What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সকাল সকাল ভোরে ঘুম থেকে উঠার যত উপকারিতা (1 Viewer)

Mashruhan Eshita

Expert Member
Joined
Jan 11, 2022
Threads
73
Messages
1,826
Credits
40,474
Lipstick
Audio speakers
Glasses sunglasses
Thermometer
Tomato
Cocktail Green Agave
আমরা জানি, ছোটবেলা থেকে বাবা-মা আমাদের এটাই শিখিয়ে এসেছেন যে “আর্লি টু বেড, অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ” সকাল সকাল ঘুমাতে যাও এবং সকাল সকাল উঠে পড়। গুরুজনে সকলেই বলে থাকেন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা করতে। হ্যা, সত্যিই ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অনেক প্রয়োজনীয়তা ও এর উপকারিতা রয়েছে। বারডেম হাসপাতালের একজন পরিচালক “অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী” বলেন, সারা দিন উজ্জীবিত থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই সকালে ওঠা উচিত। যারা সকাল সকাল ভোরে ঘুম থেকে উঠেন তারা সকালে উঠার উপকারিতা সম্পর্কে বেশ ভালো করে জানেন ও উপলব্ধি করতে পারেন –

মনোযোগঃ- সকাল সকাল ঘুম থেক উঠলে মন ও ব্রেইন ভোরে আবহাওয়ায় সারা দিনের জন্য সতেজ রাখে। এতে ভোরে ঘুম থেকে উঠলে আপনি ফ্রেস মনে পড়াশুনায় মন দিতে পারেন। কারন অন্য সময়ের থেকে ভোরের আবহাওয়ায় তাড়াতাড়ি মুখস্ত হয় এবং সহজেই সব কিছু মনে থাকে। তাছাড়া, আমাদের মধ্যে যাদের ছোট ভাই-বোনেরা আছে তারা পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না।

এক্টিভিটি বৃদ্ধিঃ- সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠলে সারাদিনের মধ্যে প্রায় পুরোটা সময় কাজে লাগানো যায়। বেশ কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যে সকল মানুষ সকাল সকাল ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, তারা অন্যদের তুলনায় বেশ এনার্জিটিক হয়ে থাকেন। তাদের যে কোন কাজ সম্পূর্ণ করতে খুব কম সময় নিয়ে থাকেন তারা। এমন কি কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে ও যেকোন পরিকল্পনা করতে এবং নিজের লক্ষ্যে অর্জন করতে সেরা হন তারা। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিশেষজ্ঞরা একটি সমীক্ষা করে বুঝতে পারে। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী সকাল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে যায়, তারা পড়াশোনাতে ও উচ্চশিক্ষাতে অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকে এবং তাদের পরীক্ষার বাকিদের তুলনায় যথেষ্ট ভালো ফলাফলও হয়।

সুস্থ জীবনঃ- আমরা তখনই সকালে তাড়াতাড়ি ওঠতে পারি, যদি আমরা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারি। সকাল সকাল আমাদের উঠতে হলে আগে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। মাঝে মাঝে বা একদিন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলেই চলবে না। নিয়মিত বজায় রাখতে হবে। তবেই তো আমাদের ঘুম ভালো হবে এবং আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারব। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সব থেকে ভালো উপকারিতাটি হলো নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখা। আমরা যখনই সকালে ঘুম থেকে উঠি, এবং বাইরে হাঁটি সূর্যের নরম আলোর ছোঁয়ায় ব্রেইন থেকে সব চিন্তা দূর হতে থাকে এবং এর থেকে শরীরে মনের মধ্যে একটা পজেটিভ এনার্জি কাজ করে থাকে। ফলে সারাদিনের সমস্ত কাজকর্ম ভালো যায় মন ফুরফুরে লাগে। তাছাড়া আমাদের সকালে ওঠার অভ্যাসটা দিনটাকে আরও একটু বড় করিয়ে দেয় যার ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠলে ঠিকমতো অফিস করে সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় ফিরে আসা সম্ভব।শরীর সুস্থ রাখতে সকাল সকাল একটু হাঁটা, কিছুটা ব্যায়াম করে নেয়া, সাথে সময় নিয়ে আমিষসমৃদ্ধ নাশতা খাওয়া, তবেই তো শরীরকে সুস্থ রাখবে।

যে সকল লোক ভেবে থাকেন ভোরে ওঠা অসম্ভব, তাদের জানা উচিত, “অভ্যাসই মানুষের স্বভাব গঠন করে” ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চাইলে ও রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পরিপূর্ণ ঘুম ও রাত জাগা থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রতিদিন পরিপূর্ণ ঘুম নিয়ে সকালে উঠতে হবে। তাছাড়া রাত জাগার কুফল অনেক, রাত জাগা নিয়ে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে অনেক। রাত জাগলে আমাদের শরীরে যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য থাকে তা স্বাভাবিক ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়।

তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সকালের শান্ত একটা পরিবেশের মধ্যে নিজের সারা দিনের কাজ গুলোর পরিকল্পনা করে নিজের মত সাজিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। ফোর্বস বলছেন- মন ও শরীর দুটোই ভালো রাখতে অধিকাংশ ব্যস্ত ও সফল মানুষরা সকাল সকাল উঠেই ব্যায়াম করে থাকেন। তাছাড়া সকালে অফিসে এলে যানবাহনের ঝামেলা খুব একটা পোহাতে হবে না। এ ছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সকালে হাঁটা এবং সকাল বেলা রুটিন মত নাশতা করা দরকার নয়তো সকালে ওঠার অভ্যাস না ব্যহিত হলে কোনো কিছুরই ঠিকমতো কাজে আসবে না।

নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে- রাত জেগে জেগে বা সময় মেইনটেইন না করে টেলিভিশন বা ল্যাপটপ দেখার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। রাত ১০টার পর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম টুইটার ইউটিউবসহ ইন্টারনেটের সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। এ সকল রাতজাগা ফাঁদে কোন মতেই পা দেওয়া যাবে না। রাতে শোবার ঘরে কম্পিউটার বা মুঠোফোন রাখা যাবে না বা হাতের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। রাতে খাবার আটটার মধ্যেই খেয়ে নিতে হবে। পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য ঘরের অন্ধকার ও ঠান্ডা পরিবেশটাও ঠিক রাখা আবশ্যক। সকালে ওঠার জন্য অ্যালার্ম রাখতে পারেন তবে ঘড়িটা নাগালের থেকে খানিকটা দূরে রাখুন এবং সেটা বাজলেই উঠে গিয়েই যেন আপনাকে বন্ধ করতে হয়। অ্যালার্ম বন্ধ করার পর মস্তিষ্ককে কিছু ভাবার সময় না দিয়ে দ্রুত রুম ত্যাগ বাইরে চলে আসুন। উঠেই ব্রাশ করা বা অন্য কোনো কাজ যেমন- ব্যায়াম, কিছুটা হাঁটা চলা করা ইত্যাদি মনমত করে দিন শুরু করুন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top