গায়ের রং দিয়ে মানুষকে বিচার করা চরম অন্যায়। সেই অন্যায়ের শেষ দেখতে চান বলিউড তারকা ইলিয়েনা ডি ক্রুজ। তাঁর পরের ছবি ‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’তে উঠে এসেছে বর্ণবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই ছবির ফার্স্টলুক শেয়ার করলেন ইনস্টাগ্রামে।
ইলিয়েনা এ মুহূর্তে ব্যস্ত ‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’র প্রস্তুতি নিয়ে। এ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে বলবিন্দর সিংয়ের। এর আগে তিনি ‘ষান্ড কি আঁখ’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। এ ছবিতে ইলিয়েনার বিপরীতে দেখা যাবে রণদীপ হুদাকে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র এমন এক নারীকে নিয়ে, যাঁকে নিজের গায়ের রঙের জন্য সমাজে নানা অন্যায় আর কুসংস্কারের মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিনিয়ত নিজের আর সমাজের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়।
ইলিয়েনা বলেন, ‘দুর্দান্ত চিত্রনাট্য। হাসতে হাসতে অনেক কঠিন কথা বলে হয়েছে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে মানবিক বার্তা। বর্ণবাদের গালে কষে চড় লাগানো হয়েছে। গায়ের রং হতে পারে সাদা, কালো কিংবা তামাটে। এর সঙ্গে সৌন্দর্যের কোনো সম্পর্ক নেই। সৌন্দর্য চিন্তায়, কাজে আর ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিবাচক শক্তিতে। ছবিটি সমাজে বর্ণ নিয়ে তৈরি করা প্রাচীর কিছুটা হলেও ভাঙতে, অন্তত নাড়া দিতে সক্ষম হবে।’
ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ, ইনস্টাগ্রাম
বলিউডে বর্ণবাদ নেই? এ প্রশ্নের উত্তরে ‘বরফি’খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘না, বলিউডে বর্ণবৈষম্য নেই। এখানে সব বর্ণের মানুষ কাজ করে খাচ্ছেন। আর তাঁরা সফলতার সিঁড়ি বেয়ে আকাশও ছুঁয়েছেন। আমি যা কিছু ঘৃণা করি, তার ভেতর একেবারে প্রথমেই বর্ণবৈষম্য। রাতের কালো আকাশ কী সুন্দর! তাই তো তারারা ঝিকিমিকি করতে পারে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে “সাদা মানে সুন্দর” এ ধারণা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।’
‘আনফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ ছবির মুক্তির দিনক্ষণ এখনো জানা যায়নি। ইলিয়েনাকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে ‘দ্য বিগ বুল’ ছবিতে। এ ছবিতে তিনি সাংবাদিক মীরা রাওয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ‘দ্য বিগ বুল’ ছবিতে মূল চরিত্রে ছিলেন অভিষেক বচ্চন।
ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ। এএফপি