বসন্তের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। চারিদিকে লাল-হলুদের ছড়াছড়ি। যেনো মেলা লেগেছে। শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের দেখা যাচ্ছে হলুদ, কমলা ও বাসন্তী রঙের পোশাকে। ভালোবাসা দিবস ও বসন্তকে বরণের এই উৎসবে শাহবাগ থেকে শুরু করে পুরো ক্যাম্পাসে মেতেছে তারা।
আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণের দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা, শিল্পকলা একাডেমি, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বেইলি রোড, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর বসন্ত বরণ উৎসবের রঙ লেগেছে।
সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করছে শিল্পীরা।
নারীরা নিজেদের বসন্তের সাজে সাজাতে খোঁপায়-গলায়-মাথায় পরেছেন গাঁদা ফুলের মালা। হাতে রেশমি চুড়ি আর পরনে বাসন্তি রংয়ের শাড়ি। বসন্ত উপলক্ষ্যে পুরুষদের পরনেও শোভা পাচ্ছে রঙিন পাঞ্জাবি বা ফতুয়া। কেউ এসেছেন দলবেঁধে, কেউ জুটিবদ্ধ। সব মিলিয়ে প্রকৃতি আর মানুষ বসন্তের আমেজে মিলেমিশে একাকার।
জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব।
করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নাচ-গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব।
আজ শুধু পহেলা ফাল্গুন নয়, ভালোবাসা দিবসও। সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে খুুনশুটিতে মেতেছে এক দম্পতি।
এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিকেল ৪টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে আয়োজন করেছে বসন্ত উৎসব ২০২১। এ আয়োজনে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
দলবেঁধে বসন্ত বরণের উৎসবে মেতেছে তরুণীরা।
বাংলা বর্ষপঞ্জি সংশোধনের কারণে এবার বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস পড়েছে একই দিনে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন উদযাপন হতো, আর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় ভালোবাসা দিবস। তবে এখন দুটি দিবসই বাংলাদেশে একই দিনে।