সমসাময়িক অভিনয়শিল্পীদের তুলনায় কাজ একটু কমই করেন জাকিয়া বারী মম। তিনি চলেন মনের সিগন্যালে। মনের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনো কাজে হ্যাঁ বলেন না। বেছে বেছে কাজ করার কারণে অন্যদের তুলনায় হাতে সময়ও থাকে কিছুটা বেশি। এ সময় অকারণ আড্ডাবাজি না করে ঘরে বসেই বই পড়েন, সিনেমা দেখেন। ইদানীং তাঁর আরেকটা শখ হয়েছে। গত তিন মাসে একটা বাগান গড়ে তুলেছেন। সেই বাগানে নানান প্রজাতির শ খানেক গাছ রয়েছে।
মম বাগানের একাংশ
করোনায় এমনিতেই কাজ কম। তিন মাস ধরে তাই বাগান নিয়ে মেতেছেন। উত্তরার বাসা ও ছাদ মিলিয়ে তাঁর লাগানো গাছের সংখ্যা এখন শ খানেক। নানা জাতের ফুলের গাছ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে হরেক রকম সবজি এবং পছন্দের কিছু গাছ।
শুক্রবার দুপুরে মমর সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখন তিনি ছাদবাগানে গাছের পরিচর্যা করছিলেন। মম বললেন, ‘একদম ভালো লাগা থেকেই এটা করেছি। করোনায় এটা আমার নতুন উপলব্ধি, গাছই মানুষকে আগলে রাখে, উজাড় করে দিয়ে যায়।
ছোটবেলায় গাছ লাগাতে ভালো লাগা কাজ করত। কিন্তু এখন আমার কাছে গাছই শান্তি। মানুষ দেখতে সুন্দর কিন্তু কার্যকলাপ বড় নির্মম। মানুষকে দেখে আতঙ্ক হয়। অন্যদিকে গাছ তো শুধু দিতেই থাকে—আমরা চাই বা না চাই। তাই গাছকেই মনে হয় আপন। এই সময় তাই গাছের পরিচর্যা নিয়ে থাকছি, খুব ভালো লাগছে। আনন্দ খুঁজে পাচ্ছি। অসাধারণ সময় কাটছে।’
মম জানান, তাঁর ছাদ ও ঘরের বারান্দায় রজনীগন্ধা, বেলি, হাসনাহেনা, জুঁই, জারুল, কামিনী, চাঁপা, গন্ধরাজ, গোলাপ, নয়নতারাসহ অনেক ফুলের গাছ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই মৌসুমে যত ধরনের ফুল হয়, সব ধরনের ফুলের গাছ আছে। পরিসর আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
কথায় কথায় মম জানালেন, ঘোরাঘুরিতেও সবুজে ঘেরা জায়গা তাঁর বেশি পছন্দ। সমুদ্রও টানে, কিন্তু ভালো লাগে বেশি পাহাড়ি জায়গা। মম বলেন, ‘ঘোরাঘুরিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে পাহাড়ি এলাকা। সাগরের এক রকম বৈশিষ্ট্য, আবার পাহাড়ের বৈচিত্র্য অন্য রকম। কিন্তু আমার ভালো লাগে পাহাড়।’ ভালো লাগা মানুষের কথা জিজ্ঞেস করতেই নিলেন জয়া আহসানের নাম।
তিনি বলেন, ‘জয়া আপার ক্যারিয়ার গ্রাফটা চমৎকার। তাঁর কাজ নির্বাচনের ব্যাপারটাও প্রশংসার দাবিদার। তাই তিনি আমাকে প্রভাবিত করেন, তা কখনোই অনুকরণ বা অনুসরণ ধরনের কিছু নয়।’
আপনার কম কাজ করার পেছনেও কি তাহলে জয়া আহসানের মতো শিল্পীরও প্রভাব? মম বলেন, ‘এটা তো আসলে বিশ্বব্যাপী হচ্ছে, মানসম্মত কাজ যাঁরাই করেন, তাঁরা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আমিও তা–ই মানার চেষ্টা করি।’