প্রায় প্রতিদিনই এখন মাস্ক পরে থাকতে হয় বেশ কিছুটা সময়। এ কারণে ছোটখাটো সমস্যাও হচ্ছে ত্বকে। মাস্ক খোলার পর আর পরার আগে নিয়ে নিন টুকটাক যত্ন।
এ আবহাওয়ায় মাস্ক পরে থাকার কারণে ত্বকের সমস্যাও হয় বেশি। যত্ন নিন, সুসথ থাকুন। মডেল: নিক্কি
মুখ ঢাকতে বা লুকাতে ব্যবহার করা হয় মুখোশ। কিন্তু এই মুখোশের ব্যবহার কবে থেকে শুরু, তা বলা কঠিন। ইংরেজিতে মুখোশ মানে মাস্ক, যা এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বলা হয়, গ্রিসের জাদুঘরে সংরক্ষিত ৩ হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো মাস্কটি সোনা দিয়ে তৈরি। কিন্তু এত বছর পর এসে আমরা যে মাস্ক ব্যবহার করছি, তা একেবারেই পাতলা ও আরামদায়ক। একসময় পরিচয় গোপনের জন্য মাস্ক ব্যবহার করা হতো আর এখন প্রয়োজন হচ্ছে নিজের সুরক্ষার জন্য।
কিন্তু অনেক সময় মাস্ক পরায় ত্বক ও ঠোঁটের কিছু সমস্যাও দেখা দেয়। তবু সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই। দীর্ঘ সময় মুখ আটকা থাকায় বাতাস ভেতরে চলাচল করতে পারে না। ফলে মুখের এই অংশে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা পায়। এ ছাড়া গরমে ঘাম হওয়া ও অতিরিক্ত তেল জমা স্বাভাবিক। অক্সিজেন না পাওয়ায় এই অংশের ত্বক লাবণ্য হারায়। অনেক সময় আর্দ্র থাকায় জীবাণুও আক্রমণ করতে পারে, যার ফলে ঠোঁট ও নাকের চারপাশে হতে পারে ব্রণ, লালচে দানা, র্যাশ, ফুসকুড়ি, কালো দাগ ও চুলকানি। এ ছাড়া ঠোঁট আটকা থাকায় ঠোঁটের রং পরিবর্তন, ফেটে যাওয়া, রুক্ষতা চলে আসে, বলছিলেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী।
নাকের পরিচর্যা
নাকের দুই পাশে ও চোখের নিচের অংশটি ত্বকের অন্য অংশ থেকে অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। এ ছাড়া এখানে তেল ও ঘামও বেশি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ঘরোয়া যত্ন এমন হওয়া উচিত, যা ত্বকের গোড়া বা পোর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ও ত্বককে বিশ্রাম দেয়। আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী ত্বকের জন্য কুসুম গরম ও ঠান্ডা প্যাক ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন।
আরাম পাবেন এমন মাস্কই ব্যবহার করুন
গরম প্যাক
ত্বকে গরম প্যাক ব্যবহারে লোমকূপের মুখ খুলে যায়। ফলে ভেতর দিয়ে সহজেই ময়লা, তেল ও ঘাম সরে যায়।
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি চুলায় গরম করে নিন। কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল ও এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় নাক, ঠোঁটের পাশ ও চেহারায় ব্যবহার করতে হবে। এতে লোমকূপের মুখ খুলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয়। শুকিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে।
কুসুম গরম ভাতের মাড় ২ চা-চামচ, ১ চা-চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে নিন। চেহারায় ব্যবহার করতে পারেন। এতেও ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে। পরে বরফ বা ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
ঠোঁটের পরিচর্যায়
ঠোঁটে ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষতার মতো সমস্যা কমাতে ১ কাপ গোলাপের পাপড়ি ও আধা কাপ নিমপাতা ধুয়ে বেটে নিন। এটি ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে। ব্যবহারের সময় সামান্য বেসন মিশিয়ে ৫–৭ মিনিট পর ঠোঁটের স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন।
এ ছাড়া নিমপাতা, তুলসীপাতা, পুদিনাপাতা ও গোলাপের পাপড়ি সমপরিমাণ নিয়ে নিন। পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর বরফ করে ফেলুন। প্রতিদিন রাতে বরফ ব্যবহারের পর পেট্রোলিয়াম জেলি নিন। এতে করে ঠোঁট জীবাণুমুক্ত থাকবে।
ত্বকের পরিচর্যায় ব্রবহার করতে পারেন বরফ, মডেল: তোরা
আরও কিছু পরামর্শ
বাড়িতে এসে মাস্ক খুলে অবশ্যই ভালোভাবে মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
সুযোগ পেলে বাইরে যখন থাকবেন, মুখ পানি দিয়ে ধুতে পারেন। এতে ঘাম কমবে ও আরাম পাওয়া যাবে।
ত্বকে সামান্য পাউডার ব্যবহার করলে তেল অনেকটাই কম হবে। ফলে ঘামও কম হবে।
[FA]pen[/FA] লেখক: রিফাত পারভীন, ঢাকা
এ আবহাওয়ায় মাস্ক পরে থাকার কারণে ত্বকের সমস্যাও হয় বেশি। যত্ন নিন, সুসথ থাকুন। মডেল: নিক্কি
মুখ ঢাকতে বা লুকাতে ব্যবহার করা হয় মুখোশ। কিন্তু এই মুখোশের ব্যবহার কবে থেকে শুরু, তা বলা কঠিন। ইংরেজিতে মুখোশ মানে মাস্ক, যা এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বলা হয়, গ্রিসের জাদুঘরে সংরক্ষিত ৩ হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো মাস্কটি সোনা দিয়ে তৈরি। কিন্তু এত বছর পর এসে আমরা যে মাস্ক ব্যবহার করছি, তা একেবারেই পাতলা ও আরামদায়ক। একসময় পরিচয় গোপনের জন্য মাস্ক ব্যবহার করা হতো আর এখন প্রয়োজন হচ্ছে নিজের সুরক্ষার জন্য।
কিন্তু অনেক সময় মাস্ক পরায় ত্বক ও ঠোঁটের কিছু সমস্যাও দেখা দেয়। তবু সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই। দীর্ঘ সময় মুখ আটকা থাকায় বাতাস ভেতরে চলাচল করতে পারে না। ফলে মুখের এই অংশে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা পায়। এ ছাড়া গরমে ঘাম হওয়া ও অতিরিক্ত তেল জমা স্বাভাবিক। অক্সিজেন না পাওয়ায় এই অংশের ত্বক লাবণ্য হারায়। অনেক সময় আর্দ্র থাকায় জীবাণুও আক্রমণ করতে পারে, যার ফলে ঠোঁট ও নাকের চারপাশে হতে পারে ব্রণ, লালচে দানা, র্যাশ, ফুসকুড়ি, কালো দাগ ও চুলকানি। এ ছাড়া ঠোঁট আটকা থাকায় ঠোঁটের রং পরিবর্তন, ফেটে যাওয়া, রুক্ষতা চলে আসে, বলছিলেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী।
নাকের পরিচর্যা
নাকের দুই পাশে ও চোখের নিচের অংশটি ত্বকের অন্য অংশ থেকে অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। এ ছাড়া এখানে তেল ও ঘামও বেশি হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ঘরোয়া যত্ন এমন হওয়া উচিত, যা ত্বকের গোড়া বা পোর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ও ত্বককে বিশ্রাম দেয়। আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী ত্বকের জন্য কুসুম গরম ও ঠান্ডা প্যাক ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন।
আরাম পাবেন এমন মাস্কই ব্যবহার করুন
গরম প্যাক
ত্বকে গরম প্যাক ব্যবহারে লোমকূপের মুখ খুলে যায়। ফলে ভেতর দিয়ে সহজেই ময়লা, তেল ও ঘাম সরে যায়।
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ও সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি চুলায় গরম করে নিন। কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল ও এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় নাক, ঠোঁটের পাশ ও চেহারায় ব্যবহার করতে হবে। এতে লোমকূপের মুখ খুলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয়। শুকিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দিতে হবে।
কুসুম গরম ভাতের মাড় ২ চা-চামচ, ১ চা-চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে নিন। চেহারায় ব্যবহার করতে পারেন। এতেও ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে। পরে বরফ বা ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
ঠোঁটের পরিচর্যায়
ঠোঁটে ব্রণ, ফুসকুড়ি, রুক্ষতার মতো সমস্যা কমাতে ১ কাপ গোলাপের পাপড়ি ও আধা কাপ নিমপাতা ধুয়ে বেটে নিন। এটি ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে। ব্যবহারের সময় সামান্য বেসন মিশিয়ে ৫–৭ মিনিট পর ঠোঁটের স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন।
এ ছাড়া নিমপাতা, তুলসীপাতা, পুদিনাপাতা ও গোলাপের পাপড়ি সমপরিমাণ নিয়ে নিন। পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর বরফ করে ফেলুন। প্রতিদিন রাতে বরফ ব্যবহারের পর পেট্রোলিয়াম জেলি নিন। এতে করে ঠোঁট জীবাণুমুক্ত থাকবে।
ত্বকের পরিচর্যায় ব্রবহার করতে পারেন বরফ, মডেল: তোরা
আরও কিছু পরামর্শ
বাড়িতে এসে মাস্ক খুলে অবশ্যই ভালোভাবে মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
সুযোগ পেলে বাইরে যখন থাকবেন, মুখ পানি দিয়ে ধুতে পারেন। এতে ঘাম কমবে ও আরাম পাওয়া যাবে।
ত্বকে সামান্য পাউডার ব্যবহার করলে তেল অনেকটাই কম হবে। ফলে ঘামও কম হবে।
[FA]pen[/FA] লেখক: রিফাত পারভীন, ঢাকা