অভিনেতা গ্রেগরি পেক (১৯১৬-২০০৩) অভিনীত Roman Holiday (১৯৫৩ ) ছবিটি পশ্চিমী চলচিত্রের একটি অন্য ধারার সঙ্গে আমাদের পরিচিয় করিয়ে দিয়েছিলো। এই ছবিরই প্রধান অভিনেত্রী অড্রে হেপবর্ন (১৯২৯-১৯৯৩) অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর সারাজীবন উৎসর্গ করেছিলেন তৃতীয় বিশ্বের (প্রধানত আফ্রিকা আর মধ্য আমেরিকা) শিশুদের প্রতি সেবামূলক কাজে।
1997 সালের জানুয়ারী মাসে অড্রের মৃত্যুর পর তাঁর আমৃত্যু বন্ধু গ্রেগরি পেক টেলিভিশন একটি হৃদয়বিদারক স্মৃতিচারণা করেন যার শেষে ছিলো একটি চমক। গ্রেগ জানালেন তিনি অড্রের একটি প্রিয় কবিতা আবৃত্তি করবেন।
কবিতাটির নাম 'Unending Love' - I seem to have loved you in numberless forms, numberless times... রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আসলে কবিতাটি 'মানসী' কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত 'অনন্ত প্রেম' কবিতাটির ইংরেজিতে সম্পূর্ণঅনুবাদ .... 'তোমারেই যেন ভালবাসিয়াছি শতরূপে শতবারে...'।
অনন্ত প্রেম
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
তোমারি মুরতি এসে,
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
যুগল প্রেমের স্রোতে
অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
অবসান লভিয়াছে
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
সকল প্রেমের স্মৃতি–
সকল কালের সকল কবির গীতি।
আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হলো গ্রেগরির ইচ্ছে অনুযায়ী ওনার নিজের অন্তিম যাত্রাতেও বেজেছিলো রবীন্দ্রনাথের গান ---- নির্ভেজাল বাংলা ভাষাতে ..... দেবব্রত বিশ্বাস এর গলায় 'যেতে যেতে একলা পথে'।
ভাবা যায়?
1997 সালের জানুয়ারী মাসে অড্রের মৃত্যুর পর তাঁর আমৃত্যু বন্ধু গ্রেগরি পেক টেলিভিশন একটি হৃদয়বিদারক স্মৃতিচারণা করেন যার শেষে ছিলো একটি চমক। গ্রেগ জানালেন তিনি অড্রের একটি প্রিয় কবিতা আবৃত্তি করবেন।
কবিতাটির নাম 'Unending Love' - I seem to have loved you in numberless forms, numberless times... রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আসলে কবিতাটি 'মানসী' কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত 'অনন্ত প্রেম' কবিতাটির ইংরেজিতে সম্পূর্ণঅনুবাদ .... 'তোমারেই যেন ভালবাসিয়াছি শতরূপে শতবারে...'।
অনন্ত প্রেম
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
তোমারি মুরতি এসে,
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
যুগল প্রেমের স্রোতে
অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
অবসান লভিয়াছে
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
সকল প্রেমের স্মৃতি–
সকল কালের সকল কবির গীতি।
আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হলো গ্রেগরির ইচ্ছে অনুযায়ী ওনার নিজের অন্তিম যাত্রাতেও বেজেছিলো রবীন্দ্রনাথের গান ---- নির্ভেজাল বাংলা ভাষাতে ..... দেবব্রত বিশ্বাস এর গলায় 'যেতে যেতে একলা পথে'।
ভাবা যায়?