What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পরীক্ষার রেজাল্ট (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,615
Messages
121,990
Credits
324,673
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
পরীক্ষার রেজাল্ট




আজ দীপুদের স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে। অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও সাধারন পাশ-ফেইল করা ছাত্রদের ফলাফল নিজ ক্লাস রুমে ক্লাশ টিচারদের মাধ্যমেই দেয়া হবে। শুধুমাত্র যারা খুব ভালোভাবে পাশ কিংবা ফেইল করেছে তাদের রেজাল্ট হেড স্যার শ্রেনী শিক্ষকদেরকে সাথে নিয়ে ওনার অফিস থেকে ঘোষনা করবেন। যথারীতি সাধারন ছাত্রদের ফলাফল ঘোষনা করার পর যারা বিশেষভাবে পাশ-ফেইল করেছে তাদের তালিকা ধরে হেড স্যারের অফিসে যাবার জন্য বলে দেয়া হলো। সেই দলে দীপুও ছিলো। দীপুর রেজাল্ট দিতে গিয়ে স্যার বললেন,
স্যারঃ এতো করে তোকে ইংরেজী শিখালাম, আর তুই কিনা ইংরেজীতে ফেইল করলি ?
দীপু মাথা চুলকে নিচের তাকিয়ে জবাব দিলো,
দীপুঃ ইংরেজীতে পাস করার জন্য কি আমরা ৫২তে ভাষা আন্দোলন করেছিলাম ? ৫২'র প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই আমি ইংরেজীতে ফেইল করেছি, স্যার !
স্যারঃ ও, তাই নাকি ! ভাষা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা ! আচ্ছা, তা না হয় মানলাম। তবে অঙ্কে ফেইল করলি ক্যান ? ওখানে কোন আন্দোলন ছিলো ? দশে আর দশে যোগ করলে কি হয়, হতভাগা ? আর শূন্যটা নামাসনি ক্যান ? ওটা বাদ দিলে কোন আন্দোলনের অজুহাতে ?
দীপুঃ স্যার, আপনিই তো বলেছেন শূন্যের কোনো দাম নেই। যে জিনিষের দাম নেই সেটি শুধু শুধু লিখে লাভ কি ? সেজন্যই আমি শূন্যটা বাদ দিয়ে দিয়েছি...
স্যারঃ ইতিহাসেও তো ফেইল করলি। ওটাতে তো কিছু লিখিসইনি। তা ইতিহাসের পাতায় কিছু না লেখার কারনটা কি ? ওখানেও কি কোনো শূন্য ছিলো নাকি ?
দীপুঃ কি করে লিখবো, স্যার ? সব ৫০০ বছর আগের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। তখন কি আমার জন্ম হয়েছিলো ? এমনকি আমার বাবারও জন্মের বহু বছর আগেকার সব ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। বাপের আমলের হলেও না হয় বাবার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে লিখতাম... সেজন্য স্যার একেবারে না লিখেই ছেড়ে দিয়েছি !
 
গরীবদের রচনা



যুবরাজ নামে শুধু যুবরাজ নয়, সত্যিকার অর্থেই সে যুবরাজ। বাবার অঢেল সহায় সম্পত্তিতে ভাগীদার সে একাই। যদিও তার একটি বড় বোন আছে, কিন্তু যুবরাজ প্রাইমারীতে পড়াকালীন সময়েই তার বিয়ে হয়ে যায়। যুবরাজের দুলাভাইও বিশাল ধনী ব্যাক্তি। বিয়ের কিছুদিন পরেই যুবরাজের বোনকে নিয়ে তার দুলাভাই কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে যায়। যাবার আগে যুবরাজের বোন তার প্রাপ্য সকল সম্পত্তি ছোট ভাইকে দিয়ে দেয়ার জন্য একটি উইল লিখে দিয়ে যায়।
সে যাউ হউক, যুবরাজ তার জীবনে গরীবানা কি জিনিষ সেটা প্রত্যক্ষ করেনি। এমনকি গরীবরা কিভাবে জীবন যাপন করে সে সম্মন্ধেও তার কোনো ধারনা ছিলো না। সে যেভাবে জীবন যাপন করে অভ্যস্ত গরীবরাও সেভাবেই জীবন যাপন করে এটিই তার ধারনা ছিলো। শুধু পার্থক্য গরীবরা সব কিছু নতুন ব্যবহার করতে পারে না পুরাতন ব্যবহার করে আর তারা সব নতুন নতুন জিনিষ-পত্র ব্যবহার করে।
এহেন যুবরাজ পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখলো, গরীবদের জীবন-যাপন নিয়ে তাকে রচনা লিখতে হবে।
যুবরাজ রচনা লিখতে শুরু করলোঃ
এক দেশে একটি খুবই গরীব পরিবার ছিলো। মা গরীব, বাবা গরীব, বাচ্চারাও গরীব। তাদের বাড়িতে মাত্র চারজন কাজের লোক ছিলো। যে চারজন কাজের লোক ছিলো তারাও গরীব। তাদের ব্যবহৃত BMW গাড়িটাও ছিলো ভাঙ্গাচোরা। বাচ্চাদের ছিলো পুরাতন আই-ফোন মোবাইল। কারো কারো ফোনের মডেলও ছিলো আগের বছরের। বাড়িতে ছিলো মাত্র চারটে সেকেন্ড হ্যান্ড এসি। এসির বাতাস ঠান্ডা হলেও কোনো কোনো এসি থেকে শব্দ হতো। পুরো পরিবারটা সত্যিকার অর্থেই ছিলো গরীব। খুবই গরীব, আসলেই গরীব...
 
ভালো লাগলো, চালিয়ে যান। আরও ভালো কিছু আশা করছি।
 
ভালো লাগলো, চালিয়ে যান। আরও ভালো কিছু আশা করছি।

রিপ্লাইয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
দুই ফেলটুস !



সেদিন বিকেলে দীপুদের বাসার ছাদে বন্ধুরা মিলে খুব আড্ডা দিচ্ছিলো। অপু, পাখি, জিসান, ছোট, মনি আর যুবি ছিলো সেই আড্ডতে। কথায় কথায় দীপুর কাজিন সামি'র ব্যাপারে আলোচনা উঠলো। সে কাজের বুয়াকে বিয়ে করে এখন বেশ প্রসিদ্ধ ! কেউ কেউ এটাকে খুব বাহবা দিলেও সামি'র মতো একজন কি করে কাজের বুয়াকে বিয়ে করলো সেই ব্যাপারে সবারই প্রচন্ড কৌতুহল। আর সেই কৌতুহলের অবসান ঘটানোর জন্যই এই ব্যাপারে বিশদে বলার জন্য সবাই দীপুকে চেপে ধরলো।
দীপু বেশ পেছন থেকেই ঘটনাটি খুলে বলতে শুরু করলো...
সামি যখন ক্লাস এইটে পড়ে তখনকার ঘটনা। ঐদিন সামি'র পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাবে। সামি খুব সেজেগুজে ফলাফল আনতে স্কুলে যাচ্ছিলো। যাবার সময় সামি'র বাবা তাকে ডেকে বললেন, "ফলাফল আনতে যাচ্ছো, যাও। তবে ফেইল করে যেনো আমার সামনে এসে দাঁড়িও না।"
সামি'র মনে বেশ একটা খটকা লাগলো। আর শালার ফলাফলটাও হলো খারাপ। মোটে তিন বিষয়ে পাশ করতে পেরেছে সামি। এই ফলাফল নিয়ে তো আর বাপের সামনে দাঁড়াতে পারবে না, তাই সারাদিন এদিক সেদিক ঘুরে রাতে বাসায় গিয়ে চুপটি মেরে শুয়ে রইলো। সকালে বাবার সামনে না গিয়ে মাকে গিয়ে ফলাফলের কথা জানিয়ে দিলো। আর বললো, আগামী বছর সে আর ফেইল করবে না। কিন্তু সেই আগামী বছর আর তার আসে না।
প্রতি বছরই সামি পরীক্ষা দেয় আর ফেইল করে। এভাবে কেটে গেছে পঁচিশটি বছর। সে আর ক্লাস এইটের গন্ডি পেরোতে পারে না। এখন আর তার বাবা ফলাফলের কথা জিজ্ঞেসও করে না। জানা কথা সামি ফেইল করবে আর ফলাফলের দিন মুখ কালো করে ফল নিয়ে বাড়িতে ঢুকবে।
এবছরও সামি পরীক্ষার ফল নিয়ে বাসায় ফিরলো। এবার আর আগের মতো তার মুখ কালো নয়। বেশ হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। ঘরে ঢুকতেই কাজের বুয়া সামিকে জিজ্ঞেস করলো, "ভাইজান, ফল কি ভালো ?"
সামি বললো, "ফলের খবর বাদ দে। তবে খবর ভালো।"
বুয়া বললো, "তার মানে এইবার আপনে পাশ করছেন ?"
সামি বললো, "না, পাশ দিছি না, তবে কাজী নিয়া আইছি। তুই আর আমি সেইম এইটে পইরা আছি, সখিনা। আমার মনে হয় না তুই ছাড়া আমারে কেউ পছন্দ করবো। চল বিয়া কইরা ফালাই।"
সামি'র কথায় বুয়া আবেগে আপ্লুত হইয়া গেলো। সখিনা বললো, "তুমি আমারে নাম ধইরা ডাকছো, এতে আমার পরান ভইরা গ্যাছে। চলো তাইলে বিয়া কইরা ফালাই।"
আর ঐদিনই তারা বিয়া কইরা হানিমুনে গেছে। আগামীকাল ফিরার কথা...
 
মোটামুটি। দ্বিতীয়টা বেশি ভালো।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top