[HIDE]বাসের সবচেয়ে ভালো তিনটা সিটের রো নিয়ে বসে অমিয়'র পরিবার। প্রথম সিটে অমিয় অর্নি দ্বিতীয় সারি তে প্রিয়াঙ্কা বসেছে মা'র সাথে শেষের সিটে রুপম তার পাশে কোনো প্যাসেঞ্জার বসতে দেয়া হয় নি হ্যান্ড লাগেজ রাখা সিটটায়।শেষ বেলার বাস,প্যাসেঞ্জরে সম্পুর্ন ভরা। দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কিছু যাত্রী। দু একজন ছাড়া সবাই লোকাল লোক।তাদের লোভী লোলুপ দৃষ্টি তিনটা অপরূপ সুন্দরী নারীর উপর স্থির হয়ে লেপ্টে থাকে।প্রিয়াঙ্কার পরনে যথারীতি টাইট জর্জেট কামিজ। স্লিভলেস কামিজের বাহিরে তার নিটোল শ্যামল সুগোল বাহুর নগ্নতা বাহু তুলে ওড়না ঠিক করার সময় কামানো বগলের তলা বার বার প্রদর্শিত হয়।কামিজের পিঠের দিকে সামনে গভীর করে কাটা,পাতলা কাপড়ের তলে দামী ব্রেশিয়ারের পরিষ্কার প্রান্তরেখা, আঁটসাঁট বাধনে তার বিশাল অনস্র বুক ওড়নার তলা থেকে গোলাকার স্ফিতিতে পাশ থেকে বিশালাকার গুম্বুজের মত প্রকাশিত। তলে পরা সাদা টাইট লেগিংস কামিজের দুই সাইড কোমোর পর্যন্ত ফাড়া। তার সুগঠিত পা আর ভারী মদালসা উরুর গড়ন নগ্ন অবস্থায় কেমন দেখাবে তা পরিষ্কার উদ্ভাসিত।প্রমিলার পরনে কালো সিল্কের শাড়ী ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজের বাহিরে তার ফর্শা বাহুর মাখন কোমোল উজ্জ্বলতা বাতাসে এলোমেলো চুল পাট করার সময় বাহু তুললেই বেদিতে লালচে আভা যুক্ত কামানো ঘামেভেজা বগলের অপার সৌন্দর্য বাসের লোকদের মায়ের সাথে তরুণী মেয়ের না দেখা জায়গাগুলোর তুলনা এনে দিচ্ছিলো বারে বারে।তবে সবচেয়ে বেশী দর্শনীয় কিশোরী অর্নি। ফর্শা গায়ে হলুদ ফ্রকটা মুলতঃ একটা সানড্রেস তার কিশোরী দিঘল দেহ ভেতরে পরা অন্তর্বাস ব্রা প্যান্টির আবছা রেখা স্তনের পুর্ন ডৌল দরজার গোড়ায় বসায় বাতাসের ঝাপটায় বার বার উঠে যাচ্ছিল তার ফ্রকের ঝুল।তার মাখন রাঙা উরু সামনে বসা দাঁড়িয়ে থাকা লোকাল প্যাসেঞ্জারদের লোভী লালসা ভরা চোখের সামনে ঝলসে উঠছিলো বার বার।সবচেয়ে সৌভাগ্যবান বাসের হেলপার সিটের প্রান্ত ঘেঁষে একধাপ নিচে পাদানিতে দাঁড়িয়ে থাকায় তার দৃষ্টি সীমা ছিলো অনেক দূর।কোমোল ললিত উরুর মধ্যসীমা পেরিয়ে অর্নির উরুমুলে লেপ্টে থাকা হলুদ প্যান্টি পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিলো লোকটা।দুপাশে গহীন বন শুরু হয়। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর হঠাৎ করে তিব্র ঝাঁকুনি, থেমে যায় বাসটা।কে যেন মোটা মোটা কতগুলো গাছের গুড়ি ফেলে রেখেছে রাস্তার উপরে।কিছু বোঝার আগেই মুখে কাপড় বাধা কতগুলো সশস্ত্র লোক ঘিরে ধরে বাসটা, কে যেন ফিসফিস করে, মঙ্গল সিং..কিছু করার আগেই বাসে উঠে পড়ে চারজন সশস্ত্র লোক।
দু পাশে বাহু চেপে প্রমিলা আর প্রিয়াঙ্কা কে টেনে নিয়ে চলেছে দুপাশে দুজন করে ডাকাত অর্নিকে কাধে ফেলে এগিয়ে চলেছে আর একজন।অচেতন রুপমকে বয়ে নিচ্ছে দুজন।বাসের ভেতর বোন আর মায়ের গায়ে হাত পড়তেই যৌবনের রক্তের গরমে বাহাদুরি করতে গেছিলো ছেলেটা।কিন্তু মঙ্গল সিংএর একটা থাবড়ায় প্যান্ট ভিজিয়ে সেই যে সঙ্গা হারিয়েছে যে এখনো জ্ঞান ফেরেনি তার।ভাষা হারিয়ে ফেলেছে অমিয় ঘোষ।কোথায় পুলিশ কোথায় সিআরপি।অনায়াসে তাদেরকে বাস থেকে তুলে নিয়েছে ডাকাত গুলো। বড় অফিসার ক্ষমতার দম্ভ হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে তার।মঙ্গল সিং কে দেখার পর থেকেই গরমেও শীতকালের মত থেকে থেকে কাঁপুনি উঠছে তার শরীরে।এমন ভীতিজনক চেহারা আগে কখনো দেখেনি সে। ছোটখাটো একটা দৈত্য লোকটা ঝাড়া ছ ফিট চার ইঞ্চি লম্বা সেই পরিমান চওড়া, লালসা ভরা কুৎকুতে চোখ আর পুরু কামুক ঠোট।ফর্শা টকটকে রঙ।গালে বসন্তের দাগ।চওড়া ষাড়ের মত কাধে মারাক্তক শক্তি ধরে দেখেই বোঝা যায়।তার চেলারাও বিশালদেহী, রুক্ষ আর নিচ প্রকৃতি র লম্পট। সবচেয়ে বয়ষ্ক যাকে গোপাল বলে ডাকতে শুনেছে অমিও পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বয়ষ হবে তার। সেই গোপালই কাধে তুলে নিয়েছে অর্নিকে।আধ ঘন্টা পর একটা পাহাড়ি ঢালের পাদদেশে পৌছায় তারা।একটা মোড়ের মত জায়গাটার চার দিকে চারটা পথ চলে গেছে গহীন জঙ্গলের দিকে।এখানে এসে কাপড় দিয়ে তাদের চোখ বেধে দেয় ডাকাত গুলো।আধঘণ্টা কিছুদুর যাওয়ার পর
লাড়কি অর মাম্মি কো কান্ধেপে লে লো,মঙ্গল সিংএর গমগমে গলার আদেশ শুনতে পায় অমিয়,সেই সাথে
প্রিয়াঙ্কার আর প্রমিলার
ছাড় ছেড়ে দে না নাহ ইসস মাগোওও,প্রতিবাদ ভেসে আসে তার কানে।জবাবে হোহো করে সন্মিলিত হাসি সেই সাথে ধস্তাধস্তির শব্দ, জানে অমিয় পথে আসতে আসতে দেখেছে সে প্রমিলা আর প্রিয়াঙ্কার স্তনে যত্রতত্র হাত দিয়েছে ডাকাতগুলো সেই সাথে সুযোগ পেলেই মর্দন করেছে নিষ্ঠুরের মত।
ছাড় ছাড়,প্রিয়াঙ্কার কাতর গলা
কিউ পিয়ারি আচ্ছি নেহি লাগতি,একজন ডাকাতের গলা,
গারমী উতারী নেহি,বলে আর একজন
চুঃচুঃচুঃ উতারেগি উতারেগি, আস্তেনে পে লেকার চুৎ পে লাণ্ড ঘুসতেই পানি নিকাল যায়েগী মা বিটিয়াকি।কথাটা শেষ হতেই হোহো হাঁসি হুল্লড়,
আগে বাড়ো ধমক দেয় মঙ্গল সিং।শুরু হয় পথ চলা চড়াই উৎরাই গলা শুকিয়ে আসে অমিয়র
জল,একটু জল,বলতেই বোতোল থেকে কেউ ঠান্ডা জল ঢেলে দেয় তার মুখে।কতক্ষণ হেটেছে জানেনা।একসময় থেমে দাঁড়ায় দলটা, কেউ পট্টি সরিয়ে দেয় অমিয়'র চোখের উপর থেকে।সন্ধ্যা হয়ে এসেছে আবছা আঁধারে দেখে অমিয় চার দিকে উঁচু পাহাড়ের মাঝে দু হাজার বর্গফুট খোলা জায়গা,পাহাড়ের মাঝ দিয়ে সরু একটি মাত্র প্রবেশ পথ ভারী কাঠের দরজা দ্বারা বন্ধ। তার দুপাশে দুটো কাঠের টাওয়ারে দুজন ডাকাত পাহারা রত। খোলা জায়গায় বেশ কত গুলো কাঠের চালা ঘর খাটিয়া।পাশে একটা ঝর্না যেটা কিছুদুর এগিয়ে যেয়ে মিশেছে পুকুরের মত ছোট্ট একটা হ্রদে।উঠোনের মত জায়গাটায় পাশাপাশি বেশ কত গুলো খুটি পোতা তাদের বাপ ব্যাটা কে বেধে ফেলতেই অর্নির স্তন টিপে দেয় একটা ডাকাত।
মাম্মিইইইইই....বলে অর্নি চিৎকার দিতে হস্তক্ষেপ করে মঙ্গল
" উসে ছোড় দে, প্যাহলে বাড়ি লাড়কি অর মাম্মিকে চুৎ মারেঙ্গ," বলতেই আর এক দফা হুল্লোড় ওঠে দলের ভেতর,হাত তুলে তাদের চুপ করতে বলে মঙ্গল,
"গোপাল'নে জানপে খেলকার মেরি জান বাচায়ী,ছোটি কে রিবন ওহী কাটেগি,উসকে বাদ মে খেলুঙ্গি উসে,বাড়ি অর মাম্মিকো যিসে যাব মান চাহে খেলনা,মাগার কোয়ী জাখাম মাৎ কারনা, জখম যো কারেগি উসে ম্যা গোলী মারুঙ্গী।"
হুউউউউইই...হুল্লড়ে ফেটে পড়ে ডাকাতরা
এক মাহিনে কি খানা আস্তে ধিরে খানা,বলে প্রিয়াঙ্কা কে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে গোপালকে নিয়ে চলে যায় মঙ্গল।
ছোটি বলতে তাকে বুঝাচ্ছে এটা বুঝেছে অর্নি, গোপাল নামে বুড়ো ডাকাতটা তার রিবন কাটবে এর মানে,পরিষ্কার না বুঝলেও,মেয়েলী অনুমান দিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত টা বুঝতে পেরে
"মাম্মিইই আমার ভয় লাগছেএএ" বলে ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদতে শুরু করে অর্নি
"ভয় নাই মামনি "ফিসফিস করে মেয়েকে সাহস দেহ অমিয়।ড্যাডের কথায় কিছুটা ভরসা পায় অর্নি।এদিকে আস্তে আস্তে জ্ঞান ফিরলেও পরিস্থিতির চাপে কেমন যেন ভেবলে থাকে রুপম।
এইযে শুনছেন,পাহারারত এক ডাকাতকে উদ্দেশ্য করে হাঁক দেয় অমিয়।
চিল্লাতা কিউ হ্যা,অমিয়'র ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে লোকটা।
"তোমাদের সর্দার কে একটু ডাক কথা আছে,"বুক কাঁপলেও গলা গম্ভীর করে যতটা সম্ভব ব্যাক্তিত্ব ফুটিয়ে বলে অমিয়।তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে চলে যায় লোকটা।
"আমি দেখছি তোমরা ভয় পেও না।
"যা হোক যত টাকা লাগুগ ছেলে মেয়েদের যেন কোন ক্ষতি না হয়,"উদ্বিগ্ন স্বরে তাড়াতাড়ি স্বামী কে বলে প্রমিলা।কিছু বলতে গিয়ে ডাকাতটাকে আবার ফিরে আসতে দেখে চুপ করে যায় অমিয়।
"চালিয়ে" বলে অমিয়'র হাত পায়ের বাঁধন খুলে দেয় লোকটা,অমিয় কে নিয়ে রওনা দেয় পাশে একটা ছাপড়ার দিকে।ছোট ছাপড়া খড়ের বিছানায় শুয়ে মদ খাচ্ছিলো মঙ্গল ঘাড় ধরে অমিয়কে তার পায়ের কাছে বসিয়ে দেয় ডাকাত টা।
"ক্যায়া বাঙালীবাবু কেয়া চাহাতে হ্যা আপ।
"আমাদের ছেড়ে দিন যত টাকা লাগে আপনাদের দেব আমি।"কথাটা শুনে মজা পেয়ে হো হো করে হেসে ওঠে মঙ্গল সঙ্গে অমিয়কে নিয়ে আসা ডাকাতটাও।বেশ কিছুক্ষণ হেসে মুখ খোলে মঙ্গল
[/HIDE]