What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পাশ -ফেইলের পুরস্কার (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,615
Messages
121,990
Credits
324,673
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
পাশ -ফেইলের পুরস্কার

অপুর বাবা সচিবালয়ে চাকরী করেন। চাকরী সুবাদে মন্ত্রী-সচিবদের সাথে ওনার ইঠা-বসা নিত্য দিনের অভ্যাস। কথায় আছে, অভ্যাস মানুষের দাস। আর সে কারনেই অপুর বাবা এখন আর আগের মতো কথা বলতে পারেন না। সব কথাতেই একটা ডিপ্লোম্যাটিক প্যাঁচ থাকে। সহজ কথাটাও সহজ ভাবে বলতে পারেন না। সেদিন অপু মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসার পর অপুর বাবা তাকে ডেকে পাঠালেন। অপু তার বাবার সামনে বসতেই অপুর বাবা জিজ্ঞেস করলেন,
"পরীক্ষা কেমন দিলে ?"
অপু ছোট্ট করে জবাব দিলো। "ভালো"
অপুর বাবা ছেলের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে মাথা ঝাকিয়ে নিয়ে বললেন, "পরীক্ষা যেমন দিবে ফলাফলও তেমনই আশা করো। পরীক্ষা খারাপ দিলে ভালো ফল কখনো আশা করো না।"
তারপর কিছুক্ষন চুপ থেকে তিনি আবারো বললেন, "পরীক্ষায় পাশ করো কিংবা ফেইল যাই করো, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার রেজাল্ট বেরনোর পর তোমাকে একটা সাইকেল কিনে দেবো"
সাইকেলের কথা শুনে অপু খুশীতে বলে উঠলো, "বাবা, তুমি অনেক ভালো। তা কোন সাইকেল কিনে দিবে, বাবা ?"
ছেলের কথায় অপুর বাবার তেমন কোনো ভাবান্তর হলো না।
ওনি ছেলের চোখের তাকিয়ে বললেন, "যদি পাশ করো, তবে তোমার জন্য একটা নতুন রেঞ্জার সাইকেল কিনে দেবো। যেটা দিয়ে তুমি প্রতিদিন কলেজে যাবে।"
অপুর বাবার কথায় এমন কিছু একটা ছিলো যেটা শুনে অপুর মুখ শুকিয়ে গেলো। সে ভয়ে ভয়ে বাবাকে প্রশ্ন করলো, "আর যদি ফেইল করি ?"
বাবা খুব নির্লিপ্ত ভাবেই বললো, "আর যদি ফেইল করো, তবে তোমাকে একটা পুরাতন ভাঙ্গা-চোরা সাইকেল কিনে দিবো। "
অপু বেশ কিছু অবাক হয়ে মাথা নিচু করে বাবাকে ছোট্ট করে বললো, "কেনো ?"
অপুর বাবা বিষয়টা ব্যাখ্যা করছে এমনভাবে বললো, "যাতে তুমি বাজারে ঘুরে ঘুরে দুধ বিক্রী করতে পারো..."
 
ইংলিশে এর অর্থ কি ?
সানি তখন বেশ ছোট। সবেমাত্র ক্লাস ওয়ানে পড়ে। প্রতিদিনই সানির বাবা তাকে নিয়ে সন্ধ্যায় পড়াতে বসে। সানি যখন পড়তে বসে তখন টিভিতে তেমন কোনো ভালো অনুষ্ঠান না থাকায় ঐ সময়ে সানির বাবার টিভি প্রীতি খুব একটা থাকে না। যদিও রাত ন'টার পর থেকে সানির বাবা টিভির কোন অনুষ্ঠানই ছাড়ে না। আর ঐ সময় যাতে নির্বিঘ্নে টিভি দেখতে পারে সেজন্যই সন্ধ্যায় যখন পরিবারের সবাই টিভি দেখতে ব্যস্ত থাকে তখন সানির বাবা সানিকে নিয়ে পড়াতে বসে।
একদিন সানির বাবা এরকম সন্ধ্যায় সানিকে মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইংরেজী অর্থ শেখাচ্ছিলেন।
সানির বাবাঃ মাথার ইংলিশ-হেড, নাকের ইংলিশ-নোস, পা-য়ের ইংলিশ-লেগ, হাতের ইংলিশ-হ্যান্ড...
এভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ইংলিশ পড়াচ্ছিলেন।
সানির বাবা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেও সানির কিন্তু পড়াতে তেমন মনোযোগ ছিলো না। সে যেনো কি একটা চিন্তা করছিলো।
হঠাৎই সানি তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, "বাবা, বাবা তুমি অনেক কিছুর ইংরেজী অর্থই তো বললে, কিন্তু নুনু'র ইংরেজী অর্থ কী ?"
 
আমি কি Unallow হলাম ?
টেস্ট পরীক্ষার পর থেকেই মাইনের ভয় ছিলো সব বিষয়ে পাশ করে গেলেও ইংলিশের কারনে হয়তো এবার আর তার ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া হবে না। ইংলিশে বরাবরই সে কাঁচা। এই বিষয়টা ক্যান যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেটিই তার বোধগম্য হয় না। বন্ধু-বান্ধব পরিচিত জনদের সাথে মাঝে মধ্যেই সে ব্যাপারটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। এই ইংরেজরা দু'শো বছর আমাদের শাষনের নামে শোষণ করে গেলেও আমরা তাদের ভাষাটাকে শিখার জন্য এতো চাপাচাপি কেনো করি ? কেনো আমাদের পাঠ্যক্রম থেকে ইংরেজী ভাষাটা ছেটে ফেলছি না ? এটিই হলো মাইনের ক্ষোভ আর হতাশার কারন।
নির্দিস্ট দিনে যথারীতি টেস্ট পরীক্ষার ফল বেরলো। স্কুলে গিয়ে মাইন আবারো হতাশ হলো। যা ভেবেছিলো শেষ পর্যন্ত তাই হলো। মাইন টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। যার কারনে এবছর আর তার ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া হবে না। বোর্ডে ফলাফল দেখে মাইন স্যারের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলো। শেষ পর্যন্ত তাকে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য এলাউ করবে কিনা সেটা জেনে নেয়া দরকার।
স্যারের অফিসে গিয়ে স্যারের মন মর্জি খুব একটা ভালো নেই দেখে মাইন আর স্যারকে কথাটি জিজ্ঞেস করতে পারলো না। অনেক ভেবে চিন্তে মাইন একটা কাগজে লিখলো, " স্যার, আমি কেনো Unallow হলাম ?"
মাইনের চিরকূটটায় নজর বুলিয়ে স্যারও খস খস করে লিখে দিলেন, "এই কারনেই তুমি Disallow হয়েছো।"
 
বেশ হয়েছে। দারুণ মজা পাইছি।
 
ইংলিশে এর অর্থ কি ?
সানি তখন বেশ ছোট। সবেমাত্র ক্লাস ওয়ানে পড়ে। প্রতিদিনই সানির বাবা তাকে নিয়ে সন্ধ্যায় পড়াতে বসে। সানি যখন পড়তে বসে তখন টিভিতে তেমন কোনো ভালো অনুষ্ঠান না থাকায় ঐ সময়ে সানির বাবার টিভি প্রীতি খুব একটা থাকে না। যদিও রাত ন'টার পর থেকে সানির বাবা টিভির কোন অনুষ্ঠানই ছাড়ে না। আর ঐ সময় যাতে নির্বিঘ্নে টিভি দেখতে পারে সেজন্যই সন্ধ্যায় যখন পরিবারের সবাই টিভি দেখতে ব্যস্ত থাকে তখন সানির বাবা সানিকে নিয়ে পড়াতে বসে।
একদিন সানির বাবা এরকম সন্ধ্যায় সানিকে মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইংরেজী অর্থ শেখাচ্ছিলেন।
সানির বাবাঃ মাথার ইংলিশ-হেড, নাকের ইংলিশ-নোস, পা-য়ের ইংলিশ-লেগ, হাতের ইংলিশ-হ্যান্ড...
এভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ইংলিশ পড়াচ্ছিলেন।
সানির বাবা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেও সানির কিন্তু পড়াতে তেমন মনোযোগ ছিলো না। সে যেনো কি একটা চিন্তা করছিলো।
হঠাৎই সানি তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, "বাবা, বাবা তুমি অনেক কিছুর ইংরেজী অর্থই তো বললে, কিন্তু নুনু'র ইংরেজী অর্থ কী ?"
Khub valo chaliye jan
 

Users who are viewing this thread

Back
Top