What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ffITQAO.jpg


(৭ জুলাই কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম অফিশিয়াল সিলেকশন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর। কানে ছবি দেখে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণের জন্য রিভিউ করেছেন অনুপম দেব কানুনজ্ঞ। পাঠকদের জন্য সেই রিভিউ তুলে ধরা হলো।)

প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল আগে থেকেই। ম্যুভির ট্রেলার এবং পোস্টার দেখে যে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’কে আশা করা হচ্ছিলো, সেই কল্পনা ও বাস্তবের মেলবন্ধন ভালই দেখা গেল।

d1FPHad.jpg


কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ ক্যাটাগরির প্রথম ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সবার বিশেষ নজরে প্রথম থেকেই ছিল । বুধবার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের পরে হলজুড়ে তুমুল অভিবাদনে বোঝা গেল বোদ্ধারা অভিভূত।

সিনেমা শুরুর আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, কলাকুশলী, সমালোচক ও সাংবাদিকেরা। শুরুর আগে উপস্থাপক মঞ্চে আমন্ত্রণ জানালেন পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ এবং নাম ভূমিকায় অভিনয় করা আজমেরী হক বাঁধনকে। এমনিতেই সাদ খুব বলিয়ে কইয়ে নন, তার ওপর এখানে ভাষা বলতে শুধুই ফ্রেঞ্চ। কোনোমতে ইংরেজিতে বললেন শুধু, কানে এসেছেন সেটা এখনও তার বিশ্বাস হচ্ছে না। অবিশ্বাসীর মতই অবশ্যই তাকাচ্ছিলেন প্রায় পূর্ণ ডেবুসির দিকে।

আর এরপরই শুরু হলো রেহানার সঙ্গে এক ঘণ্টা ৪৭ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস যাত্রা। অভিনয়ের বিষয়টি বলছি পরে, আগে আসি লাইটে।

পুরো সিনেমাতেই এক ধরনের অনুজ্বল নীলাভ-সাদা আলো বেছে নেয়া হয়েছে। ভবনের ভেতরে বা বাইরে কোথাও কখনও উজ্জ্বল আলো দেখা যায়নি। আলো-আঁধারির যে খেলা সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা রেহানার গল্পের সঙ্গেও মানানসই।

sHUaGix.jpg


কানে প্রদর্শনীর পর

পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যত্ন করে আলোর বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। কোনো চরিত্রই তেমন উজ্জ্বল কাপড় পরেননি। বরং সমাজে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন এবং এ নিয়ে যে লুকোচুরি এবং হুশ-হাশ চুপ-চুপ এর অবতারণা করা হয়, সিনেমার লাইটিং তাকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

ভালো একটি দৃশ্যের জন্য ক্যামেরার যে কয়টি নিয়ম মানার কথা বলা হয়ে থাকে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কোনোটির ধার ধারেননি সাদ। রেহানা মরিয়ম নূরে ট্রাইপড বা অন্য কোনো ডিভাইস ব্যবহার করে দৃশ্যকে স্থিতিশীল করার কোনো চেষ্টাই করা হয়নি।

ফলে শুরুর দৃশ্য থেকেই শুরু হয় ক্যামেরায় কখনও হালকা, কখনও বড় রকমের ঝাঁকুনি। অভ্যস্ততা না থাকায় শুরুতে বেশ অস্বস্তিই হচ্ছিলো। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় সে অস্বস্তি কেটে যায়। রেহানা চরিত্রে বাঁধনের এক্সপ্রেশন, তার চরিত্রের অস্থিরতা এবং সর্বোপরি গল্পের ধারায় যে অ্যাকশন ছিল, ক্যামেরার কাজ ঠিক তার সঙ্গে মানিয়ে যায়।

ঠিক এই কথাটি মাথায় রেখেই পরিচালক ক্যামেরা হাতে রেখে শ্যুট করার চিন্তা করেছিলেন কিনা জানি না। তবে সিনেমা দেখার পর মনে হয়েছে রেহানাকে ফুটিয়ে তুলতে এই ঝাঁকুনিটা দরকার ছিল, বরং এই চরিত্রকে ধীরস্থির ফ্রেমে দেখলেই খানিকটা ক্ষতি হয়ে যেত।

ফ্রেমিং-এর ক্ষেত্রে রুল অব থার্ড, অর্থাৎ ক্যামেরার এক তৃতীয়াংশ জুড়ে চরিত্রের অবস্থান, লুক রুম, অর্থাৎ যেদিকে চরিত্র তাকিয়ে আছে, সেদিকে বেশি স্থান ছাড়ার প্রচলন, হেড রুম, অর্থাৎ চরিত্রের মাথার ওপরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা ভালো ফ্রেমের এসব প্রাথমিক শর্ত যেন মনেই রাখেননি সাদ।

QrocOYH.jpg


টেবিলের দুই পাশে ডা. রেহানা যখন তার কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলছেন, তখনও তাদের ফ্রেমের এক কোণে ফেলে রেখে বাকি স্ক্রিন জুড়ে রাখা হয়েছে কক্ষের অপ্রাসঙ্গিক দৃশ্য।

এমন ফ্রেমিং হয়তো কেবল ক্যামেরার কাজ হিসেবে বিবেচনা করলে অনেকেই এডিট করার সময় ফেলে দিবেন। কিন্তু এই সিনেমাতে এসব অদ্ভুত কর্মকাণ্ড বেশ প্রয়োজনীয় বলে মনে হয়েছে। দর্শক হিসেবে পুরোটা সময়ই উঁকি দিয়ে লুকিয়ে গোপন কিছু দেখার মতো অনুভূতি কাজ করেছে।

অন্য সবকিছু বাদ দিলেও পুরো সিনেমাটাকেই বলা যায় শব্দের খেলা। যারা বাংলা বোঝেন, তারা ভিডিও বন্ধ করে কেবল অডিও চালু রাখলেও একরকম সিনেমা দেখার অনুভূতি পাবেন না বলেই আমার মনে হয়।

কিছু করতে না পারা রেহানা চরিত্রের যে যন্ত্রণা, তা তার প্রতিটি নিঃশ্বাসে দর্শকদের বোঝার কথা। মুহুর্মুহবেজে চলা ফোন, দরজার শব্দ, এমনকি লোডশেডিংকেও কেবল শব্দের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

রেহানা সিনেমায় শব্দের অপ্রত্যাশিত ব্যবহার সারাক্ষণ টানটান উত্তেজনা তৈরিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছে।

অ্যাকশন ঘটলে, তার রিঅ্যাকশনও থাকতে হয়। অর্থাৎ, কেউ কোনো কথা বললে তার প্রতিক্রিয়ায় অন্য চরিত্রের কী অনুভূতি, তা দেখা যাওয়ার কথা। এমন কোনো দৃশ্য শ্যুট করা হয়েছে কিনা জানা নেই। করা হয়ে থাকলেও এই সিনেমায় আমরা প্রায় প্রতিটি দৃশ্যেই চরিত্রদের একই ফ্রেমে টানা কথা বলতে দেখেছি।

YFkKS1S.jpg


সিনেমা দেখেই ধারণা করা যায় সব দৃশ্যই একটি মাত্র ক্যামেরায় ধারণ করা। অন্য চরিত্রের রিঅ্যাকশন না দেখা যাওয়ায় কেউ কেউ হয়তো ‘নিয়ম বহির্ভূত’ বলে একে ভালোর স্বীকৃতি দিতে চাইবেন না। কিন্তু রেহানা সিনেমাটিতে সংলাপ-অ্যাকশন-ক্যামেরা মুভমেন্ট এবং সর্বোপরি ডায়লগ যেভাবে এগিয়েছে, তাতে অন্য চরিত্রদের কখন মাথার পেছনটুকু, কখনও একেবারেই দেখা না গেলেও তাদের প্রতিক্রিয়া বুঝতে সমস্যা হয়নি।

এমন এডিটিং এর ফলে সিনেমা দেখতে দেখতেই দর্শকদের নিজেকেও সেটির অংশ মনে করার পর্যাপ্ত জায়গা ছিল।

যে জিনিস শব্দ বা সংলাপ দিয়ে বোঝানো যায়, তা একেবারেই ক্যামেরায় দেখানো হয়নি। লোডশেডিং-এর পর ফ্যান চালু হওয়া, ঝড়, বমি করা, কোনো কিছুই না দেখতে পেলেও বুঝতে সমস্যা হয়নি। সময় বাঁচিয়ে রেহানা চরিত্রকে আরো বেশি করে ফুটিয়ে তোলার সুযোগও এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

রেহানার মেয়ের স্কুলে অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিং-এ অভিভাবকদেরই দেখানো হয়নি, কেবল তাদের সংলাপ শোনা গেছে। কিন্তু পরিস্থিতি যেমন ছিল, তাতে কে বলছে তা দেখার প্রয়োজনই পড়েনি। বরং সংলাপে যা বলা হয়েছে তাতে সমাজের যে কেউ নিজের জীবনের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন।

একদিকে আশেপাশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে নিজে কিছু করতে না পারার যাতনা, অন্যদিকে শিক্ষক-চিকিৎসক-মা-মেয়ে-বোন এমন নানা চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে নারীদের প্রতিনিয়ত যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, বাঁধন এখানে বাস্তবের রেহানা হয়ে ফুটে উঠেছেন।

অন্য চরিত্রগুলোর কথাও বলতে হয়। মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল নারী হয়েও রেহানার পাশে দাঁড়াতে পারেন না, রেহানার ভাইয়ের এক বান্ধবী থাকলেও মায়ের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দিতে চান না, পরীক্ষায় খারাপ করার ভয়ে রেহানার ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, ডা. আরেফিনের স্ত্রী আয়েশা সব জেনেও সমাজের কথা চিন্তা করে স্বামীকে ছেড়ে যেতে ভয় পান, মেয়ে ইমুর স্কুলে এক ছাত্র তাকে হেনস্তা করলেও শেষ পর্যন্ত ‘ভালো মা না’ এমন দায় রেহানার কাঁধেই এসে চাপে।

একটি চরিত্রকে সিনেমায় ফুটিয়ে তুলতে তার আশেপাশের অনেক চরিত্র দিয়ে তাকে এস্টাবলিশ করতে হয়। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তাকে ফুটিয়েও তোলা হয়। কিন্তু রেহানা মরিয়ম নূর চলচ্চিত্রে এর অধিকাংশ দায়িত্ব পড়েছিল অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ঘাড়ে। তিনি সেটা এতই নিখুঁতভাবে করেছেন যে সিনেমা শেষ হওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলার সময়ও ধন্দে পড়তে হচ্ছিলো, কে কথা বলছে- রেহানা নাকি বাঁধন?

EdqhHIr.jpg


মেয়ের ওপর কঠোর শাসন, মায়া-মমতা, বোন-মেয়ে হিসেবে দায়িত্ব, শিক্ষক হিসেবে একদিকে শিক্ষার্থীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান অন্যদিকে শিক্ষার্থীর ওপর হওয়া অন্যায়ে তার পাশে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দাঁড়ানো, এই চরমতম কঠিন কাজটিকে সফলভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন বাঁধন।

প্রায় সব চরিত্রই এমনভাবে অভিনয় করেছেন, যাতে কখনও মনে হয়নি তারা আসলে অভিনয় করছেন। বিশেষ করে যার কথা না বললেই নয়, তিনি হচ্ছেন শিশু ইমুর চরিত্রে অভিনয় করা আফিয়া জাহিন জাইমা। নিজের মনের ভেতরের মান-অভিমান, আবদার, উত্তেজনা এমন সব অনুভূতি পর্যাপ্ত সংলাপের সাহায্য ছাড়া কেবল মুখের এক্সপ্রেশন এবং হাত-পা নাড়া দিয়ে বোঝাতে গেলে অনেক বড় বড় তারকা হিমশিম খেয়ে যান। অথচ জায়মা এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে যে অভিনয় করেছেন, তা এক কথায় অনবদ্য।

Hf4ZTlu.jpg


বিশেষ করে একটি দৃশ্যের কথা না বললেই নয়। স্কুলের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে যখন রেহানা-ইমুর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল, তখন গোঁ ধরে দরজার ফ্রেমে হাত রেখে দাঁড়িয়েছিল ইমু। কী কারণে কী ঘটছে, তা বুঝতে না পেরে মায়ের প্রতি শিশু ইমুর যে অভিমান ও ক্ষোভ, তার কী সুন্দর চিত্রায়ণ!

এই দৃশ্যেই দেখা যায় মা-মেয়ের ইগো নিয়ে সংঘাতের ফলে ‘হাত না সরালে হাতের ওপরেই দরজা বন্ধ করে দেয়ার’ হুমকি, শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি দরজা বন্ধ করে দেয়া এবং শেষ মুহূর্তে ইমুর হাত সরিয়ে নেয়া। সব মিলিয়ে সিনেমার সুন্দরতম দৃশ্যগুলোর একটি ছিল এটি।

বাকিরাও রেহানার চরিত্রকে এস্টাবলিশ করতে যতটুকু সাবলীল অভিনয় করা প্রয়োজন, তা বেশ সাফল্যের সঙ্গেই করেছেন বলে মনে হয়েছে। তবে সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের অন্যতম অ্যানিকে ফুটিয়ে তুলতে অভিনেত্রী আফিয়া তাবাসসুম বর্ণের কিছুটা ঘাটতি ছিল বলে মনে হয়েছে। যে পরিস্থিতিতে যেমন প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত, তাতে অ্যানি চরিত্রটি আরেকটু শক্তিশালী হতে পারত।

LNdJ75I.jpg


রেহানা সিনেমার মূল চরিত্র হলেও গল্প এগিয়েছে তার ছাত্রী অ্যানির নির্যাতনের শিকার হওয়াকে কেন্দ্র করেই। এমন পরিস্থিতিতে বাস্তবে যা আমরা ধারণা করি, সেটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায়নি। অবশ্য রেহানার ভয়াবহ শক্তিশালী চরিত্র এবং লাইট-ক্যামেরা-সাউন্ডের কারসাজিতে সে দুর্বলতা অনেকখানিই ঢাকা গেছে।

কানের অফিশিয়াল সিলেকশনে প্রথম বাংলাদেশের সিনেমা। ফলে আমি নিজেই সিনেমাটির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছি কিনা সেটা বোঝার জন্য প্রদর্শনী শেষ হওয়ার পরপরই আমার দুই পাশে বসে থাকা অন্য দুই দর্শকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। একজন ব্রাজিল থেকে আসা সাংবাদিক ফ্রান্সিসকা, অপরজন ফরাসি নির্মাতা যার নাম মনে পড়ছে না। দুজনেই বিনা বাক্যে রেহানা মরিয়ম নূরকে ১০ এর মধ্যে ৮ দিতে চাইলেন।

আঁ সার্তে রিগা ক্যাটাগরিতে সাধারণত এমন সব চলচ্চিত্রকে নির্বাচিত করা হয়, যেগুলো একটু ভিন্ন চিন্তা নিয়ে তৈরি করা, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট বার্তা রয়েছে। এই বিবেচনায় রেহানা মরিয়ম নূর দারুণভাবেই উৎরেছে।

QIs2IEy.jpg


সিনেমা শেষ হওয়ার পর অভিনেত্রী বাঁধন বলছিলেন তার চরিত্র গড়ে তোলার সমস্ত ক্রেডিট পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের। ক্রেডিট সাদ পাওয়ারই যোগ্য। তবে বাঁধন যা করে দেখিয়েছেন, অন্য কাউকে ক্রেডিট দিলেও তা কোনোভাবেই ম্লান হয় না।

এই ক্যাটাগরিতে অন্য সিনেমাগুলোও বেশ শক্তিশালী, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক সৈনিকের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা নির্মাতা আর্থার হারারির ‘অনোডা- টেন থাউজেন্ড নাইটস ইন দ্য জাঙ্গল’ সিনেমাটি এই ক্যাটাগরিতে খুবই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তারপরও দায়িত্ব নিয়েই বলছি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কোনো পুরষ্কার না পেলেই বরং অবাক হবো।

শেষ করবো একটা কথা দিয়ে। রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার শেষ দৃশ্যে কোনো সমাধান আসে না। এক ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ধরে যে গল্প তৈরি করা হয়েছে কয়েক সেকেন্ডে তা শেষ হয়েছে মেয়েকে নিজের রুমে অবরুদ্ধ করে রেখে ফুঁসতে থাকা রেহানাকে দেখিয়ে।

এই গল্প শেষ হয়নি, এই সিনেমা শেষ হয়নি। আমি নিশ্চিত, প্রতিটি দর্শক এমন অনুভূতি নিয়েই হল থেকে বের হয়েছেন।

* লিখেছেন: অনুপম দেব কানুনজ্ঞ
 
Vai janina cinema Ta asole kemon lagbe, jehetu dekhini tai bolte parchi na. Ekjon bangladeshi hisebe desher ekta Cinema valo kichu hoyeche eta antorik vabei cai. Asha kori Canne e selection peyeche setai ei cobi niye matamatir akmatro karon na hok. Sobai valo ta bolchen kintu jati hisebe lojjar ze ei cinema ta poricalona korar jonne Director ke bideshi producer er shoronaponno hote hoyeche. Deshi keo ei chobita orthaon korte agrohi hon ni.
 
ছবিটা দেখার জন্য অনেক খুজছি পাই নাই
 

Users who are viewing this thread

Back
Top