিত্র! ব্রাজিলের সেসময়কার স্বৈরশাসকদের বিপক্ষে তিনি নির্ভয়েই মুখ খুলতেন প্রতিনিয়ত। খেলা ছাড়ার পর ব্রাজিলের বামপন্থী রাজনীতি তে যোগ দেন।
খেলা ছাড়ার পর রাজনীতি ছাড়া লেখালেখিতেও মনোনিবেশ করেন। শুধু ফুটবলই না - পলিটিক্স, দর্শন, ইকোনোমিক্স নিয়েও পেপারে নিয়মিত লিখতেন এবং টিভি মিডিয়াতেও পোগ্রাম করতেন।
খেলা ছাড়ার পর মেডিসিনের উপর ব্যাচেলর ডিগ্রী নেন এবং ডাক্তারি প্র্যাক্টিস ও করতে থাকেন। যা কিনা একজন সাবেক ফুটবলারের জন্যে আনকমন একটা বেপার।
,
এতো জ্ঞ্যানী ও ক্যারিশম্যাটিক একটা পার্সন পার্সোনাল লাইফে কিংবা ফুটবলের প্র্যাক্টিসে খুব ডিসিপ্লিনড, হার্ডওয়ার্কিং ছিলেন না মোটেও! অন্যান্য ব্রাজিলিয়ানদের মতোন তার ও অনিয়ম আর আলকোহলের নেশা ছিলো। প্রচুর স্মোকিং ও ড্রিংক্স করতেন, খেলার মাঠে স্লো ছিলেন আর ওয়ার্করেট ও দিতেন কম। এটা ঠিক করতে যে হার্ডওয়ার্ক লাগে সেটাতে তার ভালো অনীহা ছিলো। তার নিজের কাছেই তিনি একজন আদর্শ এথলেট ছিলেন না।
মাত্রাতিরিক্ত এলকোহল সেবনের জন্যে জীবনের শেষ ৪ মাসে তিনবার আইসিইউতে ভর্তি হন, এবং ২০১১'র ৪ই ডিসেম্বর দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। ব্যাক্তিগতভাবে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলেও ফুটবল মাঠে ও ফুটবল মাঠের বাইরের অবদানের জন্যে সক্রেটিস ডি সুজা দার্শনিক সক্রেটিসের সাথে নামে মিল থাকা একজন সাবেক ফুটবলার নন - নিজের অবদানেই পরিচিত একজন অলরাউন্ডার, একজন ক্যারিশম্যাটিক ফিগার ও।