লাইলাতুল মি‘রাজ : করণীয় ও বর্জনীয়
হিজরী বর্ষের ৪টি মাস হারাম তথা মহা সম্মানিত এবং নিরাপত্তার মাস (তওবা ৩৬)। আদিকাল হ’তে এ মাস সমূহের সম্মান ও গুরুত্ব চলে আসছে। এ মাস সমূহে আরবের কাফেররা পর্যন্ত যুদ্ধ-বিগ্রহ, ছিনতাই-লুটতরাজ, হত্যা-গুম ইত্যাদি বন্ধ রাখত। উক্ত মাস সমূহের অন্যতম মাস রজব। এমাসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মি‘রাজ’ সংঘটিত হয়েছিল। মি‘রাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) ছাড়া অন্য কোন নবী এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই মুহাম্মাদ (ছাঃ) শ্রেষ্ঠ নবী। এ মি‘রাজ রজনীতেই মানব জাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয হয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে লাইলাতুল মি‘রাজের গুরুত্ব এবং এ রাতের করণীয় ও বর্জনীয় আলোচনা করা হ’ল-
মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, سُبْحَانَ الَّذِيْ أَسْرَىْ بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِيْ بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آَيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ ‘পরম পবিত্র মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বছা পর্যন্ত। যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (ইসরা ১)।
مِعْرَاجٌআরবী শব্দ, অর্থ সিঁড়ি। শারঈ অর্থে বায়তুল মুক্বাদ্দাস থেকে যে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সপ্ত আসমানের উপরে আরশের নিকটে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সিঁড়িকে ‘মি‘রাজ’ বলা হয়। পারিভাষিক অর্থে হিজরতের পূর্বে একটি বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে বায়তুল্লাহ হ’তে বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত ‘বোরাক্বে’ (بُرَاقٌ আরবী শব্দ যাبَرْقٌ মূলধাতু হ’তে নির্গত। এর অর্থ বিদ্যুৎ। এটি বিদ্যুতের মত আশ্চর্যজনক দ্রুতগতিসম্পন্ন ডানাওয়ালা অশ্ব বিশেষ। খচ্চরের চেয়ে ছোট ও গাধার চেয়ে একটু বড়। কর্ণদ্বয় অতি চিকন এবং গায়ের রং ধবধবে সাদা। ) ভ্রমণ, অতঃপর সেখান থেকে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন ও পুনরায় বায়তুল মুক্বাদ্দাস হয়ে বোরাক্বে আরোহন করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে ‘মি‘রাজ’ বলা হয়। (মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, মি‘রাজ, মাসিক আত-তাহরীক, ৭ম বর্ষ, ১২ তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর-২০০৪, পৃঃ ৩।) اَسْرَىক্রিয়াটি اِسْرَاءٌমূলধাতু হ’তে উৎপন্ন। অর্থ রাত্রিকালীন ভ্রমণ। আয়াতে উল্লিখিত ‘ইসরা’ বা রাত্রিকালীন ভ্রমণ বলতে মি‘রাজের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বছা পর্যন্ত সফরকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ ‘ইসরা’ হ’ল যমীন থেকে যমীনে ভ্রমণ। অনেকটা বিমান বন্দরের ‘রানওয়ে’র মত। প্রথমে একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দ্রুত ছুটে চলা, অতঃপর ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বে ওঠা। আর যমীন হ’তে ঊর্ধ্বলোকে ভ্রমণকে মি‘রাজ বলা হয়। কুরআন মাজীদের সূরা বানী ইসরাঈলের ১ম আয়াতে ‘ইসরা’ এবং সূরা নাজমের ১৩ থেকে ১৯ আয়াত পর্যন্ত ‘মিরাজে’র ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া ২৬-এর অধিক ছাহাবী কর্তৃক বুখারী, মুসলিম সহ প্রায় সকল হাদীছ গ্রন্থে মুতাওয়াতির পর্যায়ে মি‘রাজের ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং মি‘রাজ অকাট্যভাবে প্রমাণিত একটি সত্য ঘটনা। যাতে সন্দেহ পোষণের কোন অবকাশ নেই।
হিজরী বর্ষের ৪টি মাস হারাম তথা মহা সম্মানিত এবং নিরাপত্তার মাস (তওবা ৩৬)। আদিকাল হ’তে এ মাস সমূহের সম্মান ও গুরুত্ব চলে আসছে। এ মাস সমূহে আরবের কাফেররা পর্যন্ত যুদ্ধ-বিগ্রহ, ছিনতাই-লুটতরাজ, হত্যা-গুম ইত্যাদি বন্ধ রাখত। উক্ত মাস সমূহের অন্যতম মাস রজব। এমাসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মি‘রাজ’ সংঘটিত হয়েছিল। মি‘রাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) ছাড়া অন্য কোন নবী এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই মুহাম্মাদ (ছাঃ) শ্রেষ্ঠ নবী। এ মি‘রাজ রজনীতেই মানব জাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয হয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে লাইলাতুল মি‘রাজের গুরুত্ব এবং এ রাতের করণীয় ও বর্জনীয় আলোচনা করা হ’ল-
মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, سُبْحَانَ الَّذِيْ أَسْرَىْ بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِيْ بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آَيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ ‘পরম পবিত্র মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বছা পর্যন্ত। যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (ইসরা ১)।
مِعْرَاجٌআরবী শব্দ, অর্থ সিঁড়ি। শারঈ অর্থে বায়তুল মুক্বাদ্দাস থেকে যে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সপ্ত আসমানের উপরে আরশের নিকটে আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সিঁড়িকে ‘মি‘রাজ’ বলা হয়। পারিভাষিক অর্থে হিজরতের পূর্বে একটি বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে বায়তুল্লাহ হ’তে বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত ‘বোরাক্বে’ (بُرَاقٌ আরবী শব্দ যাبَرْقٌ মূলধাতু হ’তে নির্গত। এর অর্থ বিদ্যুৎ। এটি বিদ্যুতের মত আশ্চর্যজনক দ্রুতগতিসম্পন্ন ডানাওয়ালা অশ্ব বিশেষ। খচ্চরের চেয়ে ছোট ও গাধার চেয়ে একটু বড়। কর্ণদ্বয় অতি চিকন এবং গায়ের রং ধবধবে সাদা। ) ভ্রমণ, অতঃপর সেখান থেকে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন ও পুনরায় বায়তুল মুক্বাদ্দাস হয়ে বোরাক্বে আরোহন করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে ‘মি‘রাজ’ বলা হয়। (মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, মি‘রাজ, মাসিক আত-তাহরীক, ৭ম বর্ষ, ১২ তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর-২০০৪, পৃঃ ৩।) اَسْرَىক্রিয়াটি اِسْرَاءٌমূলধাতু হ’তে উৎপন্ন। অর্থ রাত্রিকালীন ভ্রমণ। আয়াতে উল্লিখিত ‘ইসরা’ বা রাত্রিকালীন ভ্রমণ বলতে মি‘রাজের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বছা পর্যন্ত সফরকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ ‘ইসরা’ হ’ল যমীন থেকে যমীনে ভ্রমণ। অনেকটা বিমান বন্দরের ‘রানওয়ে’র মত। প্রথমে একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দ্রুত ছুটে চলা, অতঃপর ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বে ওঠা। আর যমীন হ’তে ঊর্ধ্বলোকে ভ্রমণকে মি‘রাজ বলা হয়। কুরআন মাজীদের সূরা বানী ইসরাঈলের ১ম আয়াতে ‘ইসরা’ এবং সূরা নাজমের ১৩ থেকে ১৯ আয়াত পর্যন্ত ‘মিরাজে’র ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া ২৬-এর অধিক ছাহাবী কর্তৃক বুখারী, মুসলিম সহ প্রায় সকল হাদীছ গ্রন্থে মুতাওয়াতির পর্যায়ে মি‘রাজের ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং মি‘রাজ অকাট্যভাবে প্রমাণিত একটি সত্য ঘটনা। যাতে সন্দেহ পোষণের কোন অবকাশ নেই।