What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

নিউমোনিয়া থেকে বাঁচতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন (1 Viewer)

LCgvfeT.jpg


প্রতি বছর ৮ লক্ষেরও বেশি শিশু প্রাণ হারায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের ১৫ শতাংশের মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। এটি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৭ সালের হিসাব। এই ৩ বছরে যদিও অবস্থার খুব একটা বদল হয়নি। বিশ্ব জুড়ে শিশু ও বয়স্ক মিলিয়ে ২০১৯ সালে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের।

গেল দুদিন আগেই পালিত হয়েছে নিউমোনিয়া দিবস। মূলত শিশুদের নিউমোনিয়ার কবল থেকে রক্ষা করতে গ্লোবাল কোয়ালিশন এগেনস্ট চাইল্ড নিউমোনিয়া ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর দিনটিকে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই সময় বিশ্বে নিউমোনিয়ায় ৫ বছরের কম বয়সিদের বাৎসরিক মৃত্যু ছিল প্রায় ১২ লক্ষ। গত ১১ বছরে সচেতনতা কিছুটা বাড়ায় মৃত্যু হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা গেছে। কনীনিকা জানালেন যে, “আমাদের দেশে ৩০ লক্ষ শিশুর নিউমোনিয়া সিভিয়ার অর্থাৎ মারাত্মক ধরনের। প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ৫ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ফুসফুসের এই অসুখে শিশু মৃত্যুর হার কমানোর উদ্দেশ্যে নিউমোনিয়া দিবস পালন করা হয়।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের লক্ষ্য এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে ২০২৫ সালে নিউমোনিয়ার কারণে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে তিনের নীচে নামিয়ে আনা। কনীনিকার মতে, “ফুসফুসের এই সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসায় মৃত্যু হার কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য শিশুর মা ও পরিবারের অন্যদের সচেতনতা বাড়ানো দরকার। বিশ্বে ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশের জন্য দায়ী নিউমোনিয়ায়।”

এই সাংঘাতিক রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে সতর্ক থাকলে অনেকাংশেই রুখে দেওয়া যায় বলে জানালেন ভারতীয় পালমোনলজিস্ট অশোক সেনগুপ্ত। শিশুদের এই ফুসফুসের অসুখ প্রতিরোধ করতে জন্মের পরে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে পরামর্শ দিলেন কনীনিকা। অর্থাৎ শিশুকে প্রথম ৬ মাস মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোনও খাবার দেওয়া চলবে না। যে সব বাচ্চা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয় তাদের নিউমোনিয়া-সহ যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে অনেক কম বলে জানালেন তারা। চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে। কেননা ভিটামিন এ ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে শিশুদের ক্ষেত্রে টিকার এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। হামের পর নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া ডিপথিরিয়া ও হিপ বি টিকা এবং নিউমোকক্কাল টিকা দিয়ে শিশুর রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

গবেষকরা বলছেন “নিউমোনিয়া হলে তিনটি প্রধান সমস্যা দেখা যায়। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। এর সঙ্গে বুকে ব্যথাও থাকতে পারে। একে বলা হয় প্লুরিটিক ব্যথা। জোরে শ্বাস টানলে বুকে ব্যথা করে। নিউমোনিয়ার শুরুতে শুকনো কাশি হয়। পরের দিকে কাশির সঙ্গে সর্দি বেরোয়। সর্দিতে রক্ত থাকতে পারে। অনেক সময় কালচে লাল ধরনের রক্ত বেরোয়।” নিউমোনিয়ার অন্যান্য উপসর্গ হিসেবে মাথার যন্ত্রণা, বমি বা বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, খিদে কমে যাওয়া, অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসার মতো উপসর্গ দেখা যাবে।

“বিভিন্ন ধরনের নিউমোনিয়ার মধ্যে আছে কমিউনিটি অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া, হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া, ভেন্টিলেটর অ্যাসোসিয়েটেড নিউমোনিয়া এবং অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া। এ ক্ষেত্রে খাওয়ার সময় সরাসরি ফুসফুসে খাবার গিয়ে বা জল-সহ অন্যান্য পানীয় ফুসফুসে ঢুকে গিয়ে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। শিশু হোক বা বয়স্ক, নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধুয়ে মাস্ক পরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি টিকা নেওয়া দরকার। কোভিড রোগীদের নিউমোনিয়া হলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। কাশি, জ্বর ও নিঃশ্বাসের কষ্ট হলে ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ কিনে না খেয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রয়োজনে অক্সিজেন দিতে হয়। বয়স্ক বা বাচ্চা একই প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করা হয়।”
 

Users who are viewing this thread

Back
Top