ফুলের নাম : লতা পারুল
অন্যান্য নাম : পারুল লতা, নীল-পারুল, রসুন্ধি, রসুন্ধি-লতা, নীলঘণ্টা, ইত্যাদি।
ইংরেজি নাম : Garlic Vine, Wild Garlic, Amethyst Vine, Fake garlic, False garlic, Purple garlic ইত্যাদি।
বৈজ্ঞানিক নাম : Mansoa alliacea
লতাপারুলের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা হলেও বর্তমানে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে খুব ভালো ভাবেই মানিয়ে নিয়েছে। এরা শোভা বর্ধক, চিরহরিৎ, শক্ত, লতানো গুল্ম জাতিয় উদ্ভিদ। এদের পাতা উজ্জ্বল সবুজ রঙের। পাতা কচলালে রসুনের মত গন্ধ ছড়ায়। এদের পাতায় রসুনের গন্ধ থাকায় এদেরকে রসুন্ধি লতা নামেও ডাকা হয়। এর ইংরেজী নাম করণের কারণও পাতার এই গন্ধ। কলমে এবং শিকড় থেকে চারা গজায়। অন্য কোন গাছ বা মাচায় আশ্রয় নিয়ে ঝোপআকৃতি হয়ে উঠে। গেইটের উপরে চমৎকার হয়। এরা দ্রুত বর্ধনশীল লতা। গাছে কোনো কাঁটা নেই।
লতা পারুলের ফুলটিকে দেখতে ছোট আকারের ঢোলকলমির বা মাইক ফুলের মত। ফুলের দল ফানেলের মত। পাপড়ি ৫টি,
পাপড়িউলি মুক্ত ও গোলাকার। গাছে বছরে দুইবার ফুল ফোটে। প্রথম বার ফুল ফুটে ঝড়ে যাবার পরে আবার নতুন করে কলি আসে এবং প্রচুর ফুল ফোটে। সাধারনত থোকায় থোকায় ফুল ফোটে এবং ফুলগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
ফুল এবং কলির রংও দেখতে চমৎকার। কলির চূড়ায় গাঢ় বেগুনি ও গোড়ার দিকে ধীরে হালকা বেগুনি রং থাকে। ফুল রং হয় সাদাটে ও বেগুনির মিশেল নিয়ে। দেখতে যত সুন্দরই হোক লতাপারুলের ফুল গুলি হয় ঘ্রানহীন।
চমৎকার দেখতে এই ফুল গুলি শুধু ফুল প্রেমি মানুষকেই আকর্ষণ করে না বরং মৌটুসি পাখি ও প্রজাপতিরাও এদের দেখে আকর্ষিত হয়ে ছুটে আসে।
তবে আসল কথা হচ্ছে নামের কারণে অনেকেই এই ফুলকে পারুল ফুল বলে ভুল করে। আসলে পারুল আর লতা পারুল সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ফুল।
ছবি তোলার স্থান : আমার বাসার ছাদ
ছবি তোলার তারিখ : ১৮/১১/২০২০ইং এবং ২৬/১২/২০২০ইং