রংপুরে মাজারের খাদেম ও আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী হত্যা মামলায় জেএমবি’র আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল (৩০), দিনাজপুরের বিরামপুরের সরওয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান (৩৩), চাঁন্দু মিয়া (২০), বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি (৩০)। এদের মধ্যে চান্দু মিয়া পলাতক রয়েছে।
এ সময় জেএমবির আরেক নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীসহ ছয়জনকে খালাস প্রদান করা হয়। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ মার্চ বাদী ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন বিচারক।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা, পল্লী চিকিত্সক ও মাজারের খাদেম রহমত আলীকে বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে চৈতার মোড় নামক স্থানে তাকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের পুত্র এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর গত ১৬ বছরের আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে এই মামলার বিচার শুরু করেন বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার।