১৫২৬ সালে পানিপথের যুদ্ধে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর আফগান শাসক ইব্রাহীম লোদিকে পরাজিত করেন। এরই মাধ্যমে গোড়াপত্তন হয় মুঘল শাসনের। বাবর মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেও এই সাম্রাজ্য উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে তৃতীয় মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মুহাম্মদ আকবরের হাত ধরে। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৩০০ বছর স্থায়ী হয়েছিল এই মুঘল শাসন।ভারতবর্ষে মোঘল সাম্রাজ্যের সীমানা বর্তমান বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্থান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সমসাময়িক অন্যান্য সাম্রাজ্যের তুলনায় ভীষণ প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করা মোঘলদের শাসনক্ষেত্র ছিল ৪০ লাখ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের। সে সময় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করত এই সাম্রাজ্যের অধীনে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে ছিল এই বাবর? কি ছিল তার বংশ পরিচয়?
মুসলিম,ইহুদি,খ্রিস্টান ধর্মমত অনুযায়ী হযরত নুহ(আ.) এর সময় সংঘটিত হয় "মহাপ্লাবন"। আল্লাহর নির্দেশে গুটিকয় অনুসারীসহ নিজের তৈরি নৌকায় উঠে প্রাণ বাঁচান নুহ (আ.)। এই মহাপ্লাবনে বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নুহ (আ.) এর এক পুত্র ইয়াসেফ। মহাপ্লাবন শেষ হওয়ার পর ইয়াসেফ বংশবিস্তারের উদ্দেশ্য "ভলগা" এবং "ইউরাল" নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে চলে যান।(বর্তমান তুর্কেমেনিস্তান কাজাখস্তান উজবেকিস্তান। পরবর্তীতে তার বংশধরগণ রাশিয়া ও চীনের ছড়িয়ে পড়ে।)
নুহ(আ.) এর সন্তান ইয়াফেস এর ছিল ৮ সন্তান। এদের একজন ছিলেন তুর্ক। আবার তুর্কের চার পুত্রের একজন ছিলেন তুতেক। তুতেক এর সন্তান আনেনযা হান এর দুজন যমজ সন্তান জন্ম হয়। যাদের নাম ছিল "তাতার এবং মঙ্গল"।
"তাতার" এবং "মঙ্গল" এর মাধ্যমে ২টি বংশের সৃষ্টি হয় আর তা হচ্ছে মঙ্গলিয়ান ও তাতারিয়ান।
এই মঙ্গোলিয়ান বংশেই জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত চেঙ্গিস খান। পরবর্তীকালে এই মঙ্গল বংশে আবির্ভাব হয় আরেক দুর্ধর্ষ দিগ্বিজয়ী তৈমুর লং এর। বাবর ছিলেন এই তৈমুর লং এর অধস্তন চতুর্থ পুরুষ এবং মায়ের দিক থেকে বাবর ছিলেন চেঙ্গিস খানের বংশধর। এই হচ্ছে মোটামুটি বাবর এর বংশ পরিচয়।
১৪৯৪ সালে বাবর মাত্র এগার-বারো বছর বয়সে বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে বর্তমান উজবেকিস্তানের (তখন বলা হতো ফারগানা) সিংহাসনে বসেন। বাবরের প্রথম শাসনকাল শুরু হয় অনেকগুলো পরাজয় দিয়ে। সিংহাসনে আরোহনের সাথে সাথেই চরম বিরোধিতার মুখোমুখি হন বাবর। এখানে বলে রাখা ভালো, তখন মধ্য এশিয়ার আশেপাশের প্রায় সব এলাকার শাসকর্তারা ছিল তারই আত্মীয়-স্বজন। এদের মধ্যে বিশেষ করে তার দুই চাচা বাবরকে সিংহাসন থেকে সরাবার চেষ্টা করতে থাকে। বাবর তার নানী আইসন দৌলত বেগমের সহায়তায় এবং কিছুটা ভাগ্যের জোরে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
এর কয়েক বছর পরই বাবর উজবেকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইরানের সমরকন্দ শহর জয় করে ফেলেন মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই, কিন্তু তার রাজ্য উজবেকিস্তান (ফারগানা) হাতছাড়া হয়ে যায় ঐ একই সময়ে। তিনি উজবেকিস্তান পুনর্দখলের আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু বাবরের দুর্ভাগ্য, তিনি হারিয়ে ফেলেন সমরকন্দও। বাবর হয়ে পড়েন রাজ্যহারা। তিনি ১৫০১ সালে হারানো দু'টি এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেও মোহাম্মাদ শায়বানী খানের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। আরম্ভ হয় বাবরের কঠিন সময়। বাবর তার অল্প কিছু অনুসারী নিয়ে মধ্য এশিয়ার পর্বত মালা এবং তাশখন্দের আশেপাশের অঞ্চলে উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়ান কয়েক বছর। ভাগ্যের পরিহাস, উজবেকিস্তানের শাসক হবার মাত্র দশ বছরের মাথায় বাবর হয়ে যান কপর্দকহীন রাজ্যবিহীন এক যাযাবর। এই সময়টায় তিনি বেঁচে ছিলেন স্থানীয় কৃষক আর তার কিছু বন্ধুদের সহায়তায়। আশেপাশের কোনো রাজ্যই তাকে আশ্রয় দিতে এগিয়ে আসেনি, যদিও এসব রাজ্যের বেশীরভাগ অধিপতিরা ছিল বাবরেরই ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজন। যেমন, তাশখন্দের শাসক ছিলেন বাবরের আপন মামা, যিনি কিছুতেই বাবরকে তার রাজ্যে দেখতে চাননি। বাবর পরবর্তীতে নিজেই লিখেছেন, "তাশখন্দে অবস্থানকালে আমি অনেক দারিদ্র্যতা ও অপমান সহ্য করেছি। না ছিল আমার কোনো দেশ, না কোনো আশা!" আশাহীন বাবর কি করে ঘুরে দাঁড়ালেন আবার, আসুন দেখি সেই উপাখ্যান।
এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সর্বহারা বাবর ধীরে ধীরে শক্তিশালী সৈন্য বাহিনী গড়ে তুলেন। ১৫০৪ সালে তিনি করে ফেলেন এক দুঃসাহসিক পরিকল্পনা। বাবর তুষারে আবৃত দুর্গম হিন্দুকুশ পর্বতমালা অতিক্রম করে কাবুল দখল করে ফেলেন, যা কিনা তখন অনেক শাসকের কাছে ছিল অকল্পনীয়। রণকৌশল হিসেবে এরপর তিনি ইরানের সাফাভিদদের সাথে মৈত্রী করে সমরকন্দসহ তুর্কিস্তানের কিছু এলাকা দখল করেন আবারো। হায়রে ভাগ্য বাবরের! এই বিজয় বেশীদিন ভোগ করতে পারলেন না, আবার হারিয়ে ফেললেন সমরকন্দসহ তুর্কিস্তানের বিজিত এলাকাগুলো শায়বানী খানের কাছে সমরকন্দ হারানোর ব্যথা তাকে বহুদিন তাড়া করে বেড়ায়। এমনকি বিশাল ভারতবর্ষের সম্রাট হবার পরও সমরকন্দে বারবার পরাজয়ের কথা তিনি কিছুতেই ভুলতে পারেন নি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বাবর সমরকন্দ না পাবার আক্ষেপ করে গেছেন।
তৃতীয়বারের মতো সমরকন্দ হাতছাড়া হবার পর বাবর মনোযোগ দিলেন ভারতের দিকে। ঐ সময়টায় ভারতের একটি বড় অংশ শাসন করতো আফগানি ইব্রাহিম লোদী, আর রাজস্থান শাসন করতো রাজপূত রাজা রানা সাঙ্গা। ১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে বাবর ভারতে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন। যদিও প্রথমে রানা সাঙ্গা প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, সে বাবরকে সাহায্য করবে ইব্রাহিম লোদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ের জন্য, কিন্তু রানা সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। রানা পরে বুঝতে পেরেছিল যে বাবর ভারতবর্ষ ছেড়ে সহজে যাবে না। এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গই ছিল রানার বড় একটি ভুল, এবং এ ভুলের মাশুল তাকে দিতে হলো পরের বছরই। বাবর ১৫২৭ সালে খানওয়ার যুদ্ধে রানাকে পরাজিত করে রাজস্থান দখল করে ফেলেন। এরপর বাবরকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, তিনি এগিয়ে চললেন ভারতে নতুন এক ইতিহাস রচনায়।
মুসলিম,ইহুদি,খ্রিস্টান ধর্মমত অনুযায়ী হযরত নুহ(আ.) এর সময় সংঘটিত হয় "মহাপ্লাবন"। আল্লাহর নির্দেশে গুটিকয় অনুসারীসহ নিজের তৈরি নৌকায় উঠে প্রাণ বাঁচান নুহ (আ.)। এই মহাপ্লাবনে বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নুহ (আ.) এর এক পুত্র ইয়াসেফ। মহাপ্লাবন শেষ হওয়ার পর ইয়াসেফ বংশবিস্তারের উদ্দেশ্য "ভলগা" এবং "ইউরাল" নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে চলে যান।(বর্তমান তুর্কেমেনিস্তান কাজাখস্তান উজবেকিস্তান। পরবর্তীতে তার বংশধরগণ রাশিয়া ও চীনের ছড়িয়ে পড়ে।)
নুহ(আ.) এর সন্তান ইয়াফেস এর ছিল ৮ সন্তান। এদের একজন ছিলেন তুর্ক। আবার তুর্কের চার পুত্রের একজন ছিলেন তুতেক। তুতেক এর সন্তান আনেনযা হান এর দুজন যমজ সন্তান জন্ম হয়। যাদের নাম ছিল "তাতার এবং মঙ্গল"।
"তাতার" এবং "মঙ্গল" এর মাধ্যমে ২টি বংশের সৃষ্টি হয় আর তা হচ্ছে মঙ্গলিয়ান ও তাতারিয়ান।
এই মঙ্গোলিয়ান বংশেই জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত চেঙ্গিস খান। পরবর্তীকালে এই মঙ্গল বংশে আবির্ভাব হয় আরেক দুর্ধর্ষ দিগ্বিজয়ী তৈমুর লং এর। বাবর ছিলেন এই তৈমুর লং এর অধস্তন চতুর্থ পুরুষ এবং মায়ের দিক থেকে বাবর ছিলেন চেঙ্গিস খানের বংশধর। এই হচ্ছে মোটামুটি বাবর এর বংশ পরিচয়।
১৪৯৪ সালে বাবর মাত্র এগার-বারো বছর বয়সে বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে বর্তমান উজবেকিস্তানের (তখন বলা হতো ফারগানা) সিংহাসনে বসেন। বাবরের প্রথম শাসনকাল শুরু হয় অনেকগুলো পরাজয় দিয়ে। সিংহাসনে আরোহনের সাথে সাথেই চরম বিরোধিতার মুখোমুখি হন বাবর। এখানে বলে রাখা ভালো, তখন মধ্য এশিয়ার আশেপাশের প্রায় সব এলাকার শাসকর্তারা ছিল তারই আত্মীয়-স্বজন। এদের মধ্যে বিশেষ করে তার দুই চাচা বাবরকে সিংহাসন থেকে সরাবার চেষ্টা করতে থাকে। বাবর তার নানী আইসন দৌলত বেগমের সহায়তায় এবং কিছুটা ভাগ্যের জোরে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
এর কয়েক বছর পরই বাবর উজবেকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইরানের সমরকন্দ শহর জয় করে ফেলেন মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই, কিন্তু তার রাজ্য উজবেকিস্তান (ফারগানা) হাতছাড়া হয়ে যায় ঐ একই সময়ে। তিনি উজবেকিস্তান পুনর্দখলের আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু বাবরের দুর্ভাগ্য, তিনি হারিয়ে ফেলেন সমরকন্দও। বাবর হয়ে পড়েন রাজ্যহারা। তিনি ১৫০১ সালে হারানো দু'টি এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেও মোহাম্মাদ শায়বানী খানের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। আরম্ভ হয় বাবরের কঠিন সময়। বাবর তার অল্প কিছু অনুসারী নিয়ে মধ্য এশিয়ার পর্বত মালা এবং তাশখন্দের আশেপাশের অঞ্চলে উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়ান কয়েক বছর। ভাগ্যের পরিহাস, উজবেকিস্তানের শাসক হবার মাত্র দশ বছরের মাথায় বাবর হয়ে যান কপর্দকহীন রাজ্যবিহীন এক যাযাবর। এই সময়টায় তিনি বেঁচে ছিলেন স্থানীয় কৃষক আর তার কিছু বন্ধুদের সহায়তায়। আশেপাশের কোনো রাজ্যই তাকে আশ্রয় দিতে এগিয়ে আসেনি, যদিও এসব রাজ্যের বেশীরভাগ অধিপতিরা ছিল বাবরেরই ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজন। যেমন, তাশখন্দের শাসক ছিলেন বাবরের আপন মামা, যিনি কিছুতেই বাবরকে তার রাজ্যে দেখতে চাননি। বাবর পরবর্তীতে নিজেই লিখেছেন, "তাশখন্দে অবস্থানকালে আমি অনেক দারিদ্র্যতা ও অপমান সহ্য করেছি। না ছিল আমার কোনো দেশ, না কোনো আশা!" আশাহীন বাবর কি করে ঘুরে দাঁড়ালেন আবার, আসুন দেখি সেই উপাখ্যান।
এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সর্বহারা বাবর ধীরে ধীরে শক্তিশালী সৈন্য বাহিনী গড়ে তুলেন। ১৫০৪ সালে তিনি করে ফেলেন এক দুঃসাহসিক পরিকল্পনা। বাবর তুষারে আবৃত দুর্গম হিন্দুকুশ পর্বতমালা অতিক্রম করে কাবুল দখল করে ফেলেন, যা কিনা তখন অনেক শাসকের কাছে ছিল অকল্পনীয়। রণকৌশল হিসেবে এরপর তিনি ইরানের সাফাভিদদের সাথে মৈত্রী করে সমরকন্দসহ তুর্কিস্তানের কিছু এলাকা দখল করেন আবারো। হায়রে ভাগ্য বাবরের! এই বিজয় বেশীদিন ভোগ করতে পারলেন না, আবার হারিয়ে ফেললেন সমরকন্দসহ তুর্কিস্তানের বিজিত এলাকাগুলো শায়বানী খানের কাছে সমরকন্দ হারানোর ব্যথা তাকে বহুদিন তাড়া করে বেড়ায়। এমনকি বিশাল ভারতবর্ষের সম্রাট হবার পরও সমরকন্দে বারবার পরাজয়ের কথা তিনি কিছুতেই ভুলতে পারেন নি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বাবর সমরকন্দ না পাবার আক্ষেপ করে গেছেন।
তৃতীয়বারের মতো সমরকন্দ হাতছাড়া হবার পর বাবর মনোযোগ দিলেন ভারতের দিকে। ঐ সময়টায় ভারতের একটি বড় অংশ শাসন করতো আফগানি ইব্রাহিম লোদী, আর রাজস্থান শাসন করতো রাজপূত রাজা রানা সাঙ্গা। ১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করে বাবর ভারতে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন। যদিও প্রথমে রানা সাঙ্গা প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, সে বাবরকে সাহায্য করবে ইব্রাহিম লোদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ের জন্য, কিন্তু রানা সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। রানা পরে বুঝতে পেরেছিল যে বাবর ভারতবর্ষ ছেড়ে সহজে যাবে না। এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গই ছিল রানার বড় একটি ভুল, এবং এ ভুলের মাশুল তাকে দিতে হলো পরের বছরই। বাবর ১৫২৭ সালে খানওয়ার যুদ্ধে রানাকে পরাজিত করে রাজস্থান দখল করে ফেলেন। এরপর বাবরকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, তিনি এগিয়ে চললেন ভারতে নতুন এক ইতিহাস রচনায়।