মা হয়েছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। আজ সকাল ৯টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত এই অভিনেত্রী। তাঁর মেয়ের নাম রাখা হয়েছে মালহার মাসুমা নাবিলা। ডাকনাম স্মিহা। জন্মগ্রহণের সময় মেয়ের ওজন ছিল তিন কেজির কিছুটা বেশি। মা এবং সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছেন। তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাবিলার স্বামী জোবায়দুল হক।
মাসুমা রহমান নাবিলা ও স্বামী জোবায়দুল হক, সংগৃহীত
মাসুমা নাবিলার স্বামী জোবায়দুল ফোন করতেই ওপাশ ভেসে এল বাচ্চার কান্না শব্দ। ফোন ধরেই বললেন, ‘বাচ্চা কিছুক্ষণ পরপর কাঁদছে। মাত্র নাবিলাকে ওটি থেকে কেবিনে আনা হলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে তারা দুজনই ভালো আছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।’ গতকালই নাবিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সকালের দিকে এই অভিনেত্রীকে ওটিতে নেওয়া হয়।
নাবিলা, সংগৃহীত
নাবিলা মেয়ের মুখ দেখেছেন? জানতে চাইলে জোবায়দুল বলেন, ‘মেয়ের মুখ দেখার সময় সে আগে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছে, “তুমি তো মনে হয় অনেক খুশি হয়েছো? কারণ, আমরা জানতাম না, আমাদের ছেলে নাকি মেয়ে হবে।” তবে সব সময় নাবিলাকে বলতাম, আমাদের মেয়ে হবে। ও আমার মুখ দেখেই হয়তো বুঝতে পেরেছিল। সে খুবই খুশি হয়েছে। এই অনুভূতি আসলে আমরা কাউকে বোঝাতে পারব না। আমরা রাজকন্যার মা–বাবা হয়েছি।’
করোনার কারণে হাসপাতালে ভিড় করা নিষেধ। সকালে এসে নাবিলা ও জোবায়দুলের মা–বাবা নাতনিকে দেখে গেছেন। জোবায়দুলের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই আবার বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে এল। কিছু সময় পরে বলেন, ‘নাবিলা একটু কথা বলার মতো হলেই সে আশা করি সবার সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এখন তাকে একদম বিশ্রামে রেখেছি। করোনার জন্য আমাদের কিছুটা ভয়ের মধ্যেও থাকতে হচ্ছে। এই জন্য নাবিলার কাছ থেকেও কিছুটা দূরত্ব বাজায় রাখছি। বাইরের কাউকে কেবিনে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।’
মাসুমা রহমান নাবিলা ও জোবায়দুল হক, সংগৃহীত
২০১৮ সালে জোবায়দুল হককে বিয়ে করেন নাবিলা। প্রায় ২০ বছর আগে তাঁকে ভালো লেগেছিল। নাবিলার দাদার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও বাবার চাকরি সূত্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবের জেদ্দায়। সেখানেই কেটেছে তাঁর কৈশোর। জোবায়দুলরাও সেখানে থাকতেন। দেশ থেকে দূরে সেই শহরে বর্ণ পরিচয়ের সময় থেকেই তাঁদের পরিচয়। সেই থেকেই দুজন দুজনকে পছন্দ করতেন। সেই ভালো লাগা পরে রূপ নেয় ভালোবাসায়। গত এপ্রিল মাসে সন্তানসম্ভবার খবর গণমাধ্যমে জানান নাবিলা।
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০০০ সালে জেদ্দা থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন। ভর্তি হন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বাংলাদেশে ফেরার আট মাসের মাথায় তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। বোন ও ভাইয়েরা তখন অনেক ছোট। বড় সন্তান হিসেবে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে। বন্ধুদের উৎসাহে ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন উপস্থাপনা। এরপর ধীরে ধীরে অভিনয়।
নাবিলা ও জোবায়দুল হক, ইনস্টাগ্রাম