What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মধুর উপকারিতা ও গুণাবলি সম্পর্কে জেনে রাখুন (1 Viewer)

Mashruhan Eshita

Expert Member
Joined
Jan 11, 2022
Threads
75
Messages
1,864
Credits
40,823
Lipstick
Audio speakers
Glasses sunglasses
Thermometer
Tomato
Cocktail Green Agave
মধু এমন একটি খাবার যার গুনাগুন এর কথা বলে শেষ করা যাবে না। খাঁটি মধুর অসংখ্য গুনাগুন আছে যা স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এটি কেবল উপকারী খাদ্য নয়, মহাঔষধও বটে। জীবনকে মধুময় করতে মধুর খাদ্য উপাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আমরা আজকে মধুর এই সমস্ত গুনাগুন গুলোর সম্পর্কে জানবোঃ
 
১. গ্যাস্ট্রিক আলসার ও অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তিতে দেয় মধু হজম সমস্যার সমাধানে কাজ করে মধু। গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে দূরে থাকতে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়মিত দুই চামচ করে মধু খেতে পারেন।



২. অনিদ্রার ভালো ওষুধ হল মধু। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিলে এটি গভীর ঘুম এবং সম্মোহনের কাজ করে।



৩. মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ পরিমান মধু মিশিয়ে পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়। মধুর সাথে লেবু রস ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করলে চর্বি কাটতে সাহায্য করে।



৪. দুই চামচ মধু ও এক চামচ মৌরি গুঁড়োর মিশ্রণ হৃদরোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃদপেশিকে সবল ও সচল করে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
 
৫. মধু চোখের জন্য খুবই ভালো । দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এই মধু।



৬. যারা সারাক্ষণ ঝিমুনি বা দুর্বল অনুভব করেন। এই ঝিমুনি, ঘুম ঘুম ভাব বা দুর্বল লাগা থেকে কাটানোর জন্য ও সারাক্ষণ তরতাজা থাকতে নিয়মিত খেয়ে যান মধু।



৭. যৌন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে মধুই উত্তম। যৌন সমস্যাই যারা ভুগছেন তাদের যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি দিন অন্তত ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।



৮. মধুতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে ও ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
 
৯. মধু খেলে মস্তিষ্কের শক্তি তথা বুদ্ধির জোর বেড়ে যাবে। সারা দিনের কাজে কর্মে আপনার মগজ আগের চেয়ে বেশি কাজ করবে। যারা সাধারণত মাথা খাটিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য মধু এনে দেবে নতুন উদ্যম ও সৃষ্টিশীলতা।



১০. যাদের খুসখুসে কাশির সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন ১ চামচ আদার রসের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খান। দ্রুত কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।



১১. মধু শরীরের ক্ষত, কাটা পোড়া জায়গার চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয়। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিহত করে। কোথাও পুড়ে, কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। মধুতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা ক্ষত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে ও ব্যথা, ঘ্রাণ, পুঁজ ইত্যাদি হ্রাস করে দ্রুত নিরাময় করে।



১২. ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে ও শরীরের ত্বক নমনীয় করতে সহায়তা করে খাঁটি মধু।
 
১৩. চর্মরোগ দূর করতে নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। ১ চামচ মধুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন।



১৪. প্রতিদিন সকালে ১ চা চামচ মধু সারা দিনের জন্য দেহের পেশি থেকে ক্লান্তি মুক্তি দেয়।



১৫. লাবন্য ধরে রাখতে রূপচর্চায় ফেসপ্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন এক চামচ মধু। মধু ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে ও মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া এবং বয়সের ছাপ পড়ার থেকে রোধ করে।



১৬. মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।



১৭. যাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় তারা ১চা চামচে তুলসীর রস সমপরিমাণে মধু ও এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো এক সাথে মিশিয়ে দিনে দুবার করে এক থেকে দুমাস নিয়মিত সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।



১৮. মধুর সব গুণাগুণগুলির মধ্যে একটি হল হাঁপানি রোগ নিরাময়। তাই এই রোগ থাকলে খাওয়া যেতে পারে মধু।



১৯। গলার স্বরনালীতে সংক্রমণ হলেও সেই ক্ষত দূর করতে নিয়মিত মধু সেবন করা যেতে পারে। তা ক্ষত নিরাময় করে। সংক্রমণ দূর করে কন্ঠ নালী সুন্দর করে।
 
এছাড়াও শারীরিক কর্মোদ্দোম, পুষ্টিকর খাদ্য বা টনিক, দূর্বল, রুগ্ন শিশু ও বৃদ্ধদের পক্ষে পরম হীতকর। মানবদেহের গঠন উপযোগী যতগুলো ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের দরকার সম্পূর্ণ মধুতেই বিদ্যমান থাকে। নিয়মিত খেলাধুলায় প্রাণশক্তি কমে গেলে এক গাস পানির সাথে দু বা চার চা চামচ মধু মিশিয়ে শরবত পান করলে তৎক্ষণাত শক্তি বৃদ্ধি করে। নিয়মিত লেবু, কমলা, মালটা ইত্যাদি ফলের জুসের সাথে রোজার মাসে ও ইফতারীতে শরবত পান করা যোগ্য।

আয়ুর্বেদ মতে: কুষ্ঠ, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা, কাশি, বাত-বেদনা, পোড়া ক্ষত, গ্যাস্ট্রিক, পেটের হজমের নানাহ রোগ উপশমের জন্য লিভার ও হৃদরোগের মহৌষধ। নিয়মিত মধু পান করলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কোরআনের সূরা “নহলে” ৬৯নং আয়াতে আলাহ তায়ালা মধুকে “শেফা উলেন নাস” অর্থাৎ সমস্ত রোগের আরোগ্য বলা হয়েছে। সুস্থ শরীরে ব্যবহার করলে শরীরে কোন রোগ হয় না, বরং রোগ প্রতিরোধ করে। পবিত্র বোখারী শরিফে উল্লেখ করা আছে- রাসূল (সাঃ) “কালো জিরাকেও সমস্ত রোগের শেফা বলেছেন। নিয়মিত মধু এবং কালো জিরা ব্যবহারে সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করে এবং মৃত্যু ব্যতিত কোন রোগ আক্রমন করতে পারে না। মধুর সেবন বিধি: ০৬ (ছয়) মাস বয়স শিশুদের জন্য চা চামচের ১/৪ চামচ দিনে ১-২ বার। বয়স্কদের জন্য চা চামচের ২ থেকে ৪ চামচ দিনে ১-২ বার।

মধু কিভাবে খাবেন: পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, দুধ ভাতে মুড়ি, চিড়া, পিঠা ইত্যাদি দিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top