ক্রাশখ্যাত রুপের রানী ঐশ্বরিয়া রায়ের রায়ের আজ ৪৭তম জন্মবার্ষিকী। মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট মাথায় নিয়ে বিশ্ব সুন্দরীর তকমা অর্জন করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
কর্মজীবনে রাই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রসহ চল্লিশটিরও অধিক হিন্দী, ইংরেজি, তামিল, এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী নারী হিসেবে ঐশ্বরিয়া, মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুভার (১৯৯৭) ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এবং প্রথম বাণিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮)-এ।
তিনি সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০২ সালে ভন্সালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে নামের পাশে বচ্চন পদবি জুড়েছেন। আরাধ্য বচ্চন নামে সাত বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে। বয়সকে হার মানিয়ে চিরসবুজ ঐশ্বরিয়া বড়পর্দায় বেছে বেছে কাজ করলেও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে প্রথম সারিতে থাকেন।
বাবা কৃষ্ণরাজ রাই একজন অবসরপ্রাপ্ত সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী। মা বৃন্দা রাই একজন লেখিকা। ১৯৯৪ সালে তিনি ভারতের প্রতিযোগী হিসেবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এ অংশ নিয়ে বিশ্বের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হোন।
দুই দশকের ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কারসহ জিতে নিয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। ভারত সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারও।