What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Review মায়ার জঞ্জাল: নিম্নবিত্তের আকাঙ্ক্ষা (1 Viewer)

E0NfPdc.jpg


মায়ার জঞ্জাল – Debris of Desire; গল্প: মানিক বন্দোপাধ্যায়; চিত্রনাট্য ও সংলাপ: ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী, সুগত সিনহা; পরিচালনা: ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী; প্রযোজনা: ফ্লিপবুক; অভিনয়: অপি করিম (সোমা), ঋত্বিক চক্রবর্তী (চাঁদু), সোহেল মণ্ডল (সত্য), চন্দ্রায়ী ঘোষ (বিউটি), পরাণ বন্দোপাধ্যায়, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, কমলিকা ব্যানার্জী, ব্রাত্য বসু প্রমুখ; দেশ: ভারত, বাংলাদেশ; ভাষা: বাংলা; বাংলাদেশ প্রিমিয়ার: ২২ জানুয়ারি (ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২)

hy7M67a.png


১৮ বছর পর চলচ্চিত্রে অপি করিম

নামকরণ: চলচ্চিত্রে কলকাতায় বসবাস করা নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনসংগ্রাম মূল ফোকাসে রাখা হয়েছে। যেখানে নিম্নবিত্তরা একটি ভালো স্বপ্নের মায়ায় আচ্ছন্ন। তারা চায় তারা নিজেরা ভালো থাকুক; তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি, আপনজন… সবাই সুখে থাকুক। কিন্তু তারা জানে না, তাদের এই দুঃখেভরা অভাবের জীবনে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে সুনির্দিষ্টভাবে কী করতে হবে… ‘মায়ার জঞ্জাল’ নামকরণটি মূলত এভাবে সার্থকতা খুঁজে পায়।

কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ: বাংলা ভাষার অন্যতম কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটগল্প; ‘বিষাক্ত প্রেম’ ও ‘সুবালা’ অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।

গল্পের একটি অংশে দেখা যায়, ক্লাস ফোরে পড়া ছেলে ও বৃদ্ধ মা-কে নিয়ে সোমা-চাঁদুর অভাবের সংসার। চাঁদু (ঋত্বিক চক্রবর্তী) তার বেখেয়ালী চালচলন ও বেপরোয়া জীবনযাপনের কারণে সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন… চাকরিটা হারিয়ে ফেলে। গৃহিনী সোমা (অপি করিম) ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয় নিজেকে উপার্জনের পথে ঠেলে দিবে। অন্যের বাসায় গিয়ে ‘কাজের বুয়া’ হিসেবে কাজ করবেন। সংসার চালানোর জন্য ঘরের বউকে এখন অন্যের বাসায় ঝি-র কাজ করতে হবে, চাঁদু এই বিষয়টা একদমই মেনে নিতে পারে না। তিনি উপায় খুঁজতে থাকেন, কীভাবে কম সময়ের মধ্যে বেশি টাকা রোজগার করবেন, আর সংসারের হাল ধরবেন।

qUmdGKF.png


ঋত্বিক চক্রবর্তী

অন্যদিকে একই শহরে অবস্থান করা একটি যৌনপল্লীর গল্প আমরা অন্য আরেকটি অংশে দেখতে পাই। বিউটি (চন্দ্রায়ী ঘোষ) হলেন সেখানকার হাইরেটেড যৌনকর্মী। পুলিশ, প্রশাসনের লোক থেকে শুরু করে স্থানীয় পাতিনেতা— সবাই আসে তার কাছে। সত্য (সোহেল মণ্ডল) হলেন বিউটির এক সময়ের প্রেমিক। তাদের একটি ব্যাকস্টোরি রয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে বিউটি আজ পতিতা। সত্য কোলকাতা শহরে ছোটখাটো আকারে অবৈধ ড্রাগ সাপ্লাই দেয়। ব্যবসা বড় করতে হলে তারও প্রচুর টাকার প্রয়োজন। তিনিও উপায় খুঁজতে থাকেন কীভাবে এতো টাকা পাওয়া যায়।

গল্প দুইটির প্রেক্ষাপট ৫০ এর দশকের, কিন্তু এই চলচ্চিত্রে আমরা দেখতে পেয়েছি কলকাতার সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষাপট। বলা যায়, ‘মায়ার জঞ্জাল’ হলো মানিক বন্দোপাধ্যায়ের লেখা দুটি ছোটগল্পের মডার্ন এডাপটেশন।

চলচ্চিত্রে দুটি গল্পকে সমান্তরালে রেখে বর্ণনা করা হয়েছে। দুটি ভিন্ন গল্প, দুটি ভিন্ন ঘটনা, চারটি ভিন্ন চরিত্র— সবকিছুই পাশাপাশি রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে নূর ইমরান মিঠু পরিচালিত ‘কমলা রকেট’-এ আমি সবশেষ এরকম ন্যারেটিভ দেখেছিলাম, এই মুহূর্তে আমার যা মনে পড়ছে। যদিও সেখানে দুটি গল্প একই বিন্দুতে গাঁথা ছিল। ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ বিষয়টি সেরকম নয়। এখানে ঘটনা ও চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা; তবে দুটি ঘটনায় দেখানো পরিস্থিতিতে মিল রয়েছে, দুটি ঘটনায় দেখানো চরিত্রগুলোর গঠনে মিল রয়েছে। ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ থাকা দুটি গল্প এভাবে পরোক্ষ ভঙ্গিমায় একটি সাধারণ বিন্দুতে এসে দাঁড়ায়।

চলচ্চিত্রের গল্প কলকাতাকেন্দ্রিক, তাই চরিত্রগুলোর মুখের ভাষাও সেখানকার। বাংলাদেশ থেকে যারা অভিনয় করেছেন, তাদের মধ্যে সোহেল মণ্ডল কলকাতার একসেন্ট ভালোভাবে রপ্ত করতে পেরেছেন। এখানে সত্য-বিউটির অংশটায় বেশ পরিমাণে গালাগালি রয়েছে।

পরিচালনা: আইএমডিবি বলছে, এটি ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী পরিচালিত পঞ্চম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যদিও আমি এবারই প্রথম তার পরিচালিত কোনো চলচ্চিত্র দেখলাম। এখানে পরিচালক বেশকিছু সূক্ষ্ম সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন, যা বুঝতে হলে আমার মতে কিছু ধারণা নিয়ে তারপর চলচ্চিত্রটি দেখতে বসা উচিত।

প্রথমত, পরিচালক চরিত্রের ইমোশনাল দিক আলাদাভাবে ফুটিয়ে তোলার কোনো চেষ্টা করেননি। সাধারণত দেখা যায়, চরিত্রগুলোর প্রতি কোনো খারাপ কিছু ঘটলে সেই সিকোয়েন্সে দুঃখে ভারাক্রান্ত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যোগ করা হয়, যাতে করে আমরা চরিত্রগুলোর ইমোশন ফিল করতে পারি। কিন্তু এখানে পরিচালক এই দিকটা অনেক বেশি সাদাসিধে রেখেছেন। পুরো ব্যাপারটা দর্শকের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। জোর করে বোঝাতে চাননি যে, এই দিকটা ইমোশনাল কিংবা এই অংশটুকু আনন্দের।

দ্বিতীয়ত, চলচ্চিত্রের কিছু জায়গায় এন্টি-সিচ্যুয়েশন তৈরি করতে দেখা গেছে। চলচ্চিত্রের একটি জায়গায় আমরা দেখতে পাই, সোমা ফোনকলের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ দুঃসংবাদ পায়। গতানুগতিক আর্টফিল্ম হলে এই পরিস্থিতিতে সোমার বাহ্যিক এক্সপ্রেশন কেমন হবে, সেটার ওপর বেশি ফোকাস করতো। কিন্তু এখানে আমরা ওই সময়ে কিছু ব্যক্তিকে উচ্চস্বরে হাসাহাসি করতে দেখতে পাই, আর সোমার কী অবস্থা সেটা আমাদের একদমই দেখানো হয় না।

তৃতীয়ত, চলচ্চিত্রটি হুট করে শুরু হয়, আবার হুট করেই শেষ হয়ে যায়। সম্প্রতি এরকম ট্রিটমেন্ট আমরা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের নির্মিত দুটি চলচ্চিত্র; ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ ও ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এ দেখতে পেয়েছি। একটি বিশেষ ক্রাইসিস মোমেন্টে গিয়ে ‘মায়ার জঞ্জাল’ চলচ্চিত্রটি শেষ হয়ে যায়। এই হুট করে শেষ করে দেয়াটা অনেকের কাছে আফসোসের কারণ হতে পারে।

পরিচালক এরকম নানা বিষয় নিয়ে পরিক্ষা-নীরিক্ষা করেছেন। গতানুগতিক আর্টফিল্মের বাইরে গিয়ে নতুনকিছু সংযোজনের চেষ্টা করেছেন। এরকম নির্মাণ বাংলাদেশের পর্দায় সচরাচর দেখা যায় না।

UKfcVDo.png


চন্দ্রায়ী ঘোষ

অভিনয়: সেই ‘ব্যাচেলর’ দিয়ে শুরু, সেখানেই হয়েছে শেষ। প্রায় ১৮ বছর পর অপি করিমকে বড়পর্দার কোনো চরিত্রে দেখা গেল। এখানে তাকে ‘সোমা’ চরিত্রটি করেছেন। গরিব ঘরের স্ত্রী, যিনি তার পরিবার নিয়ে চিন্তিত। এই চলচ্চিত্রের একমাত্র প্রেডিক্টেবল চরিত্র বলা যায় এটিকে, যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আমাদের কাছে একদম পরিষ্কার। যার কারণে এখানে অপি করিমের সেরকম বিশেষ কিছু করে দেখানোর ছিল না। তিনি চান দুঃসময়ে সংসারের হাল ধরতে। এ জন্য তিনি সৎ পথে যেকোনো কাজ করতে রাজি। তবে এ ধরনের চরিত্রে আমি এর আগে অপি করিমকে দেখিনি।

এই সময়ে ঋত্বিক চক্রবর্তী হলেন টালিগঞ্জের অন্যতম সেরা অভিনেতা। তিনি যেকোনো চরিত্রের সাথে খুব স্বাভাবিকভাবে মিশে যেতে পারেন। আমি কলকাতার অনেক অভিনেতাকে দেখেছি যারা মেথড এ্যাক্টর, কিন্তু অভিনয় করেন কিছুটা যাত্রাপালার ঢঙে। সাধারণ মানুষের চরিত্র যেগুলো, সেগুলো তারা ঠিকঠাকমতো উপস্থাপন করতে পারেন না। যেদিকটা আবার বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীরা খুবই ভালো পারেন, যার কারণে আমাদের অভিনয়শিল্পীদের কলকাতাতে এতো কদর! এখানে ঋত্বিক চক্রবর্তী ‌‘চাঁদু’ চরিত্রটি রূপদান করেছেন। তিনি এখানে খুবই ন্যাচারাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।

সোহেল মণ্ডল এখানে ‘সত্য’ চরিত্রটি রূপদান করেছেন। টাকার লোভে পড়ে তিনি এর আগে অনেক খারাপ কাজ করে ফেলেছেন। নিজ প্রেমিকাকে তিনি যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেন। এখনো তার অনেক টাকা দরকার। কিন্তু তিনি বুঝছেন না কী করতে হবে। সম্ভাবনাময় এ অভিনেতা এখানেও ভালো পারফরম্যান্স করেছেন।

চন্দ্রায়ী ঘোষ রূপদান করেছেন ‘বিউটি’ চরিত্রে, বাংলাদেশ থেকে তিনি চলে এসেছেন কলকাতায়। এখানে এসে হয়ে গেছেন পতিতা। তিনি তার নিজের জীবন নিয়ে আফসোস করেন। কিন্তু তার সেরকম কোনো লক্ষ্য নেই, উদ্দেশ্য নেই। তিনিও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।

JNHnNsa.png


সোহেল মণ্ডল

এ ছাড়া পরাণ বন্দোপাধ্যায় একটি ইন্টারেস্টিং চরিত্র রূপদান করেছেন, যা আমাদের যেমন হাসায় তেমনি সোমা চরিত্রটির মাধ্যমে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। বাকি যারা ছিলেন তারা সবাই ভালো অভিনয় করেছেন।

কারিগরি: বেশকিছু মিনিংফুল শট দেখা গেছে দক্ষ সিনেমাটোগ্রাফির কল্যাণে। চন্দ্রায়ী ঘোষের পায়ের বিভিন্ন পজিশন এখানে বেশ কয়েকবার ফোকাসে আনা হয়েছে। আমার কাছে এ বিষয়টা পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়নি, তবে যা বুঝেছি এখানে নির্মাতা বর্তমান কর্তৃত্ববাদ সমাজব্যবস্থার ওপর আলোকপাত করতে চেয়েছেন।

সাউন্ড ডিজাইন ততটা ভালো লাগেনি। কিছু কিছু জায়গায় সাউন্ড বারবার fade out হয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া ন্যাচারাল সাউন্ডের তুলনায় আর্টিফিসিয়াল সাউন্ডের ব্যবহার বেশি। এদিকটায় উন্নতির জায়গা রয়েছে।

ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের ব্যবহার সোমা-চাঁদুর গল্পে একেবারেই নেই, সত্য-বিউটির গল্পে কিছুটা রয়েছে। এ অংশটুকু আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। সম্পাদনায় কিছুটা খামতি দেখা গেছে। কারণ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। আর্ট ডিরেকশন, কস্টিউম, মেকআপ ইত্যাদি ঠিকঠাক লেগেছে।

সামাজিক বার্তা: চলচ্চিত্রটি কলকাতা তথা পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান সমাজব্যবস্থার করুণ চিত্র ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছে। যেখানে নিম্নবিত্তরা একটুখানি সুখের আশায় সারাজীবন কষ্ট করে কাটিয়ে দেয়। যে সমাজে মেয়েদের এখনো পুরুষদের শক্তি, বুদ্ধি ও সামর্থ্যের দ্বারা দমে থাকতে দেখা যায়।

খারাপ পরিস্থিতিতে পুরুষেরা খুব দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তারা ওই পরিস্থিতির সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না। সে তুলনায় নারীরা বিপদে পড়লে খুব দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আবার এটাও সঠিক যে, নারীদের সকল স্বপ্ন পুরুষকেন্দ্রিক। তারাও চায় পুরুষের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সমাজকে ডমিনেন্ট করতে। অন্যদিকে পুরুষেরা নারীদের ডমিনেন্ট করলেও তারা কখনোই চায় না, তার সমাজের নারীরা তাদের থেকে খারাপ পরিস্থিতিতে বসবাস করুক। এ রকম কিছু জটিল দিক এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের সামনে ওঠে আসে।

ব্যক্তিগত: চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ কিংবা কলকাতা, কোথাও সিনেমাহলে মুক্তি পায়নি। করোনার কারণে বারবার পিছিয়েছে। তবে এই সময়টায় সাংহাই, মস্কোসহ বেশ কয়েকটি ইন্টারন্যাশনাল ফেস্ট ঘুরেছে। পুরষ্কার জিতেছে ইতালিতে অনুষ্ঠিত এশিয়্যাটিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে, ভারতে অনুষ্ঠিত আর্ট হাউস সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

‘২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ২২ জানুয়ারি ‘মায়ার জঞ্জাল’ দেখানো হয়। আশা করি খুব দ্রুত চলচ্চিত্রটি সারা দেশের হলে মুক্তি পাবে।

রেটিং: ৮/১০

‘মায়ার জঞ্জাল’ কেন দেখবেন: এ চলচ্চিত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। টিনএজাররা বেশিকিছু বুঝে উঠতে পারবে না, আমার যা মনে হলো। এ ছাড়া বেশকিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য ও স্ল্যাং থাকায় পরিবার নিয়ে দেখার মতোও নয়। নিম্নবিত্ত সমাজের গল্প এর আগে বহুবার বাংলা চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ছিল কমার্শিয়াল ফ্যামিলি এন্টারটেইনার। এই চলচ্চিত্রটি বানানো হয়েছে বর্তমান সময়ের ক্লাস অডিয়েন্সকে মাথায় রেখে; যারা দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র প্রচুর দেখে এবং যারা নতুনত্ব পেতে আগ্রহী। তাদের কাছে ‘মায়ার জঞ্জাল’ ভাল্লাগবে।

* লিখেছেন: Fahim Montasir
 

Users who are viewing this thread

Back
Top