পরিসর এখনো সীমিত, তবু একটু একটু করে শুরু হয়েছে বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন। বাড়িতে কিংবা বাইরে স্বল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে। এমন দাওয়াতে শাড়িই মানায় ভালো। দাওয়াতের ধরন আর সময় বুঝে বেছে নিতে হবে শাড়ি আর সে অনুযায়ী সাজ।
এ সময়ের দাওয়াতের সাজে সেজেছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া | শাড়ি: টাঙ্গাইল শাড়ি কৃটির, সাজ: আফরোজা পারভীন, গয়না: কনক দ্য জুয়েলাির প্যালেস, ব্লাউজ: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
ধীরে ধীরে দাওয়াতের আয়োজন বাড়ছে। বড় যে অনুষ্ঠানগুলো আটকে ছিল বিধিনিষেধের কারণে, সীমিত পরিসরে হচ্ছে এখন। হয়তো বাড়িতে কিংবা বাইরেই গুটি কয়েক মানুষ নিয়ে। আলমারিতে তুলে রাখা নিমন্ত্রণে পরে যাওয়ার মতো গয়না ও শাড়িগুলোও ধুলা ঝেড়ে যেন প্রস্তুত। বাড়তি নয়, বরং অল্প সাজের যুগ এখন। দেশীয় শাড়ির আবেদন সব সময়ই ছিল, আছে, থাকবে। জামদানি, কাঁথাফোঁড়, মসলিন, সিল্ক, হালকা কাজের বেনারসি—মানানসই যেকোনো দাওয়াতেই। তবে নকশা ভারী না হালকা, তা নির্ভর করবে রাত–দিন বা আয়োজনের ওপর। চিরাচরিত নিয়মের মতো শাড়ির কাজ হালকা হলে একটু ভারী গয়না, শাড়ি জমকালো হলে গয়নার আড়ম্বরতা কম থাকে।
জামদানির স্নিগ্ধতায়
ছাইরঙা জামদানির পাশে হালকা নীল বর্ডার। স্বপ্নিল আবেশের ছোঁয়া শাড়ির নকশাজুড়ে। দিন বা রাত যেকোনো আয়োজনে মানাবে এটি। ব্লাউজেও মিলিয়ে ভারী কাজ। শাড়ির কাজ যেহেতু রুপালি, গয়নাও রুপার। জামদানি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হলেও সাজটায় আধুনিক ধাঁচ নিয়ে এসেছেন রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। চুল ব্লো ড্রাই করে খোলা রাখা হয়েছে। মেকআপ হালকা।
বাটিকের নকশায়
শাড়ি: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
মসলিনের শাড়ির ওপর রঙিন বাটিকের কাজ। দুপুরের কোনো আয়োজনের জন্য আদর্শ। গরমে আরাম দেবে, শাড়িটির কাজ এমনই। মুক্তা আর কুন্দনের ব্যবহার আছে, এমন গয়নাই বেছে দিলেন কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার লায়লা খায়ের। গলার মালাটি নিচু করেও পরা যাবে। রঙের ওপর নিজস্ব আভিজাত্য ধরে রাখবে। হাতাকাটা লাল রঙের ব্লাউজের কারণে ছিমছাম ভাব চলে এসেছে। শাড়ির পাড়ে জারদৌসি কাজের চেয়ে রঙিন নকশাই যেন নজর কাড়ছে বেশি। চুলের নিচের দিকটা বাইরের দিকে উল্টে দেওয়া (ফ্লিপড)।
জমকালো সাজে
শাড়ি: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
এই সাজ জমকালো। অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সবচেয়ে বেশি সেলফি তুলেছেন এই সাজেরই। সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্রে উপস্থিত গ্রাহকেরাও প্রশংসা করছিলেন মুগ্ধ হয়ে। কাছের কারও বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ সাজ। কুন্দনের কাজ করা ভারী দুল আর বালাতেই ইতি টানা হয়েছে। সাজে কিছুটা প্রভাব ষাটের দশক কিছুটা বর্তমান সময়ের—এককথায় বলা যায় ফিউশন।
শর্ষে রঙে
শাড়ি: টাঙাইল শাড়ি কুটির
শর্ষেরঙা সিল্কের শাড়ির ওপর সাদা–কালো রঙের নকশিকাঁথার কাজ। গলার চোকারটিতে কালচে রুপালি এবং সোনালি রঙের ছটা। চুড়িতেও একই ধারা। তামা দিয়ে তৈরি হাতের ব্যাগটির ওপরেও মিলিয়ে তিনটি রং। সামনের চুল পাফ করে উঁচু করা, পেছনে ক্লিপ দিয়ে আটকানো। কালো চিকেনের কাজ করা ব্লাউজটির হাতায় প্রজাপতি কাট। পুরো সাজে ষাটের দশকের ছোঁয়া।
সবুজ সাজে
শাড়ি: টাঙাইল শাড়ি কুটির
গাঢ় সবুজ রঙের বেনারসির নকশা আগের দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই পুরোনো ধাঁচটির সঙ্গেই নতুন জমানার সাজ জুড়ে দিলেন আফরোজা পারভীন। চোখে সবুজ স্মোকি আইশ্যাডো। ন্যুড লিপস্টিক। চুলের সামনের অংশ টুইস্ট করে পেছনে নিয়ে বান করা। দুলটিও লম্বাটে, এখনকার নকশা।
[FA]pen[/FA] লেখক: রয়া মুনতাসীর, ঢাকা
এ সময়ের দাওয়াতের সাজে সেজেছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া | শাড়ি: টাঙ্গাইল শাড়ি কৃটির, সাজ: আফরোজা পারভীন, গয়না: কনক দ্য জুয়েলাির প্যালেস, ব্লাউজ: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
ধীরে ধীরে দাওয়াতের আয়োজন বাড়ছে। বড় যে অনুষ্ঠানগুলো আটকে ছিল বিধিনিষেধের কারণে, সীমিত পরিসরে হচ্ছে এখন। হয়তো বাড়িতে কিংবা বাইরেই গুটি কয়েক মানুষ নিয়ে। আলমারিতে তুলে রাখা নিমন্ত্রণে পরে যাওয়ার মতো গয়না ও শাড়িগুলোও ধুলা ঝেড়ে যেন প্রস্তুত। বাড়তি নয়, বরং অল্প সাজের যুগ এখন। দেশীয় শাড়ির আবেদন সব সময়ই ছিল, আছে, থাকবে। জামদানি, কাঁথাফোঁড়, মসলিন, সিল্ক, হালকা কাজের বেনারসি—মানানসই যেকোনো দাওয়াতেই। তবে নকশা ভারী না হালকা, তা নির্ভর করবে রাত–দিন বা আয়োজনের ওপর। চিরাচরিত নিয়মের মতো শাড়ির কাজ হালকা হলে একটু ভারী গয়না, শাড়ি জমকালো হলে গয়নার আড়ম্বরতা কম থাকে।
জামদানির স্নিগ্ধতায়
ছাইরঙা জামদানির পাশে হালকা নীল বর্ডার। স্বপ্নিল আবেশের ছোঁয়া শাড়ির নকশাজুড়ে। দিন বা রাত যেকোনো আয়োজনে মানাবে এটি। ব্লাউজেও মিলিয়ে ভারী কাজ। শাড়ির কাজ যেহেতু রুপালি, গয়নাও রুপার। জামদানি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হলেও সাজটায় আধুনিক ধাঁচ নিয়ে এসেছেন রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। চুল ব্লো ড্রাই করে খোলা রাখা হয়েছে। মেকআপ হালকা।
বাটিকের নকশায়
শাড়ি: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
মসলিনের শাড়ির ওপর রঙিন বাটিকের কাজ। দুপুরের কোনো আয়োজনের জন্য আদর্শ। গরমে আরাম দেবে, শাড়িটির কাজ এমনই। মুক্তা আর কুন্দনের ব্যবহার আছে, এমন গয়নাই বেছে দিলেন কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেসের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার লায়লা খায়ের। গলার মালাটি নিচু করেও পরা যাবে। রঙের ওপর নিজস্ব আভিজাত্য ধরে রাখবে। হাতাকাটা লাল রঙের ব্লাউজের কারণে ছিমছাম ভাব চলে এসেছে। শাড়ির পাড়ে জারদৌসি কাজের চেয়ে রঙিন নকশাই যেন নজর কাড়ছে বেশি। চুলের নিচের দিকটা বাইরের দিকে উল্টে দেওয়া (ফ্লিপড)।
জমকালো সাজে
শাড়ি: অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ
এই সাজ জমকালো। অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সবচেয়ে বেশি সেলফি তুলেছেন এই সাজেরই। সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্রে উপস্থিত গ্রাহকেরাও প্রশংসা করছিলেন মুগ্ধ হয়ে। কাছের কারও বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য এটি হতে পারে আদর্শ সাজ। কুন্দনের কাজ করা ভারী দুল আর বালাতেই ইতি টানা হয়েছে। সাজে কিছুটা প্রভাব ষাটের দশক কিছুটা বর্তমান সময়ের—এককথায় বলা যায় ফিউশন।
শর্ষে রঙে
শাড়ি: টাঙাইল শাড়ি কুটির
শর্ষেরঙা সিল্কের শাড়ির ওপর সাদা–কালো রঙের নকশিকাঁথার কাজ। গলার চোকারটিতে কালচে রুপালি এবং সোনালি রঙের ছটা। চুড়িতেও একই ধারা। তামা দিয়ে তৈরি হাতের ব্যাগটির ওপরেও মিলিয়ে তিনটি রং। সামনের চুল পাফ করে উঁচু করা, পেছনে ক্লিপ দিয়ে আটকানো। কালো চিকেনের কাজ করা ব্লাউজটির হাতায় প্রজাপতি কাট। পুরো সাজে ষাটের দশকের ছোঁয়া।
সবুজ সাজে
শাড়ি: টাঙাইল শাড়ি কুটির
গাঢ় সবুজ রঙের বেনারসির নকশা আগের দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই পুরোনো ধাঁচটির সঙ্গেই নতুন জমানার সাজ জুড়ে দিলেন আফরোজা পারভীন। চোখে সবুজ স্মোকি আইশ্যাডো। ন্যুড লিপস্টিক। চুলের সামনের অংশ টুইস্ট করে পেছনে নিয়ে বান করা। দুলটিও লম্বাটে, এখনকার নকশা।
[FA]pen[/FA] লেখক: রয়া মুনতাসীর, ঢাকা