অসুর
এন্ডিং এক্সপ্লেনেশন
স্পয়লার আছে হালকা
----------
অনেকেই বলছেন অসুরের কোন এন্ডিং নাই।আসলে এই এন্ডিং না থাকটাই পরিচালকের মুন্সিয়ানা। অসুর কে না? অসুর তো একজন না যাকে ধরে পুরো কাহিনি শেষ করা যাবে। সময় এবং সুযোগে নিখিল অসুর হয়েছে তেমনি অসুর হয়েছে ধনঞ্জয় রাজপুত। যেখানে মিথ্যা যেখানে ছল সেখানেই জন্ম নিয়েছে অসুর ওরফে শুভ। তাই এক শুভকে আইডেন্টিফাই করে অসুর ধরা তো সম্ভব নয়। সবাই শুভ,সবাই অসুর।তাই পরিচালকের সার্থকতা এখানেই যে তিনি সাধারন সিরিয়াল কিলিং এর মতো করে ইতি টানেন নি।সিরিয়াল কিলার থাকে একজনই।তার শেষ হওয়ার সাথে সাথে সিরিয়াল কিলিং এর ধারাটা শেষ হয়। কিন্তু অসুরের শেষ কই? কার সাধ্য তার পতন দেখাবে? পতন তার তখনই হবে যখন কালকি অবতার আসবে। অর্থ্যাৎ এমন কেউ আসবে যে কোন ভাবেই সত্য আর ন্যায়ের পথ থেকে সরে আসবে না। সেই পারবে শুভকে শেষ করতে। যেহেতু তেমন কোন চরিত্র আসে নি,তাই শুভ শেষ হয় নি। বরং আরো স্ট্রং ভাবে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে গেল।
---------------
এন্ডিং এ এটাও পরিস্কার করে দেয় নি কে শুভ। কেউই কিন্তু একবারের জন্যও বলে নি যে সে শুভ। নিখিল কিডন্যাপারের কথা শুনে(শীঘ্রই মোলাকাত হোগি) ভাবে সে শুভ,ধনঞ্জয় রাজপুত জেলে বসে বক্তার(নাম ভুলে গেছি) ফিলোসোফি শুনে ভাবে সেই শুভ,আর ইন্সপেক্টর লোনালে খাতায় আকা ছবি দেখে ভাবে তাদের কলিগই শুভ। কিন্তু তারা কেউ স্বীকার করে নি যে সেই শুভ।
আমার ধারনা শুভ এই পর্বে আসেই নি। প্রচ্ছন্নে থেকে তার অনুচরদের দিয়ে মানুষের ভিতরকার অসুর বের করে এনেছে। যদি কালকি আসে তবেই সে তার ডেরা থেকে বের হবে।
---------
ধনঞ্জয়কে খুন করতে যাবার দৃশ্য ছাড়া বাকি খুনগুলোর খুনী কে তা কিন্তু দেখায় নি। পেইন্টারকে যে খুন করে, ধনঞ্জয়ের স্ত্রীকে যে খুন করে তার চেহারা পরিচালক দেখান নি।
তাই নিখিল তার কিডন্যাপারকে বলেছিল,তুমি এত তারাতারি কিভাবে খুন করে এসে পরলে?
আসলে খুনগুলো শুভ করেছে। কিন্তু সে চেয়েছিল নিখিলের অসুর বের করে আনতে।কারন তার মনে হয়েছিল,নিখিল ধনঞ্জয়ের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে চাকরী ছেড়েছে তাই সে কালকি অবতার হলেও হতে পারে।কিন্তু নিখিল তা ভুল প্রমানিত করে।
-------
তাই আমার মনে হয়,এই পর্বে শুভর উপস্তিতি ছিলই না। সিবিআই এর ছেলেটিকে কেবল স্কেচ দেখে শুভ বলে জাজ করা যাবে না। খাতাটা শুভর হতে পারে।সে নিজেকে শুভ বলে দাবীও করেনি একবারও। সে শুভ হলে ইন্সপেক্টরকে মারার আগে হলেও বলত যে সে শুভ।
-------------
নুসরাত শুভর ছবি টেকনোলজির সাহায্যে বর্তমান কালে তার চেহারা কেমন হবে তা জানার জন্য কাজ শুরু করেছিল।সেই কাজের ফলাফল কি এবং শুভর চেহারা আসলেই কেমন হয়েছে তা দেখানো হয় নি। যদি ফেস এনালাইসিসে রসুলের চেহারা আসে তবে সে সিবিআইতে এভাবে থেকে যেতে পারে না। এবং রসুল হলে তার চেহারা পরিচালক দেখিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ফেস এনালাইসিসে কার চেহারা এল,সেটা রহস্যাবৃতই রেখে দেয়া হল।
মতামতের ভিন্নতা থাকতেই পারে।