What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নিজের মার্কেটিং করবেন (1 Viewer)

Mashruhan Eshita

Expert Member
Joined
Jan 11, 2022
Threads
68
Messages
1,788
Credits
39,873
Lipstick
Audio speakers
Glasses sunglasses
Thermometer
Tomato
Cocktail Green Agave
09-54-29-Freelancing-bd-768x283.jpg


"এই দ্যাখ দ্যাখ, মেয়েটা কীভাবে নিজের কাজের ঢোল নিজেই পেটাচ্ছে! ভালো কাজ করলে তো অন্যরাই তার প্রচার করবে। এভাবে নিজের গুণগান নিজেই গাওয়ার কী হলো?" আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হোন এবং ফেসবুকে প্রায়ই নিজের কাজের আপডেট দিয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই কখনো না কখনো কানে এসব কথা ভেসে এসেছে?

এখনকার যুগ প্রচারের যুগ। প্রচারেই প্রসার, এই কথাটি নিশ্চয়ই শুনেছেন। পণ্য যেমনই হোক না কেন, প্রচার বা মার্কেটিং এর কারণে পণ্যের বার্তা সহজেই ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যায়। আর এ কারণেই কিন্তু এখন সব প্রতিষ্ঠান তাদের মার্কেটিং এর উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে। পণ্য প্রচারের জন্য না হয় মার্কেটিং টিম আছে, কিন্তু নিজের মার্কেটিং কে করবে?
 
[H2]ফ্রিল্যান্স মার্কেটিং:[/H2]
আমরা কেন জানি নিজের কাজের প্রচারে ভীষণ লজ্জা বোধ করি। কিন্তু নিজের ভালো কাজ অবশ্যই নিজেকেই প্রচার করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ী না থেকে নিজের মত স্বাধীনভাবে কাজ করা।

একজন ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে ক্লায়েন্ট বা বায়ার তার প্রয়োজনীয় কাজ নির্ধারিত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমই হলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট বা মার্কেটপ্লেস।




বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করানোর জন্য ঐ কাজটিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খোঁজ করে থাকেন। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য কোনো একজন ক্লায়েন্ট জব পোস্ট করে থাকেন। সেই কাজটি করতে আগ্রহী বিশ্বের নানা দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে থেকে তার কাজটি করার জন্য যোগ্য ফ্রিল্যান্সারকে খুঁজে তাকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নেন।

আবার অনেকসময় ক্লায়েন্টরা পোস্ট না দিয়ে এমনিই ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল ঘেঁটে তাদের কাজ দেন৷ চলুন তাহলে জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের কথা জেনে আসা যাক:
 
[H3]আপওয়ার্ক (Upwork):[/H3]
প্রায় ১২ মিলিয়নেরও অধিক নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক। এখানকার জব পোস্টিং ফিড অনেক দ্রুত আপডেট হয়। মাইক্রোসফট, অটোম্যাটি, ড্রপবক্সের মতন বড় বড় প্রতিষ্ঠানও এখানকার ক্লায়েন্ট।

আপওয়ার্ক ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের জন্যই একে অপরকে খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা সহজ করে দেয়। প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারকে প্রাথমিকভাবে তাদের পারিশ্রমিকের ২০% ফিও আপওয়ার্কের সাথে ভাগ করে নিতে হয়। একই ক্লায়েন্টের সাথে বারবার কাজ করলে সেই ফি হ্রাস পায়৷
 
[H3]ফাইভার (Fiverr):[/H3]
অনলাইনে নানান কাজ করে অর্থ উপার্জন করার একটি অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হলো ফাইভার। লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিকেল লেখা, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এস.ই.ও, এন্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন, গ্রাফিকস ডিজাইন ইত্যাদি কাজ এখানে করতে পারবেন।

এখানে যেকোনো কাজ করানোর জন্য সর্বনিম্ন ৫ ডলার পেমেন্ট করতে হবে। ফ্রিল্যান্সার কাজ সম্পন্ন করে জমা দেওয়ার পরে ফাইভার থেকে পেমেন্ট পেয়ে যাবে। এর জন্য ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার নিয়ে থাকে।

প্রতিদিন হাজার হাজার বায়ার ফাইভারে তাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। আপনার যদি ভালো কিছু দক্ষতা থাকে এবং একাউন্টে ভালো রেটিং ও রিভিউ জমাতে পারেন তাহলে ফাইবারেই ক্যারিয়ার গড়া যুক্তিসঙ্গত।


Image Source: Fiverr​
 
[H3]ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com):[/H3]
এই ওয়েবসাইটটি ছোট ব্যবসার জন্য সেরা। যাদের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, লোগো ডিজাইনিং, লেখা এবং বিপণন সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা আছে বা সাহায্যের প্রয়োজন তারা এখানে এসে খোঁজ করেন। ফ্রিল্যান্সার ডটকম একটি প্রথম সারির অনলাইন ভিত্তিক জব মার্কেটপ্লেস।

এখানে ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্টের পাশাপাশি আওয়ারলি রেটের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। এখানে প্রায় সব ধরনের অনলাইন জব রয়েছে, এবং প্রচুর ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।

ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনাকে কেবল পূর্ববর্তী কাজের উদাহরণ আপলোড করতে হবে, কাজের জন্য বিড করতে হবে এবং এরপরে আপনি নিয়োগকারীদের সাথে চ্যাট করতে পারবেন। তবে নতুনদের কাছে এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করা একটু কঠিন মনে হতে পারে। কারণ প্রথম অবস্থায় প্রজেক্ট শেষ করার পর এখানে অতিরিক্ত কিছু ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০% টাকা কোম্পানী নিজে নিয়ে থাকে।
 
[H3]পিপল পার আওয়ার (People Per Hour):[/H3]
অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হলো পিপল পার আওয়ার। এটি লন্ডন, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান। এখানে ঘন্টা প্রতি রেটের পাশাপাশি ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্ট পাওয়া যায়। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতা খুব বেশি। প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আয় করা টাকার ১৫% থেকে ২০% প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে নেয়।
 
[H3]নাইনটি নাইন ডিজাইনস (99designs):[/H3]
যারা ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান, তাদের কাছে ৯৯ডিজাইনস খুবই প্রিয় একটি ওয়েবসাইট। ক্লায়েন্টরা এখানে পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছে থেকে অর্থের বিনিময়ে লোগো, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করিয়ে নেন।


Image Source: 99designs
এখানে ডিজাইন কিনতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা তাদের কেমন ডিজাইন লাগবে, তা বিস্তারিতভাবে লিখে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। ডিজাইনাররা ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ করার জন্য সেই অনুযায়ী ডিজাইন সাবমিট করেন। ক্লায়েন্ট তার পছন্দসই ডিজাইনটি কিনে নেয় এবং ডিজাইনারকে পূর্বনির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন।
 
[H3]গুরু ডটকম (Guru.com):[/H3]
গুরু ডটকম একটি অ্যামেরিকান ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এখানে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের ভেতর হয়ে থাকে। প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪.৯৫% হতে ৮.৯৫% টাকা প্লাটফর্মটি কেটে নেয়।
 
[H3]বিল্যান্সার (Belancer):
[/H3]
বিল্যান্সার বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এখানে বিভিন্ন ধরণের দেশি প্রজেক্ট পাওয়া যায়। বায়ার এখানে পোস্ট দিবেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা সে কাজের জন্য বিড করবেন। আবেদনের তালিকা থেকে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং পোর্টফোলিও দেখে সেরা কর্মী বাছাই করবেন নিয়োগদাতা।


Image Source: Facebook

নতুন কোনো কাজ পোস্ট করার সময় নিয়োগদাতার কাছ থেকে মোট কাজের সমপরিমাণ টাকা তাঁর বিল্যান্সার অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। কাজ বুঝে পেলে তিনি কর্মীকে তার কাজের জন্য সেখান থেকে টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন। এতে কর্মী ও নিয়োগদাতা, উভয়ই আর্থিক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পান। বিল্যান্সারে আয়ের উৎস দুই পক্ষই। কর্মী ও নিয়োগদাতা উভয়ের কাছ থেকে ৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়।

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সুবিধা অনেক। যখন-তখন কাজে বসা যায়, প্যারা নাই চিল একদম! কিন্তু যদি নিজের গড়িমসি স্বভাবের কারণে ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু প্যারা আছে! এরকম ঘটনা এড়ানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এখনই নিজের কাজগুলো তুলে ধরুন। যত বেশি মানুষ আপনার কাজ সম্পর্কে জানবেন, আপনি তত বেশি কাজের অর্ডার পাবেন। এসব মার্কেটপ্লেসে নিজের মার্কেটিং করার কিছু সুনির্দিষ্ট উপায় আছে।
 
[H2]পোর্টফোলিও তৈরি করুন: [/H2]
কোথাও আবেদন করতে গেলে আগে চাকরিদাতা সিভি চাইতেন, এখন সবাই সিভির সাথে পোর্টফোলিওটাও দেখতে চান। আর ফ্রিল্যান্সিং জগতে তো পোর্টফোলিও ছাড়া ক্লায়েন্ট কাউকে দিয়ে কাজই করাতে চান না। পোর্টফোলিও হলো আপনার যাবতীয় উল্লেখযোগ্য কাজের একটি সংকলন।

আপনি যেসব বিষয়ের উপর কাজ করেছেন, সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা বা ভিজ্যুয়াল পোর্টফোলিওর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। একটি পোর্টফলিও আপনার প্রফেশনাল দক্ষতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার একটি বড় প্রমাণ। একজন সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে আপনার কাজের মান ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান।

পোর্টফোলিও নানান উপায়ে তৈরি করা গেলেও একটা ডোমেইন কিনে একান্ত নিজের জন্য একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। এখানে আপনি নিজের মতো বিভিন্ন কাজ আলাদা আলাদা সেকশনে তুলে ধরতে পারবেন। ক্লায়েন্টরা এমন কাউকেই কাজ দেয় যাদের পোর্টফোলিও দেখে তাদের কাজের স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়। অর্থাৎ নিজের একটা ওয়েবসাইট থাকলে তা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনাকে খুঁজে পাওয়া লোকের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top