জয়নুল সাহেবের ৩ কন্যা।
বড় মেয়ের নাম, "দিপা"
মেঝ মেয়ের নাম, "নিপা"
ছোট মেয়ের নাম "লিপা"
জয়নুল সাহেব একদিন তার ৩ কন্যাকে ডেকে বললেন...
"আচ্ছা মা, তোমরা আমাকে কে কতটুকু কিরকম ভালবাসো?"
বড় কন্যা দিপা বলল,
"বাবা, আমি তোমাকে iphone এর মত ভালোবাসি।
মেঝ কন্যা নিপা বলল,
"আমি তোমাকে samsung এর মত ভালোবাসি।
ছোট কন্যা লিপা বলল,
"আমি তোমাকে nokia1208 এর মত ভালোবাসি।
ছোট মেয়ের কথা শুনে জয়নুল সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। মনে মনে ভাবল,
আমার বড় কন্যা ও মেঝ কন্যার ভালবাসা
খুব দামি, কিন্তু ছোট মেয়ের ভালবাসা এত
কমদামি? নাহ্! ঐ ফহিন্নিরে বনবাসে পাঠামু।
যথারিতি জয়নুল সাহেব, বড় মেয়ে দিপাকে iphone কিনে দিল এবং তাকে জাফলং ঘুরতে পাঠিয়ে দিল।
মেঝ মেয়ে নিপাকে samsung মোবাইল কিনে দিল এবং তাকে কক্সবাজার ঘুরতে পাঠিয়ে দিল।
ছোট মেয়ে লিপাকে nokia 1208 মোবাইল
কিনে দিল এবং তাকে শাস্তিস্বরুপ বনের জঙ্গলে পাঠিয়ে দিলেন।
বড় মেয়ে দিপা ও মেঝ মেয়ে নিপা, তারা ১০ মিনিট পর পর ফেসবুকে পিক ছাড়তে লাগল। সেই পিক দেখে জয়নুল সাহেব আনন্দে খুশি হতে লাগলেন।
অন্যদিকে ছোট মেয়ে লিপা মনের সুখে বনে জঙ্গলে ঘুরতে লাগল। সেই জঙ্গলে রাজপুত্রের মত সুন্দর এক ছেলের সাথে তার পরিচয় হলো। লিপার অনেক ইচ্ছে হচ্ছিল, এই ছেলের সাথে সেলফি তুলতে, কিন্তু তার nokia 1208 মোবাইল, ক্যামেরা নেই।
এদিকে বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়ে ঘুরতে গিয়ে তাদের বয়ফ্রেন্ড জুটিয়ে ফেলছে এবং ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়েছে ও একে অপরকে জরিয়ে ধরে পিক আপলোড দিছে।
এই দেখে জয়নুল সাহেবের মেজাজ হট হয়ে গেল। বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়ের পিকে কমেন্ট করল, "তোদের ত্যাজ্যকন্যা করলাম"। সাথে সাথে বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়েকে ফোন দিতে গেল, কিন্তু তাদের ফোন অফ।
বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়ের মন খুব খারাপ। তারা এত সুন্দর জায়গায় এসেছে অথচ তারা সেলফি তুলতে পারছেনা, চার্জ নেই বলে, সাথে চার্জার নিতেও মনে ছিল না। মোবাইল অফ হয়ে আছে।
তিনদিন পর তারা বাড়ি ফিরল। জয়নুল সাহেব কোন মেয়ের সাথেই কথা বলছেন না। ছোট মেয়ে লিপাকে বলল, " ওদের চলে যেতে বল? ওরা আমার মেয়ে না, আমার মেয়ে হলে এমন মান-সম্মান নষ্ট করত না"।
ছোট মেয়ে লিপা বুঝতে পারল, তার পিতার মেজাজ খুব হট। তার বাবা টক খেতে খুব ভালোবাসে, বাবাকে শান্ত করতে হলে তাকে আচার দিতে হবে।
সারা বাড়ি খুঁজেও আচার পাওয়া গেল না। বাইরে থেকে কিনে আনা যাবে না। বাইরের আচার দেখলে বাবার মেজাজ আরও হট হয়ে যাবে। কি দিয়ে না কি বানায় তার হিসেব নেই। তার লাগবে খাঁটি হাতে বানানো আচার।
এখন আচার কোথায় পাবে! হঠাৎ লিপার মনে হলো, তাদের উঠানে একটা আম গাছ রয়েছে। এবার অনেক আম ধরেছে, কিছু আম পেড়ে দ্রুত আচার বানিয়ে ফেলি।
তিন বোন মিলে আম গাছের কাছে গেল। কিন্তু আম পাড়বে কি করে, তারা কেউ গাছে চড়তে পাড়ে না।
এখন আম পাড়তে হলে বাঁশ লাগবে, আর বাঁশ পেতে হলে, যেতে হবে বাঁশ ঝাড়ে। বাঁশ কাটতে হলে লাগবে, দাঁ।
পুরো বাড়ি খুঁজেও দাঁ পাওয়া গেল না। কোন উপায় না পেয়ে লিপা তার nokia 1208 মোবাইল দিয়ে আম গাছে ঢিল হিসেবে মেরে
আম পাড়ল এবং আচার বানিয়ে বাবাকে দিল ও তার বাবার মন ভালো হয়ে গেল।
জয়নুল সাহেব ছোট মেয়ের nokia 1208 মোবাইল হাতে নিয়ে দেখতে লাগলেন, মোবাইলের কিছু হয়নি, ফুল চার্জ, ফুল নেটওয়ার্ক। অতঃপর জয়নুল সাহেব বুঝতে পারলো তার ছোট মেয়ে লিপার ভালবাসা কেমন, long lasting এবং মজবুত।
#nokia_1208
-- সুবোধ মন্ডল
বড় মেয়ের নাম, "দিপা"
মেঝ মেয়ের নাম, "নিপা"
ছোট মেয়ের নাম "লিপা"
জয়নুল সাহেব একদিন তার ৩ কন্যাকে ডেকে বললেন...
"আচ্ছা মা, তোমরা আমাকে কে কতটুকু কিরকম ভালবাসো?"
বড় কন্যা দিপা বলল,
"বাবা, আমি তোমাকে iphone এর মত ভালোবাসি।
মেঝ কন্যা নিপা বলল,
"আমি তোমাকে samsung এর মত ভালোবাসি।
ছোট কন্যা লিপা বলল,
"আমি তোমাকে nokia1208 এর মত ভালোবাসি।
ছোট মেয়ের কথা শুনে জয়নুল সাহেবের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। মনে মনে ভাবল,
আমার বড় কন্যা ও মেঝ কন্যার ভালবাসা
খুব দামি, কিন্তু ছোট মেয়ের ভালবাসা এত
কমদামি? নাহ্! ঐ ফহিন্নিরে বনবাসে পাঠামু।
যথারিতি জয়নুল সাহেব, বড় মেয়ে দিপাকে iphone কিনে দিল এবং তাকে জাফলং ঘুরতে পাঠিয়ে দিল।
মেঝ মেয়ে নিপাকে samsung মোবাইল কিনে দিল এবং তাকে কক্সবাজার ঘুরতে পাঠিয়ে দিল।
ছোট মেয়ে লিপাকে nokia 1208 মোবাইল
কিনে দিল এবং তাকে শাস্তিস্বরুপ বনের জঙ্গলে পাঠিয়ে দিলেন।
বড় মেয়ে দিপা ও মেঝ মেয়ে নিপা, তারা ১০ মিনিট পর পর ফেসবুকে পিক ছাড়তে লাগল। সেই পিক দেখে জয়নুল সাহেব আনন্দে খুশি হতে লাগলেন।
অন্যদিকে ছোট মেয়ে লিপা মনের সুখে বনে জঙ্গলে ঘুরতে লাগল। সেই জঙ্গলে রাজপুত্রের মত সুন্দর এক ছেলের সাথে তার পরিচয় হলো। লিপার অনেক ইচ্ছে হচ্ছিল, এই ছেলের সাথে সেলফি তুলতে, কিন্তু তার nokia 1208 মোবাইল, ক্যামেরা নেই।
এদিকে বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়ে ঘুরতে গিয়ে তাদের বয়ফ্রেন্ড জুটিয়ে ফেলছে এবং ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়েছে ও একে অপরকে জরিয়ে ধরে পিক আপলোড দিছে।
এই দেখে জয়নুল সাহেবের মেজাজ হট হয়ে গেল। বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়ের পিকে কমেন্ট করল, "তোদের ত্যাজ্যকন্যা করলাম"। সাথে সাথে বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়েকে ফোন দিতে গেল, কিন্তু তাদের ফোন অফ।
বড় মেয়ে ও মেঝ মেয়ের মন খুব খারাপ। তারা এত সুন্দর জায়গায় এসেছে অথচ তারা সেলফি তুলতে পারছেনা, চার্জ নেই বলে, সাথে চার্জার নিতেও মনে ছিল না। মোবাইল অফ হয়ে আছে।
তিনদিন পর তারা বাড়ি ফিরল। জয়নুল সাহেব কোন মেয়ের সাথেই কথা বলছেন না। ছোট মেয়ে লিপাকে বলল, " ওদের চলে যেতে বল? ওরা আমার মেয়ে না, আমার মেয়ে হলে এমন মান-সম্মান নষ্ট করত না"।
ছোট মেয়ে লিপা বুঝতে পারল, তার পিতার মেজাজ খুব হট। তার বাবা টক খেতে খুব ভালোবাসে, বাবাকে শান্ত করতে হলে তাকে আচার দিতে হবে।
সারা বাড়ি খুঁজেও আচার পাওয়া গেল না। বাইরে থেকে কিনে আনা যাবে না। বাইরের আচার দেখলে বাবার মেজাজ আরও হট হয়ে যাবে। কি দিয়ে না কি বানায় তার হিসেব নেই। তার লাগবে খাঁটি হাতে বানানো আচার।
এখন আচার কোথায় পাবে! হঠাৎ লিপার মনে হলো, তাদের উঠানে একটা আম গাছ রয়েছে। এবার অনেক আম ধরেছে, কিছু আম পেড়ে দ্রুত আচার বানিয়ে ফেলি।
তিন বোন মিলে আম গাছের কাছে গেল। কিন্তু আম পাড়বে কি করে, তারা কেউ গাছে চড়তে পাড়ে না।
এখন আম পাড়তে হলে বাঁশ লাগবে, আর বাঁশ পেতে হলে, যেতে হবে বাঁশ ঝাড়ে। বাঁশ কাটতে হলে লাগবে, দাঁ।
পুরো বাড়ি খুঁজেও দাঁ পাওয়া গেল না। কোন উপায় না পেয়ে লিপা তার nokia 1208 মোবাইল দিয়ে আম গাছে ঢিল হিসেবে মেরে
আম পাড়ল এবং আচার বানিয়ে বাবাকে দিল ও তার বাবার মন ভালো হয়ে গেল।
জয়নুল সাহেব ছোট মেয়ের nokia 1208 মোবাইল হাতে নিয়ে দেখতে লাগলেন, মোবাইলের কিছু হয়নি, ফুল চার্জ, ফুল নেটওয়ার্ক। অতঃপর জয়নুল সাহেব বুঝতে পারলো তার ছোট মেয়ে লিপার ভালবাসা কেমন, long lasting এবং মজবুত।
#nokia_1208
-- সুবোধ মন্ডল