What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

রিকার্দ কাকা: ফুটবলের এক ল্যাটিন রাজপুত্র (1 Viewer)

Joined
Sep 21, 2022
Threads
21
Messages
143
Credits
3,127

২৪ এপ্রিল, ২০০৭, ওল্ড ট্রাফোর্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল চলছে। মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ইতালির সেই সময়ের দুই সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এসি মিলান। খেলায় তখন ১-১ এ সমতা । খেলার ২০ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে একটি থ্রু বল দিলেন মিলানের ডাচ মিডফিল্ডার সেদোর্ফ। বলটিকে চেস করছিলেন মিলানের ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার । সেই ব্রাজিলিয়ান কে তখন ধরার চেষ্টা করছিলেন ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ । আবার একই সময় তাকে ডান দিক থেকে ক্লোজ করার চেষ্টা করেন আরেক ইউনাইটেড ডিফেন্ডার প্যাট্রিস ইব্রা। কিন্তু ইব্রা বা হেইঞ্জ কেউই সেই ব্রাজিলিয়ান কে স্পর্শ করতে পারলেন না ;উল্টো ২ ডিফেন্ডারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এদিকে দুই ডিফেন্ডারকে সুনিপুণভাবে কাটিয়ে ঠিকই ডি বক্সে ঢুকে পড়েন সেই ব্রাজিলিয়ান এবং বলটি ঠিকই ইউনাইটেডের গোল কিপার এডউইন ভ্যান ডার সার কে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেয়। আর এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ছিলেন রিকার্ডো কাকা।

২০০১ সালে রিও দি জনিরো ও সাও পাওলোর ক্লাব গুলোকে নিয়ে হওয়া রীও - সাও পাওলো টুর্নামেন্টে প্রথম আলোচনায় আসেন কাকা। সেই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে তার দল সাও পাওলো ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। তখন সাব হিসেবে মাঠে নামেন কিশোর কাকা। নেমেই ২ মিনিটের ভেতর গোল করেন কাকা। এর ১২০ সেকেন্ড পর আবারো গোল সেই কাকার এবং সেটি তাঁর দলকে জয় এনে দেয়। এরপর টুর্নামেন্টটি প্রথমবারের মতো জিতে নেয় কাকার দল সাও পাওলো । এরপর থেকেই আলোচনা হতে থাকে কাকার নাম। সেই গোল দুটি করার ১১ মাস পরেই লুই ফিলিপে স্কোলারির ব্রাজিল দলে ডাক পান কাকা। সেই কল আপে বলিভিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় কাকার। এরপরই আসে ২০০২ বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের ২৩ সদস্যের দলে জায়গা পান কাকা। সেই সময় একজন ইয়াং ট্যালেন্ট হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। সেই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মাত্র ১৮ মিনিট । কিন্তু এরপর ও অর্জন করেছিলেন বিশ্বকাপের উইনার মেডেল ও মহামূল্যবান অভিজ্ঞতা।

বিশ্বকাপের পর তার দল সাও পাওলো আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে থাকে। তখন কাকার জন্য যোগাযোগ করে লেভারকুনসেন, ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড এর মত ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালের আগস্টে মাত্র ৮ মিলিয়ন ডলারে কার্লো আনচেলত্তির এসি মিলানে পাড়ি দেন ২১ বছর বয়সী কাকা। সেই সময় এসি মিলানে আগে থেকেই ছিল রিভালদো, কাফু, দিদা ও সেরজিনহোর মত বড় বড় ব্রাজিলিয়ান তারকা। এটি কাকাকে মিলানে আসতে বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল। মিলানে প্রথম সিজনে করেন ১৪ গোল। মিলান সেই সিজনে জিতে নেয় সিরি আ। কাকার পারফরমেন্স ছিল দারুন। সে তার পায়ের ভেতর দিক বা বাইরের দিক, ২ দিক দিয়েই সমান তালে গোল করতে পারতো, হেডারেও ছিলেন দারুন, ফার্স্ট টাচেও গোল করার দক্ষতা ছিল তার আর সাথে লং রেঞ্জে শুট করে গোল করার দক্ষতা তো ছিলই। কাকার বিষয়ে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সে একজন ল্যাটিন ফুটবলার হওয়ার পরও তার খেলার স্টাইল ছিল অনেকটাই ইউরোপিয়ান। ন্যাচারল ব্রাজিলিয়ান স্কিল ও পাসিং এবিলিটি তো ছিলই কিন্তু একই সাথে ছিলেন ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মতো ফাস্ট ও পাওয়ারফুল। এই গুণগুলোর মিশেল তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল । কাকা মিলানে তার প্রথম সিজনে হন ইটালিয়ান ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার। ব্রাজিল ও মিলান , দুই দলের হয়েই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যান কাকা এবং দলের অপরিহার্য অংশে পরিণত হন। ২০০৫ সালের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যে ম্যাচে লিভারপুল মিলানের সাথে ৩-০ তে পিছিয়ে পড়েও কাম ব্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল সেই ম্যাচেও মিলানের ৩টি গোলেই এসিস্ট করেছিলেন কাকা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হয়নি সেবার। এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপেও ব্রাজিল বাদ পড়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেখানেও কাকা করেছিলেন এক গোল এক এসিস্ট। এরপর ২০০৭ সালে এসি মিলানের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ক্যাম্পেইন কাকা ১০ গোল করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ওই টুর্নামেন্ট এর সেমি ফাইনালেই ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড এর বিপক্ষে করেছিলেন সেই দুর্দান্ত গোলটি । যা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল। সেই সিজন শেষে তরুণ মেসি ও রোনালদোকে হারিয়ে হন ব্যালন ডি'অর জয়ী। কার্লো আনচেলত্তির মিলানে কাকা ক্লাব ফুটবলের সকল প্রকার শিরোপা জিতে নেন। তিনি উয়েফা সুপার কাপেও গোল করেন এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হন। এরপর কাকার প্রতি অন্যান্য বড় ক্লাবগুলো তুমুল আগ্রহ দেখাতে থাকে। সেই সময় নতুন বিত্তবান হওয়া ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি কাকার জন্য বড় একটি অফার করে । কিন্তু মিলান সেই অফার ফিরিয়ে দেয়।

এরপর ২০০৯ সালে পুনরায় মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট হয়ে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ৭০ মিলিয়ন ইউরোতে কাকাকে রিয়াল মাদ্রিদে নিয়ে আসেন। রিয়াল মাদ্রিদে কাকার প্রথম সিজন খুব একটা খারাপ কাটেনি। কিন্তু ২০১০ সালে হাঁটুর ইনজুরিত কাকার খেলার উপর বড় প্রভাব ফেলে। আত্মবিশ্বাসের অভাব, আগের দক্ষতা হারিয়ে , সেই সময়কার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিস্ফোরক পারফরমেন্সের কারণে এক সময় শুরুর একাদশ থেকে ছিটকে যান কাকা।

মাদ্রিদ থেকে ২০১৩ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে এক সিজনের জন্য ফেরত যান নিজের পুরোনো ক্লাব মিলানে। বয়স ও ইনজুরির কারণে আগের সেই পুরনো ঝলক দেখাতে না পারলেও , মাঝে মাঝে দারুন কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। মিলানে এক সিজন কাটিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে এমএলএস এ। সেখানে অরল্যান্ডোর হয়ে খেলেন কাকা। সেখান থেকে আবার হাফ সিজনের জন্য লোনে ফেরত যান নিজের প্রথম ক্লাব সাও পাওলোতে। ২০১৭ সালে সকল ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন কাকা।

কাকার ক্যারিয়ারকে মোটা দাগে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। এক ভাগ ২০১০ পূর্ববর্তী ও আরেক ভাগ ২০১০ পরবর্তী। প্রথম ভাগটাই ছিল তার ক্যারিয়ার এর বর্ণালী সময় বা প্রাইম। হয়তো ইনজুরি না থাকলে কাকার থেকে আরো কিছু দেখতে পেতাম আমরা। ফুটবলে কাকার থেকে ভালো স্ট্যাট এর প্লেয়ার হয়তো অনেক আছে এবং আসবে কিন্তু তার সেই মন্ত্রমুগ্ধ করা খেলা এখনও সবাই মিস করে।

বর্তমান প্রজন্মের বড় একটা অংশের ফুটবল ফ্যান হওয়ার প্রধান কারণ কাকা। কাকা কে তার ৪২তম শুভ জন্মদিন।
✍ Souhardo Islam ষিক্ত
#সংগ্রহীত#সংগ্রহীত
 

২৪ এপ্রিল, ২০০৭, ওল্ড ট্রাফোর্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল চলছে। মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ইতালির সেই সময়ের দুই সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও এসি মিলান। খেলায় তখন ১-১ এ সমতা । খেলার ২০ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে একটি থ্রু বল দিলেন মিলানের ডাচ মিডফিল্ডার সেদোর্ফ। বলটিকে চেস করছিলেন মিলানের ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার । সেই ব্রাজিলিয়ান কে তখন ধরার চেষ্টা করছিলেন ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ । আবার একই সময় তাকে ডান দিক থেকে ক্লোজ করার চেষ্টা করেন আরেক ইউনাইটেড ডিফেন্ডার প্যাট্রিস ইব্রা। কিন্তু ইব্রা বা হেইঞ্জ কেউই সেই ব্রাজিলিয়ান কে স্পর্শ করতে পারলেন না ;উল্টো ২ ডিফেন্ডারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এদিকে দুই ডিফেন্ডারকে সুনিপুণভাবে কাটিয়ে ঠিকই ডি বক্সে ঢুকে পড়েন সেই ব্রাজিলিয়ান এবং বলটি ঠিকই ইউনাইটেডের গোল কিপার এডউইন ভ্যান ডার সার কে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেয়। আর এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ছিলেন রিকার্ডো কাকা।

২০০১ সালে রিও দি জনিরো ও সাও পাওলোর ক্লাব গুলোকে নিয়ে হওয়া রীও - সাও পাওলো টুর্নামেন্টে প্রথম আলোচনায় আসেন কাকা। সেই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে তার দল সাও পাওলো ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। তখন সাব হিসেবে মাঠে নামেন কিশোর কাকা। নেমেই ২ মিনিটের ভেতর গোল করেন কাকা। এর ১২০ সেকেন্ড পর আবারো গোল সেই কাকার এবং সেটি তাঁর দলকে জয় এনে দেয়। এরপর টুর্নামেন্টটি প্রথমবারের মতো জিতে নেয় কাকার দল সাও পাওলো । এরপর থেকেই আলোচনা হতে থাকে কাকার নাম। সেই গোল দুটি করার ১১ মাস পরেই লুই ফিলিপে স্কোলারির ব্রাজিল দলে ডাক পান কাকা। সেই কল আপে বলিভিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয় কাকার। এরপরই আসে ২০০২ বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের ২৩ সদস্যের দলে জায়গা পান কাকা। সেই সময় একজন ইয়াং ট্যালেন্ট হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। সেই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মাত্র ১৮ মিনিট । কিন্তু এরপর ও অর্জন করেছিলেন বিশ্বকাপের উইনার মেডেল ও মহামূল্যবান অভিজ্ঞতা।

বিশ্বকাপের পর তার দল সাও পাওলো আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে থাকে। তখন কাকার জন্য যোগাযোগ করে লেভারকুনসেন, ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড এর মত ক্লাব। শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালের আগস্টে মাত্র ৮ মিলিয়ন ডলারে কার্লো আনচেলত্তির এসি মিলানে পাড়ি দেন ২১ বছর বয়সী কাকা। সেই সময় এসি মিলানে আগে থেকেই ছিল রিভালদো, কাফু, দিদা ও সেরজিনহোর মত বড় বড় ব্রাজিলিয়ান তারকা। এটি কাকাকে মিলানে আসতে বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল। মিলানে প্রথম সিজনে করেন ১৪ গোল। মিলান সেই সিজনে জিতে নেয় সিরি আ। কাকার পারফরমেন্স ছিল দারুন। সে তার পায়ের ভেতর দিক বা বাইরের দিক, ২ দিক দিয়েই সমান তালে গোল করতে পারতো, হেডারেও ছিলেন দারুন, ফার্স্ট টাচেও গোল করার দক্ষতা ছিল তার আর সাথে লং রেঞ্জে শুট করে গোল করার দক্ষতা তো ছিলই। কাকার বিষয়ে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সে একজন ল্যাটিন ফুটবলার হওয়ার পরও তার খেলার স্টাইল ছিল অনেকটাই ইউরোপিয়ান। ন্যাচারল ব্রাজিলিয়ান স্কিল ও পাসিং এবিলিটি তো ছিলই কিন্তু একই সাথে ছিলেন ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মতো ফাস্ট ও পাওয়ারফুল। এই গুণগুলোর মিশেল তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল । কাকা মিলানে তার প্রথম সিজনে হন ইটালিয়ান ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার। ব্রাজিল ও মিলান , দুই দলের হয়েই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যান কাকা এবং দলের অপরিহার্য অংশে পরিণত হন। ২০০৫ সালের ইস্তানবুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যে ম্যাচে লিভারপুল মিলানের সাথে ৩-০ তে পিছিয়ে পড়েও কাম ব্যাক করতে সক্ষম হয়েছিল সেই ম্যাচেও মিলানের ৩টি গোলেই এসিস্ট করেছিলেন কাকা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হয়নি সেবার। এরপর ২০০৬ বিশ্বকাপেও ব্রাজিল বাদ পড়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেখানেও কাকা করেছিলেন এক গোল এক এসিস্ট। এরপর ২০০৭ সালে এসি মিলানের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ক্যাম্পেইন কাকা ১০ গোল করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ওই টুর্নামেন্ট এর সেমি ফাইনালেই ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড এর বিপক্ষে করেছিলেন সেই দুর্দান্ত গোলটি । যা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল। সেই সিজন শেষে তরুণ মেসি ও রোনালদোকে হারিয়ে হন ব্যালন ডি'অর জয়ী। কার্লো আনচেলত্তির মিলানে কাকা ক্লাব ফুটবলের সকল প্রকার শিরোপা জিতে নেন। তিনি উয়েফা সুপার কাপেও গোল করেন এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হন। এরপর কাকার প্রতি অন্যান্য বড় ক্লাবগুলো তুমুল আগ্রহ দেখাতে থাকে। সেই সময় নতুন বিত্তবান হওয়া ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি কাকার জন্য বড় একটি অফার করে । কিন্তু মিলান সেই অফার ফিরিয়ে দেয়।

এরপর ২০০৯ সালে পুনরায় মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট হয়ে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ৭০ মিলিয়ন ইউরোতে কাকাকে রিয়াল মাদ্রিদে নিয়ে আসেন। রিয়াল মাদ্রিদে কাকার প্রথম সিজন খুব একটা খারাপ কাটেনি। কিন্তু ২০১০ সালে হাঁটুর ইনজুরিত কাকার খেলার উপর বড় প্রভাব ফেলে। আত্মবিশ্বাসের অভাব, আগের দক্ষতা হারিয়ে , সেই সময়কার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিস্ফোরক পারফরমেন্সের কারণে এক সময় শুরুর একাদশ থেকে ছিটকে যান কাকা।

মাদ্রিদ থেকে ২০১৩ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে এক সিজনের জন্য ফেরত যান নিজের পুরোনো ক্লাব মিলানে। বয়স ও ইনজুরির কারণে আগের সেই পুরনো ঝলক দেখাতে না পারলেও , মাঝে মাঝে দারুন কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। মিলানে এক সিজন কাটিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে এমএলএস এ। সেখানে অরল্যান্ডোর হয়ে খেলেন কাকা। সেখান থেকে আবার হাফ সিজনের জন্য লোনে ফেরত যান নিজের প্রথম ক্লাব সাও পাওলোতে। ২০১৭ সালে সকল ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন কাকা।

কাকার ক্যারিয়ারকে মোটা দাগে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। এক ভাগ ২০১০ পূর্ববর্তী ও আরেক ভাগ ২০১০ পরবর্তী। প্রথম ভাগটাই ছিল তার ক্যারিয়ার এর বর্ণালী সময় বা প্রাইম। হয়তো ইনজুরি না থাকলে কাকার থেকে আরো কিছু দেখতে পেতাম আমরা। ফুটবলে কাকার থেকে ভালো স্ট্যাট এর প্লেয়ার হয়তো অনেক আছে এবং আসবে কিন্তু তার সেই মন্ত্রমুগ্ধ করা খেলা এখনও সবাই মিস করে।

বর্তমান প্রজন্মের বড় একটা অংশের ফুটবল ফ্যান হওয়ার প্রধান কারণ কাকা। কাকা কে তার ৪২তম শুভ জন্মদিন।
✍ Souhardo Islam ষিক্ত
#সংগ্রহীত#সংগ্রহীত
kaka is my fevarist player.
 
আমার ছোটবেলার ফুটবল স্টার। প্রিয় খেলোয়াড় যার কোন হেটার্স নেই
 
সে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ব্রাজিলের
 

Users who are viewing this thread

Back
Top