এই প্রথম এই সাইট এ একটি গল্প পোস্ট করতে যাচ্ছি , সবাই সাথে থাকবেন আর কোন সাজেশন থাকলে জানাবেন । বানান ভুল আমার চির সঙ্গী তাই নিজ গুনে ক্ষমা করবেন ।
এই গল্পের সব কিছু কাল্পনিক স্থান কাল পাত্র পাত্রি কোন কিছুর সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই । আমি এই গল্প সম্পূর্ণ নিজে লিখছি আমি অন্য কোন সাইট এ এই গল্প পোস্ট করি নি আর করব ও না যদি কেও অন্য সাইট এ কপি করতে চান আগে অনুমতি নিয়ে নিবেন আশা করি ।
১
কাঞ্ছনাপুর একটি ছোট কিন্তু অনেক সমৃদ্ধ রাজ্য । মনিপুর, মোহনগঞ্জ , রায়বাগ, গৌরি নগর , মিঠা পুর , ও স্বর্ণ দ্বিপ এই অঞ্চল নিয়ে কাঞ্ছনাপুর রাজ্য । মনিপুর কাঞ্চনাপুর এর রাজধানী ।এই রাজ্যের আয়তন মাত্র ৮৬ হাজার বর্গ মাইল । এর জনসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ । এই রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থান খুব ই গুরুত্ত পূর্ণ । আসে পাসে যত রাজ্য আছে তাদের সব বনিক কাফেলা এই রাজ্য হয়ে যেতে হয় । এই রাজ্যের সমুদ্র বন্দর সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর সবদেশের জাহাজ এই বন্দর এ নোঙ্গর ফেলে । আপাত দৃষ্টি তে অন্য রাজ্যের রাজারা কাঞ্ছনাপুর এর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলে ও মনে মনে কাঞ্ছনাপুর দখল করার সপ্ন লালন করে ।
এই রাজ্যের বর্তমান রাজা জিতেন্দ্র । রাজা জিতেন্দ্র গত ৭ বছর যাবত সিংহাসন এ বসেছেন । সিংহাসন এ বসার পর থেকে তিনি শান্তিতে নেই । রাজা হওয়ার পর থেকে তার পিছনে শত্রু লেগেই আছে । এই পর্যন্ত দুইবার তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে । এই ৭ বছর এ তাকে ৪ বার যুদ্ধে যেতে হয়েছে ।
এই সব কিছুর পিছনে রয়েছে তার সৎ ভাই মহেন্দ্র এটা রাজা জিতেন্দ্র ভালো করেই জানেন । কিন্তু কয়েকবার সুযোগ পেয়ে ও তিনি নিজ ভাইকে হোক সে সৎ মারতে পারে নি ।
জিতেন্দ্র যখন সিংহাসন এ বসে তখন সে ৩০ বছর এর ঝলমলে যুবক । কিন্তু এই ৭ বছর এ যেন তার বয়স ২০ বছর বেড়ে গেছে । যুদ্ধ কোন বিষয় নয় । জিতেন্দ্র তার বাবার শাসন এর সময় অনেক বার যুদ্ধে গিয়েছেন । সবচে বেশি যে ব্যাপার টা দুখী করেছে তা হল ওর বাবার কাছে করা শেষ প্রতিজ্ঞা । জিতেন্দ্রের বাবা মৃত্যু শয্যায় রাজা গবিন্দ নিজের বড় ছেলে কে একাকী ডেকে বলেছিলেন । বাবা আমি তমাদের দুই ভাই এর মধ্যে রাজ্য ভাগ করে দিতে পারলে খুব খুশি হতাম । কিন্তু সেই নিয়ম নেই । তাই নিয়ম মতো আমি তোমাকে রাজা ঘোষণা করলাম । কিন্তু বাবা তুমি তোমার ছোট ভাই এর উপর কোন দিন কঠোর হইও না । আমি জানি সে তোমাকে অনেক বিরক্ত করবে কিন্তু বাবা তুমি ওকে সামলে নিও । প্রয়োজনে শাস্তি দিও কিন্তু একেবারে মেরে ফেলো না ।
বাবার শেষ কথা জিতেন্দ্র এতদিন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসেছে । কিন্তু আর পারছে না । রাজা হওয়ার পর জিতেন্দ্র মহেন্দ্র কে দুটি বিশাল শহর এর শাসক বানায় । জিতেন্দ্রর সভাসদ রা জিতেন্দ্র কে নিষেধ করার পর ও জিতেন্দ্র তাদের কোথায় কান দেয়েনি । কিন্তু এর ফল জিতেন্দ্র হাতে নাতে পেয়ে যায় । মহেন্দ্র কে মোহনগঞ্জ আর স্বর্ণ দ্বিপ এর শাসন ভার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে মহেন্দ্র নিজেকে রাজা ঘোষণা করে ও মিঠা পুর দখল করে নেয়ে । মহেন্দ্র ছাড়া ও জিতেন্দ্রর দুই সৎ বোন আছে এদের একজন হিমানী । যার বিয়ে হয় ভিম সিং এর সাথে ভিম সিং ছিল গৌরি নগর এর গভর্নর । ভিম সিং ও মহেন্দ্র এর সাথে যোগ দেয় ।
সিংহাসন এ বসার ৬ মাসের মধ্যে জিতেন্দ্র প্রায় রাজ্য হারা হওার অবস্থায় এসে দারায় । জিতেন্দ্রর হাতে থাকে সুধু রাজধানী মনিপুর আর রায়বাগ । জিতেন্দ্র কে দুর্বল শাসক ভেবে অনেক সভাসদ মহেন্দ্রর সাথে যোগ দেয়ে । কিন্তু জিতেন্দ্র সেই বিদ্রহ কঠিন হাতে দমন করে এবং মহেন্দ্র আর ভিম সিং কে বন্দি করে । কিন্তু বাবার শেষ অনুরধ আর বোন হিমানির অনুনয় এর কারনে ওদের কোন শাস্তি না দিয়ে প্রাসাদ এ নজর বন্দি করে রাখে । অদিকে গৃহ যুদ্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষিন আঞ্ছল এর রাজা যবন রায় কাঞ্ছনাপুর আক্রমন করে বসে ।
জিতেন্দ্র কে আবার সেনা নিয়ে রওনা হতে হয় । হিমানী ও ভিম সিং অনেক কাকুতি মিনতি করে ভিম সিং কে আর একবার সুযোগ দেয়ার জন্য । জিতেন্দ্র ভিম সিং কে নিজের সেনা পতি করে নেয়ে । সেই যুদ্ধে ভিম সিং অনেক বীরত্ব প্রদর্শন করে আবার জিতেন্দ্রর আস্থা অর্জন করে নেয়ে । জিতেন্দ্র আবার ভিম সিং কে গৌরি নগর এর গভর্নর করে পাঠায় ।
কিন্তু মহেন্দ্রর কোন পরিবর্তন নেই সে তেমন ই আছে । একটু ও পরিতাপ তার মধ্যে নজর আসে না । হঠা ৎ একদিন মহেন্দ্র পালিয়ে যায় এবং অনেক খুজে ও ওকে পাওওা যায় না । এর কিছুদিন পর খবর আসে যে একদল মুখোশ ধারি লোক মনিপুর এর আসে পাসে গ্রাম গুলিতে লুট তরাজ করছে । জিতেন্দ্র তাদের দমন করার জন্য সেনা পাঠায় । কিন্তু কিছুদিন পর খবর আসে যে এরা মামুলি ডাকাত নয় অনেক সংগঠিত এবং সংখ্যায় অনেক । তাই জিতেন্দ্র নিজে ই ডাকাত দের সাথে বোঝা পড়া করার জন্য রওনা হয় । সেই ডাকাত দল কে পরাজিত করতে জিতেন্দ্রর প্রায় ৩ মাস সময় লেগেছিল । কিন্তু সরদার পালিয়ে গিয়েছিল বলতে গেলে জিতেন্দ্র ওকে পালিয়ে যেতে দিয়েছিল । কারন সরদার আর কেও নয় রাজার ভাই মহেন্দ্র ।
এই গল্পের সব কিছু কাল্পনিক স্থান কাল পাত্র পাত্রি কোন কিছুর সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই । আমি এই গল্প সম্পূর্ণ নিজে লিখছি আমি অন্য কোন সাইট এ এই গল্প পোস্ট করি নি আর করব ও না যদি কেও অন্য সাইট এ কপি করতে চান আগে অনুমতি নিয়ে নিবেন আশা করি ।
১
কাঞ্ছনাপুর একটি ছোট কিন্তু অনেক সমৃদ্ধ রাজ্য । মনিপুর, মোহনগঞ্জ , রায়বাগ, গৌরি নগর , মিঠা পুর , ও স্বর্ণ দ্বিপ এই অঞ্চল নিয়ে কাঞ্ছনাপুর রাজ্য । মনিপুর কাঞ্চনাপুর এর রাজধানী ।এই রাজ্যের আয়তন মাত্র ৮৬ হাজার বর্গ মাইল । এর জনসংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ । এই রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থান খুব ই গুরুত্ত পূর্ণ । আসে পাসে যত রাজ্য আছে তাদের সব বনিক কাফেলা এই রাজ্য হয়ে যেতে হয় । এই রাজ্যের সমুদ্র বন্দর সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর সবদেশের জাহাজ এই বন্দর এ নোঙ্গর ফেলে । আপাত দৃষ্টি তে অন্য রাজ্যের রাজারা কাঞ্ছনাপুর এর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলে ও মনে মনে কাঞ্ছনাপুর দখল করার সপ্ন লালন করে ।
এই রাজ্যের বর্তমান রাজা জিতেন্দ্র । রাজা জিতেন্দ্র গত ৭ বছর যাবত সিংহাসন এ বসেছেন । সিংহাসন এ বসার পর থেকে তিনি শান্তিতে নেই । রাজা হওয়ার পর থেকে তার পিছনে শত্রু লেগেই আছে । এই পর্যন্ত দুইবার তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে । এই ৭ বছর এ তাকে ৪ বার যুদ্ধে যেতে হয়েছে ।
এই সব কিছুর পিছনে রয়েছে তার সৎ ভাই মহেন্দ্র এটা রাজা জিতেন্দ্র ভালো করেই জানেন । কিন্তু কয়েকবার সুযোগ পেয়ে ও তিনি নিজ ভাইকে হোক সে সৎ মারতে পারে নি ।
জিতেন্দ্র যখন সিংহাসন এ বসে তখন সে ৩০ বছর এর ঝলমলে যুবক । কিন্তু এই ৭ বছর এ যেন তার বয়স ২০ বছর বেড়ে গেছে । যুদ্ধ কোন বিষয় নয় । জিতেন্দ্র তার বাবার শাসন এর সময় অনেক বার যুদ্ধে গিয়েছেন । সবচে বেশি যে ব্যাপার টা দুখী করেছে তা হল ওর বাবার কাছে করা শেষ প্রতিজ্ঞা । জিতেন্দ্রের বাবা মৃত্যু শয্যায় রাজা গবিন্দ নিজের বড় ছেলে কে একাকী ডেকে বলেছিলেন । বাবা আমি তমাদের দুই ভাই এর মধ্যে রাজ্য ভাগ করে দিতে পারলে খুব খুশি হতাম । কিন্তু সেই নিয়ম নেই । তাই নিয়ম মতো আমি তোমাকে রাজা ঘোষণা করলাম । কিন্তু বাবা তুমি তোমার ছোট ভাই এর উপর কোন দিন কঠোর হইও না । আমি জানি সে তোমাকে অনেক বিরক্ত করবে কিন্তু বাবা তুমি ওকে সামলে নিও । প্রয়োজনে শাস্তি দিও কিন্তু একেবারে মেরে ফেলো না ।
বাবার শেষ কথা জিতেন্দ্র এতদিন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসেছে । কিন্তু আর পারছে না । রাজা হওয়ার পর জিতেন্দ্র মহেন্দ্র কে দুটি বিশাল শহর এর শাসক বানায় । জিতেন্দ্রর সভাসদ রা জিতেন্দ্র কে নিষেধ করার পর ও জিতেন্দ্র তাদের কোথায় কান দেয়েনি । কিন্তু এর ফল জিতেন্দ্র হাতে নাতে পেয়ে যায় । মহেন্দ্র কে মোহনগঞ্জ আর স্বর্ণ দ্বিপ এর শাসন ভার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে মহেন্দ্র নিজেকে রাজা ঘোষণা করে ও মিঠা পুর দখল করে নেয়ে । মহেন্দ্র ছাড়া ও জিতেন্দ্রর দুই সৎ বোন আছে এদের একজন হিমানী । যার বিয়ে হয় ভিম সিং এর সাথে ভিম সিং ছিল গৌরি নগর এর গভর্নর । ভিম সিং ও মহেন্দ্র এর সাথে যোগ দেয় ।
সিংহাসন এ বসার ৬ মাসের মধ্যে জিতেন্দ্র প্রায় রাজ্য হারা হওার অবস্থায় এসে দারায় । জিতেন্দ্রর হাতে থাকে সুধু রাজধানী মনিপুর আর রায়বাগ । জিতেন্দ্র কে দুর্বল শাসক ভেবে অনেক সভাসদ মহেন্দ্রর সাথে যোগ দেয়ে । কিন্তু জিতেন্দ্র সেই বিদ্রহ কঠিন হাতে দমন করে এবং মহেন্দ্র আর ভিম সিং কে বন্দি করে । কিন্তু বাবার শেষ অনুরধ আর বোন হিমানির অনুনয় এর কারনে ওদের কোন শাস্তি না দিয়ে প্রাসাদ এ নজর বন্দি করে রাখে । অদিকে গৃহ যুদ্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষিন আঞ্ছল এর রাজা যবন রায় কাঞ্ছনাপুর আক্রমন করে বসে ।
জিতেন্দ্র কে আবার সেনা নিয়ে রওনা হতে হয় । হিমানী ও ভিম সিং অনেক কাকুতি মিনতি করে ভিম সিং কে আর একবার সুযোগ দেয়ার জন্য । জিতেন্দ্র ভিম সিং কে নিজের সেনা পতি করে নেয়ে । সেই যুদ্ধে ভিম সিং অনেক বীরত্ব প্রদর্শন করে আবার জিতেন্দ্রর আস্থা অর্জন করে নেয়ে । জিতেন্দ্র আবার ভিম সিং কে গৌরি নগর এর গভর্নর করে পাঠায় ।
কিন্তু মহেন্দ্রর কোন পরিবর্তন নেই সে তেমন ই আছে । একটু ও পরিতাপ তার মধ্যে নজর আসে না । হঠা ৎ একদিন মহেন্দ্র পালিয়ে যায় এবং অনেক খুজে ও ওকে পাওওা যায় না । এর কিছুদিন পর খবর আসে যে একদল মুখোশ ধারি লোক মনিপুর এর আসে পাসে গ্রাম গুলিতে লুট তরাজ করছে । জিতেন্দ্র তাদের দমন করার জন্য সেনা পাঠায় । কিন্তু কিছুদিন পর খবর আসে যে এরা মামুলি ডাকাত নয় অনেক সংগঠিত এবং সংখ্যায় অনেক । তাই জিতেন্দ্র নিজে ই ডাকাত দের সাথে বোঝা পড়া করার জন্য রওনা হয় । সেই ডাকাত দল কে পরাজিত করতে জিতেন্দ্রর প্রায় ৩ মাস সময় লেগেছিল । কিন্তু সরদার পালিয়ে গিয়েছিল বলতে গেলে জিতেন্দ্র ওকে পালিয়ে যেতে দিয়েছিল । কারন সরদার আর কেও নয় রাজার ভাই মহেন্দ্র ।
Last edited: