বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) এমন একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যা জাল ও অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের সিমের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে ফোনগুলোকে অকার্যকর করে দিবে।
আশা করা হচ্ছে যে ২০২১ সালের শুরুর দিকে পরিকল্পনাটি কার্যকর করা হবে। এক সাক্ষাৎকারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেছেন, “অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছর শুরু থেকে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
তিনি আরো জানান, ফোন আমদানিকারক, অপারেটর এবং বাংলাদেশী মোবাইল নির্মাতাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে গত তিন বছরে একটি ডাটাবেসে ১১ কোটির বেশি আইএমইআই নম্বর যুক্ত করা হয়।
২০১৮ এর আগে বিক্রিকৃত ও আইএমইআই লিস্টে না থাকা ফোনগুলোর সম্পর্কে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “২০১৯ সালের আগস্টের আগে ক্রয়কৃত যেসব সেট মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে সেসব হ্যান্ডসেট নির্ধারিত সময়ের জন্য নিবন্ধিত করার একটা সুযোগ দেওয়া হবে।”
কেউ বিদেশে ভ্রমণে গিয়ে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ফোন কিনলে বা কারো কাছ থেকে ফোন উপহার পেলে সেটা উপযুক্ত দলিল পেশ করে বিটিআরসির কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নেয়ার ব্যবস্থা থাকবে যেন ফোন বন্ধ না হয়।
পত্রিকাটি জানাচ্ছে, দেশের ব্যবসায়ীদের প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, দেশের মানুষ ব্যবহার করছে প্রায় তিন কোটি অবৈধ মোবাইল ফোন। এগুলোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, যা প্রতিহত করতে এই উদ্যোগ।
আপনার ফোনের বৈধতা যাচাই করবেন যেভাবে
বিটিআরসি আগে থেকেই জানিয়ে আসছে যে মোবাইল ফোন কেনার আগে আইএমইআই কোড ব্যবহার করে ফোনটির বৈধতা যাচাই করে নিতে। এছাড়াও বিক্রেতার কাছ থেকে হ্যান্ডসেট কেনার রশিদও নিতে হবে।
মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য –
- মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুনঃ KYD <স্পেস> ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর
- মেসেজটি পাঠান 16002 নম্বরে।
- ফিরতি এসএমএস এ আপনার ফোনের বৈধতা সম্পর্কিত তথ্য জানানো হবে।