জগ্রোস ও তোরোস পর্বতমালা অধুষ্যিত তুরস্ক, ইরান, আর্মেনিয়া, ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী প্রায় চার লাখ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে কুর্দি জাতির প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি জনসংখ্যার লোক বসবাস করে।এরা কুর্দি ভাষায় কথা বলে। এই বিস্তীর্ন অঞ্চলকেই কুর্দিস্তান বলা হয় যদিও এই নামে সরকারি ভাবে কোন দেশ নেই। তবে মধ্যযুগে এই অঞ্চলে কুর্দি জাতির নিজস্ব শাসকও ছিল। এইসব অঞ্চল জুড়ে কুর্দিস্তান গঠনের ডাক প্রায়ই ওঠে। যার জন্য বিগত কয়েক বছরে তুরস্ক ও সিরিয়া সরকার চেষ্টা করেছিল তাদের কুর্দি জনগোষ্ঠীকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার যাতে ওইসব অঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। তুরস্কের সুলতান সাঞ্জার বারোশো শতকে এই অঞ্চল বিজয় করে। তিনিই প্রথম এজায়গার নাম কুর্দিস্তান দিয়েছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান ইরানের হামদান শহরের কাছে বাহার নামে একটি শহরে। তবে সময়ের সাথে কুর্দরা নিজেদের সংঘটিত করতে পারেনি বলে তাদের নিজস্ব দেশও কোনওদিন গঠন হয়নি। তবে বিগত কয়েক দশকে আবারও কুর্দিস্তান গঠনের দাবি পূর্নাঙ্গ রূপে আলোচিত হচ্ছে। ইরাকের স্বৈরাচারী শাসক সাদ্দাম হোসেন একটা সময় বহু কুর্দি মানুষকে হত্যা করেছিলো, তাও কুর্দিদের দমিয়ে রাখা যায়নি। ১৯৭০ সালে ইরাক সরকার তাদের কুর্দ অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন মেনে নেয়, এই অঞ্চলকে ইরাকি কুর্দিস্তান বলা হয়। ইরানের কু্র্দি জনগোষ্ঠী অধুষ্যিত অঞ্চলকে কোর্দেস্তান বলা হয়।