Mashruhan Eshita
Expert Member
©Collected
গল্পটি আমার এক ব্যাবসায়ি বন্ধুর মুখে শোনা। যে ভাবে শুনেছি সেই ভাবেই হুবুহু তুলে দিচ্ছি। মূল চরিত্রের প্রয়োজনে এই গল্পে আমাকে প্রচুর হিন্দি ভাষার ব্যাবহার করতে হয়েছে। আমার ওই ব্যাবসায়ি বন্ধু হিন্দি ভাষায় ভীষণ দক্ষ। আমার কিন্তু হিন্দি ভাষায় দখল অত্যন্ত কম। সত্যি কথা বলতে কি নিজের হিন্দি উচ্চরন শুনে মাঝে মাঝে নিজেই আঁতকে উঠি। আর হিন্দি গ্রামার বা হিন্দি শব্দের প্রয়োগ জ্ঞান কে তো প্রায় বীভৎস বললেই চলে। নিতান্ত দরকার না পরলে আমি কখনো হিন্দি বলিনা আর লেখার তো কোন ব্যাপারই নেই। তবুও গল্পের প্রয়োজনে আমাকে নিতান্ত অনিচ্ছাস্বত্বেও প্রচুর হিন্দি ব্যাবহার করতে হয়েছে এবং আমি জানি প্রচুর যা তা ভুল ভাল ও হয়েছে। পাঠকগন নিজগুনে আমাকে মাফ করবেন।
মুনিয়াকে আমি প্রথম দেখি ধর্মতলায় আমার নিজের অফিসে। রামদিন বলে একটা বিহারী ড্রাইভার সেই বাবার আমল থেকে আমাদের বাড়িতে গাড়ি চালাতো। যদিও ওর অনেক বয়েস হয়ে গিয়েছিল তবুও বাবা মারা যাবার পরও আমি ওকে ছাড়াইনি । যাই হোক ওর ছেলে আর বউ বিহারে গ্রামের বাড়িতে থাকতো আর ওর চাষবাস দেখা শোনা করতো। একদিন রামদিন এসে আমাকে বললো যে ও আর আমার গাড়ি চালাতে পারবেনা। ও ওর গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। আমি ওকে কারন জিজ্ঞেস করাতে ও বললো যে ওর ছেলে খুব ভাল একটা সরকারি চাকরী পেয়েছে, তাই সে আর তার বৃদ্ধ বাবাকে শহরে একলা থেকে কাজ করতে দিতে চায়না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওর হিসাব করে দিলাম। ওর যা পাওনা তার থেকে অনেক বেশিই দিলাম। ও খুশি হয়ে আমাকে অনেক আশীর্বাদ করলো আর বলে গেল যে ওর সাথে বস্তিতে সুনিল বলে একটা ছেলে থাকে। সেও বেশ ভাল ড্রাইভার। আগে একটা কোম্পানির হয়ে গাড়ি চালাতো, অনেক টাকা উপার্জন ও করতো। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে এখন ওর আর চাকরী নেই। বউবাচ্ছা নিয়ে বেশ অর্থকষ্টে আছে। আমি যদি বলি তাহলে ও ওকে আমার এখানে গাড়ি চলানোর জন্য লাগিয়ে যাবে। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। না হলে আবার এদিক ওদিক বিশ্বাসী ড্রাইভার খুজতে হত। রামদিন সুনিলের সম্মন্ধে আরো জানালো যে ছেলেটার নাকি ভীষণ মদ খাবার নেশা ছিল। মদে সবসময় চূড় হয়ে থাকতো ও। এক বছর আগে হটাত একদিন অসম্ভব পেটে ব্যাথা নিয়ে হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছিল ওকে। শোনাগেছে ডাক্তারবাবুরা নাকি বলেছে যে ওর লিভার পচে যাচ্ছে। একমাস ধরে যমে মানুষে টানাটানি হবার পর কোনক্রমে বেঁচে বাড়ি ফিরেছে । মদ খাওয়া অবশ্য এখন একদম ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু চেহারাটা একবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। আমি রামদিন কে বললাম ঠিক আছে মদ যখন আর খায়না তখন আর অসুবিধে নেই, তুমি ওকে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।
গল্পটি আমার এক ব্যাবসায়ি বন্ধুর মুখে শোনা। যে ভাবে শুনেছি সেই ভাবেই হুবুহু তুলে দিচ্ছি। মূল চরিত্রের প্রয়োজনে এই গল্পে আমাকে প্রচুর হিন্দি ভাষার ব্যাবহার করতে হয়েছে। আমার ওই ব্যাবসায়ি বন্ধু হিন্দি ভাষায় ভীষণ দক্ষ। আমার কিন্তু হিন্দি ভাষায় দখল অত্যন্ত কম। সত্যি কথা বলতে কি নিজের হিন্দি উচ্চরন শুনে মাঝে মাঝে নিজেই আঁতকে উঠি। আর হিন্দি গ্রামার বা হিন্দি শব্দের প্রয়োগ জ্ঞান কে তো প্রায় বীভৎস বললেই চলে। নিতান্ত দরকার না পরলে আমি কখনো হিন্দি বলিনা আর লেখার তো কোন ব্যাপারই নেই। তবুও গল্পের প্রয়োজনে আমাকে নিতান্ত অনিচ্ছাস্বত্বেও প্রচুর হিন্দি ব্যাবহার করতে হয়েছে এবং আমি জানি প্রচুর যা তা ভুল ভাল ও হয়েছে। পাঠকগন নিজগুনে আমাকে মাফ করবেন।
মুনিয়াকে আমি প্রথম দেখি ধর্মতলায় আমার নিজের অফিসে। রামদিন বলে একটা বিহারী ড্রাইভার সেই বাবার আমল থেকে আমাদের বাড়িতে গাড়ি চালাতো। যদিও ওর অনেক বয়েস হয়ে গিয়েছিল তবুও বাবা মারা যাবার পরও আমি ওকে ছাড়াইনি । যাই হোক ওর ছেলে আর বউ বিহারে গ্রামের বাড়িতে থাকতো আর ওর চাষবাস দেখা শোনা করতো। একদিন রামদিন এসে আমাকে বললো যে ও আর আমার গাড়ি চালাতে পারবেনা। ও ওর গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। আমি ওকে কারন জিজ্ঞেস করাতে ও বললো যে ওর ছেলে খুব ভাল একটা সরকারি চাকরী পেয়েছে, তাই সে আর তার বৃদ্ধ বাবাকে শহরে একলা থেকে কাজ করতে দিতে চায়না। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওর হিসাব করে দিলাম। ওর যা পাওনা তার থেকে অনেক বেশিই দিলাম। ও খুশি হয়ে আমাকে অনেক আশীর্বাদ করলো আর বলে গেল যে ওর সাথে বস্তিতে সুনিল বলে একটা ছেলে থাকে। সেও বেশ ভাল ড্রাইভার। আগে একটা কোম্পানির হয়ে গাড়ি চালাতো, অনেক টাকা উপার্জন ও করতো। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে এখন ওর আর চাকরী নেই। বউবাচ্ছা নিয়ে বেশ অর্থকষ্টে আছে। আমি যদি বলি তাহলে ও ওকে আমার এখানে গাড়ি চলানোর জন্য লাগিয়ে যাবে। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। না হলে আবার এদিক ওদিক বিশ্বাসী ড্রাইভার খুজতে হত। রামদিন সুনিলের সম্মন্ধে আরো জানালো যে ছেলেটার নাকি ভীষণ মদ খাবার নেশা ছিল। মদে সবসময় চূড় হয়ে থাকতো ও। এক বছর আগে হটাত একদিন অসম্ভব পেটে ব্যাথা নিয়ে হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছিল ওকে। শোনাগেছে ডাক্তারবাবুরা নাকি বলেছে যে ওর লিভার পচে যাচ্ছে। একমাস ধরে যমে মানুষে টানাটানি হবার পর কোনক্রমে বেঁচে বাড়ি ফিরেছে । মদ খাওয়া অবশ্য এখন একদম ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু চেহারাটা একবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। আমি রামদিন কে বললাম ঠিক আছে মদ যখন আর খায়না তখন আর অসুবিধে নেই, তুমি ওকে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।