বিশ্বে পুরুষদের বিভিন্ন উদ্ভাবন বা আবিষ্কার নিয়ে যেভাবে আলোচনা হয়, নারীদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটা নয়। নারীদের অবদানকে কিছুটা খাটো করে দেখার প্রবণতাও দেখা গেছে নানা সময়ে। কিন্তু নারীদের এমন কিছু উদ্ভাবন আছে, যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে যেমন কাজে এসেছে, তেমনি অনেকের জীবনও বাঁচিয়েছে। তবে নারী উদ্ভাবকের নাম পাদপ্রদীপের আলোয় আসেনি ততটা।
জীবন রক্ষাকারী ভেলা
১৮৮০ সালের শুরুর দিকের কথা। তখন ইউরোপ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে শরণার্থী আসছিল যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকেই আসছিল সমুদ্রপথে। সেই সময় মারিয়া ই বিজলে নামের ফিলাডেলফিয়ার একজন উদ্ভাবক তৈরি করেছিলেন এক বিশেষ ধরনের জীবন রক্ষাকারী ভেলা। জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে পরিত্যক্ত হলে এই ভেলাগুলো ব্যবহার করা হতো।
এর আগে ১৮৭০–এর দশকে যেসব জীবন রক্ষাকারী ভেলা ছিল, সেগুলো ছিল অনিরাপদ। বিজলে তাঁর তৈরি ভেলার চারপাশে খাঁচার মতো কাঠামো তৈরি করেছিলেন। ফলে উথালপাতাল ঢেউয়ের সময় নৌকা থেকে যাত্রীদের ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল না। এতে করে বেঁচে গিয়েছিল অসংখ্য মানুষের প্রাণ। ১৮৮২ সালে এই বিশেষ জীবন রক্ষাকারী ভেলার পেটেন্ট পেয়েছিলেন মারিয়া ই বিজলে। এই উদ্ভাবনের বাইরে পা গরম করার একটি যন্ত্রও তৈরি করেছিলেন তিনি। সেটিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পেটেন্ট পেয়েছিল।
বাসন ধোয়ার যন্ত্র
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের বাসিন্দা ছিলেন জোসেফিন জি কোখরান। থালাবাসন ধোয়ার যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি। নিজের বাড়িতে তাঁর অনেক গৃহকর্মী ছিল। জোসেফিনের সংগ্রহে ছিল চীনা সিরামিকের অনেক বাসনকোসন। গৃহকর্ত্রী একসময় দেখলেন, গৃহকর্মীরা পরিষ্কার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু চীনা সিরামিকের বাসন দুর্ঘটনাবশত ভেঙে ফেলছেন। তখন কোখরানের টনক নড়ে। ঠিক সেই সময়ই বাসন ধোয়ার একটি যন্ত্র তৈরির কথা তাঁর মাথায় আসে। এর ফলাফল হিসেবেই বাণিজ্যিকভাবে প্রথম তৈরি হয় বাসন ধোয়ার যন্ত্র।
১৮৮৬ সালে উদ্ভাবক হিসেবে নিজের নামে এর পেটেন্ট নথিবদ্ধ করেছিলেন জোসেফিন। এর আগের মডেলগুলোর তুলনায় জোসেফিনের যন্ত্রটি ছিল বেশি কার্যকর ও উন্নত। পানির চাপ ব্যবহার করে বাসন পরিষ্কার করা হতো এই যন্ত্রে। এই বিশেষ যন্ত্র বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য একটি কোম্পানিও গড়ে তুলেছিলেন কোখরান। সেখান থেকে উৎপাদিত যন্ত্রগুলো বিক্রি করা হয়েছিল বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয়।
তথ্যসূত্র: ইনভেনশন ডট এসআই ডট এডু, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বায়োগ্রাফি ডটকম, হিস্ট্রি ডটকম, আমেরিকান হিস্ট্রি ও স্মিথসোনিয়ান ম্যাগ
জীবন রক্ষাকারী ভেলা
১৮৮০ সালের শুরুর দিকের কথা। তখন ইউরোপ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে শরণার্থী আসছিল যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকেই আসছিল সমুদ্রপথে। সেই সময় মারিয়া ই বিজলে নামের ফিলাডেলফিয়ার একজন উদ্ভাবক তৈরি করেছিলেন এক বিশেষ ধরনের জীবন রক্ষাকারী ভেলা। জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে পরিত্যক্ত হলে এই ভেলাগুলো ব্যবহার করা হতো।
এর আগে ১৮৭০–এর দশকে যেসব জীবন রক্ষাকারী ভেলা ছিল, সেগুলো ছিল অনিরাপদ। বিজলে তাঁর তৈরি ভেলার চারপাশে খাঁচার মতো কাঠামো তৈরি করেছিলেন। ফলে উথালপাতাল ঢেউয়ের সময় নৌকা থেকে যাত্রীদের ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল না। এতে করে বেঁচে গিয়েছিল অসংখ্য মানুষের প্রাণ। ১৮৮২ সালে এই বিশেষ জীবন রক্ষাকারী ভেলার পেটেন্ট পেয়েছিলেন মারিয়া ই বিজলে। এই উদ্ভাবনের বাইরে পা গরম করার একটি যন্ত্রও তৈরি করেছিলেন তিনি। সেটিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পেটেন্ট পেয়েছিল।
বাসন ধোয়ার যন্ত্র
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের বাসিন্দা ছিলেন জোসেফিন জি কোখরান। থালাবাসন ধোয়ার যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি। নিজের বাড়িতে তাঁর অনেক গৃহকর্মী ছিল। জোসেফিনের সংগ্রহে ছিল চীনা সিরামিকের অনেক বাসনকোসন। গৃহকর্ত্রী একসময় দেখলেন, গৃহকর্মীরা পরিষ্কার করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু চীনা সিরামিকের বাসন দুর্ঘটনাবশত ভেঙে ফেলছেন। তখন কোখরানের টনক নড়ে। ঠিক সেই সময়ই বাসন ধোয়ার একটি যন্ত্র তৈরির কথা তাঁর মাথায় আসে। এর ফলাফল হিসেবেই বাণিজ্যিকভাবে প্রথম তৈরি হয় বাসন ধোয়ার যন্ত্র।
১৮৮৬ সালে উদ্ভাবক হিসেবে নিজের নামে এর পেটেন্ট নথিবদ্ধ করেছিলেন জোসেফিন। এর আগের মডেলগুলোর তুলনায় জোসেফিনের যন্ত্রটি ছিল বেশি কার্যকর ও উন্নত। পানির চাপ ব্যবহার করে বাসন পরিষ্কার করা হতো এই যন্ত্রে। এই বিশেষ যন্ত্র বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য একটি কোম্পানিও গড়ে তুলেছিলেন কোখরান। সেখান থেকে উৎপাদিত যন্ত্রগুলো বিক্রি করা হয়েছিল বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয়।
তথ্যসূত্র: ইনভেনশন ডট এসআই ডট এডু, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বায়োগ্রাফি ডটকম, হিস্ট্রি ডটকম, আমেরিকান হিস্ট্রি ও স্মিথসোনিয়ান ম্যাগ