maruftamimauthor
Member
#পরকীয়া এবং মৃত্যু
খুব শখ করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম।জামাই দেখতে মাশাল্লাহ।আমার মেয়েও কিন্তু দেখতে খারাপ না।মাশাল্লাহ।
ভাবলাম দুজনকে ভালো মানাবে।তাই জন্য হুট করেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলাম।সব কিছুই ভালো ছিল।দুজনের সংসার ভালোই চলছিল।
মেয়ের ঘরের উপরতলায় ডিভোর্সি সিঙ্গেল এক মেয়ে থাকে।মেয়ে দেখতে ভালোই মাশাল্লাহ। সমস্যা হচ্ছে আমার মেয়ের জামাইয়ের সেই উপরতলার মেয়ের প্রতি খুব আগ্রহ।তার বাসায় উঁকিঝুঁকি মারে একনজর দেখার জন্য।সেই সিঙ্গেল মেয়েরও বা কি দোষ! একা একা থাকে তাই তারও আমার জামাইয়ের প্রতি খুব আগ্রহ।
হঠাৎ করে একদিন সব বদলে গেলো। জামাইয়ের এই পরকীয়ার ব্যাপার টা আমার মেয়ের চোখে ধরা পড়ে।তাই নিয়ে মেয়ে আর মেয়ের জামাইয়ের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়।আমিও দেখেছিলাম সেটা।কিন্তু ওই যে টিপিক্যাল কিছু পরিবার আছে না? যারা সব দেখেও মেয়েকে বলে মানিয়ে নাও, মানিয়ে নাও। আমিও মেয়েকে সেটাই বলেছিলা-মানিয়ে নাও।
ঝগড়া আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো।ওই দিকে মেয়ের আবার দুটো বাচ্চাও হলো।মেয়ে সেই বাচ্চাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে।ভেবেছিলাম জামাই বুঝি শুধরে যাবে।
কিন্তু আমি প্রচন্ড ভুল ছিলাম।সেদিনের কথা আমি আজও ভুলতে পারি না।
আমার মেয়ের জামাই হঠাৎ ঘরে ঢুকেই বাচ্চাদের মারতে শুরু করে।মেয়ে তার আদরের সন্তানদের বাঁচাতে গেলে নিজেও মার খেয়ে মাথার চামড়া তুলে ফেলে।খবর পেয়ে আমি দেখতে যাই।নিজের চোখের সামনে মেয়ে আর তার বাচ্চাদের এমন অবস্থা দেখে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছিল।কোন মতে মেয়ের জামাইকে সরিয়ে দেই।কিন্তু সে কি আর ছাড়ার পাত্র! আমি তাকে টানি আর সে তার মাসুম বাচ্চাকে মারে। এমন ভাবে মেরেছে যে বড় বাচ্চাটা মাথায় আঘাত পায়।
এরপরে আমার চোখ খুলে যায়।আমি মেয়ে আর তার সন্তানদের নিজের কাছে নিয়ে আসি।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।এই ছোট বয়সে মার খাবার ফলে একটা বাচ্চা মারা যায়।আরেকটার মাথার অবস্থা নাজুক।চুল উঠবে কিনা সন্দেহ।
আর আমার মেয়ে? সে তো এই ঘটনার পরে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিল।এখন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে।
আর ওই বেয়াদব জামাই? তার সাথে মেয়ের ছাড়াছাড়ি করিয়ে দিয়েছি।এখন তার কি অবস্থা সেটা আমার দেখার বিষয় না।
আমার সব চিন্তা আমার মেয়ে আর তার জীবিত সেই বাচ্চাকে নিয়েই!
খুব শখ করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম।জামাই দেখতে মাশাল্লাহ।আমার মেয়েও কিন্তু দেখতে খারাপ না।মাশাল্লাহ।
ভাবলাম দুজনকে ভালো মানাবে।তাই জন্য হুট করেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলাম।সব কিছুই ভালো ছিল।দুজনের সংসার ভালোই চলছিল।
মেয়ের ঘরের উপরতলায় ডিভোর্সি সিঙ্গেল এক মেয়ে থাকে।মেয়ে দেখতে ভালোই মাশাল্লাহ। সমস্যা হচ্ছে আমার মেয়ের জামাইয়ের সেই উপরতলার মেয়ের প্রতি খুব আগ্রহ।তার বাসায় উঁকিঝুঁকি মারে একনজর দেখার জন্য।সেই সিঙ্গেল মেয়েরও বা কি দোষ! একা একা থাকে তাই তারও আমার জামাইয়ের প্রতি খুব আগ্রহ।
হঠাৎ করে একদিন সব বদলে গেলো। জামাইয়ের এই পরকীয়ার ব্যাপার টা আমার মেয়ের চোখে ধরা পড়ে।তাই নিয়ে মেয়ে আর মেয়ের জামাইয়ের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়।আমিও দেখেছিলাম সেটা।কিন্তু ওই যে টিপিক্যাল কিছু পরিবার আছে না? যারা সব দেখেও মেয়েকে বলে মানিয়ে নাও, মানিয়ে নাও। আমিও মেয়েকে সেটাই বলেছিলা-মানিয়ে নাও।
ঝগড়া আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো।ওই দিকে মেয়ের আবার দুটো বাচ্চাও হলো।মেয়ে সেই বাচ্চাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে।ভেবেছিলাম জামাই বুঝি শুধরে যাবে।
কিন্তু আমি প্রচন্ড ভুল ছিলাম।সেদিনের কথা আমি আজও ভুলতে পারি না।
আমার মেয়ের জামাই হঠাৎ ঘরে ঢুকেই বাচ্চাদের মারতে শুরু করে।মেয়ে তার আদরের সন্তানদের বাঁচাতে গেলে নিজেও মার খেয়ে মাথার চামড়া তুলে ফেলে।খবর পেয়ে আমি দেখতে যাই।নিজের চোখের সামনে মেয়ে আর তার বাচ্চাদের এমন অবস্থা দেখে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছিল।কোন মতে মেয়ের জামাইকে সরিয়ে দেই।কিন্তু সে কি আর ছাড়ার পাত্র! আমি তাকে টানি আর সে তার মাসুম বাচ্চাকে মারে। এমন ভাবে মেরেছে যে বড় বাচ্চাটা মাথায় আঘাত পায়।
এরপরে আমার চোখ খুলে যায়।আমি মেয়ে আর তার সন্তানদের নিজের কাছে নিয়ে আসি।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।এই ছোট বয়সে মার খাবার ফলে একটা বাচ্চা মারা যায়।আরেকটার মাথার অবস্থা নাজুক।চুল উঠবে কিনা সন্দেহ।
আর আমার মেয়ে? সে তো এই ঘটনার পরে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিল।এখন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে।
আর ওই বেয়াদব জামাই? তার সাথে মেয়ের ছাড়াছাড়ি করিয়ে দিয়েছি।এখন তার কি অবস্থা সেটা আমার দেখার বিষয় না।
আমার সব চিন্তা আমার মেয়ে আর তার জীবিত সেই বাচ্চাকে নিয়েই!