What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

খুব সহজ অঙ্ক (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,620
Messages
122,690
Credits
314,291
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
খুব সহজ অঙ্ক !

অবশেষে পাখির আর শেষ রক্ষা হলো না। দিনের বেলায়ও আকাশে চাঁদ খুঁজতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলো তার বউয়ের কছে। কিছুদিন ধরেই পাখি দিনের বেলায় বাড়ির ছাদে উঠে আকাশ পানে চেয়ে কি যেনো খুঁজে বেড়ায়। কথাটা পড়শির কাছ থেকে জানার পর পাখির বউ তক্কে তক্কে ছিলো, ঘটনা কি জানার জন্য। ঐদিন যখন ভর দুপরে পাখি আকাশের দিকে তাকিয়েছিলো তখন পিছন থেকে পাখির বউ জানতে চাইলো আকাশে পাখি কি দেখে ? কিছু না ভেবেই পাখি জবাব দিয়েছিলো, "চাঁদনী " ! আর এতেই কপাল পুড়লো পাখির...
পাখি পাগল হয়ে গ্যাছে কথাটা প্রচার হতে খুব বেশী সময় লাগলো না। বাড়ির আরো দুয়েকজন সদস্য সহ আশেপাশের অনেকেই দেখেছে পাখি দুপরে ছাদে উঠে আকাশে চাঁদ খোঁজে। আর এটা যে পাগল হয়ে যাবার অন্যতম লক্ষন সেটা খুব সহজে সবাই মেনে নিলো। ফলাফল সেই আগের মতোই। পাখিকে সবাই ধরে মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করে দিলো। তবে একেবারে যারা বদ্ধ পাগল তাদের থেকে আলাদা আরো দুজন পাগলের সাথে অন্য একটা ওয়ার্ডে রাখা হলো পাখিকে।ডাক্তারের ভাষ্যমতে এই দুজন পাগল খুব দ্রুত উন্নতি করায় তাদেরকে কিছুদিনের মাঝেই ছেড়ে দেয়া হবে। আর পাখি যেহেতু এখনো বদ্ধ পাগল হয়ে যায়নি সেজন্য তাদের সাথে রাখাই নিরাপদ।
যা হউক, অল্প কিছুদিন পরেই পাখিদের তিনজনকে তাদের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য বিশেষ বোর্ড রুমে ডেকে নেয়া হলো। ডাক্তার তাদের পরীক্ষা করার জন্য একে একে জিজ্ঞেস করছেন...
ডাক্তারঃ আচ্ছা হাবলু, তুমি বলো তো, তিনের সাথে তিন গুন করলে কতো হয় ?
হাবলুঃ ৩৯৮ হয়, স্যার !
হাবলুর জবাব শুনে ডাক্তার বেশ হতাশ হয়ে দ্বিতীয় জনকে একই প্রশ্ন করলেন।
ডাক্তারঃ এবার গাবলু তুমি বলো তো তিনকে তিন দিয়ে গুন করলে কতো হয় ?
গাবলু বেশ তড়িৎ জবাব দিলো,
গাবলুঃ মঙ্গলবার হয়, স্যার !
এবার ডাক্তার বেশ হতাশ হবার পাশাপাশি বেশ বিরক্তও হলেন। হাবলু না হয় একটা সংখ্যা হলেও বলেছিলো। কিন্তু এই গাবলুটা যে সংখ্যাও বলেনি। ডাক্তার হতাশায় তার মাথা ডানে বামে নাড়তে নাড়তে পাখিকে জিজ্ঞেস করলেন,
ডাক্তারঃ আচ্ছা পাখি, এবার তুমি বলো, তিনকে তিনের সাথে গুন করলে কতো হয় ?
ডাক্তার প্রশ্ন করার সময়ই পাখি মিটি মিটি করে হাসছিলো। প্রশ্ন শেষ হতেই পাখি বললো,
পাখিঃ এটা তো খুব সহজ অঙ্ক স্যার ! তিনকে তিন দিয়ে গুন করলে নয় হয়, স্যার !
পাখির জবাব শুনে ডাক্তারের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। এতোক্ষন বাকি দুইজনকে প্রশ্ন করার পর যে হতাশা ডাক্তারকে ঘিরে ধরেছিলো সেটি কেটে গিয়ে হাসিতে মুখ ভরে উঠলো। হাসি মুখে ডাক্তার বললো,
ডাক্তারঃ ভেরী গুড ! এই তো তুমি সঠিকটা বলতে পেরেছো। এবার বলো তো এটা তুমি কি করে বের করলে ?
তখনো ডাক্তারের মুখে বিজয়ের হাসি লেগে রয়েছে...
পাখিঃ এটা খুব সহজেই আমি বের করে ফেলেছি। আমি শুধু ৩৯৮ থেকে মঙ্গলবারকে বিয়োগ করে নিয়েছি, স্যার
!
 
আরামের চুলকানী

দীপুর চুলকানী রোগ সেই ছোট বেলা থেকেই। সর্দি-কাশি যেমন দীপুর গৃহ পালিত রোগ তেমনি চুলকানীটাও। এটা যেনো দীপুর সাথে ছায়ার মতো লেগে আছে সারাক্ষণ। চুলাকানী থাকলেও দীপুর তাতে খুব বেশী অসুবিধা হতো না। কারন নিয়মিত চুলকাতে চুলকাতে এটা এখন তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। আর কোনো কিছু অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে তখন সেটা নিয়মের আওতায় পড়ে যায় আর যার কারনে ঐটা বদভ্যাস হলেও অস্বস্তির কারন হয় না। এদিকে ইদানিং দীপুর আরো একটা বদভ্যাস বেশ ভালোভাবেই তাকে জড়িয়ে ধরেছে। আর সেটি হলো নখ কামড়ানো। একটু অবসর পেলেই কিংবা কোনো কিছু নিয়ে যখনই চিন্তায় পড়বে তখনি মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে নখ কামড়াতে থাকবে। ফলাফল হাতের কোনো আঙ্গুলেই এখন আর কোনো নখ অবশিষ্ট নেই। যাকে বলে একেবারে নখর বিহীন পুরুষ ! নখ না থাকার কারনে ঠিকমতো চুলকাতে না পারায় দিন দিন অস্বস্তি বেড়ে যেতে লাগলো। উপায় না পেয়ে অবশেষে চুলকানী থেকে উপশম পাবার জন্য দীপু ডাঃ জিসানের দ্বারস্থ হলো। জিসান দীপুর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাকে এক ডোজ ওষুধ দিলো। ওষুধ দেবার পর দীপু বেশ খুশী হয়ে বললো,
দীপুঃ এবার তবে আমার চুলকানী চিরতরে সারবে তো ?
দীপুর প্রশ্ন শুনে ডাঃ জিসান বেশ গম্ভীরভাবে বললো,
ডাঃ জিসানঃ এটা কোনো চুলকানী সারার ওষুধ না।
জিসানের কথায় দীপু বেশ হতাশ হলো। সে অবাক চোখে জিসানের দিকে তাকিয়ে বললো,
দীপুঃ এটা যদি চুলকানী সারার ওষুধ নাই হবে তবে এটা কিসের ওষুধ ?
জিসান আগের থেকেও বেশী গাম্ভীর্য্যতা বজায় রেখে বললো,
জিসানঃ এটা নখ বড় হবার ওষুধ। এটা আমি দিয়েছি আপনার নখ বড় হবার জন্য। যাতে চুলকিয়ে আপনি আরাম পান। কারন চুলকাতে চুলকাতে আপনি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছেন, এখন আপনি না চুলকিয়ে থাকতেই পারবেন না...
 
প্লাস কেনো ?

পাখির সাথে ডাঃ জিসানের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। লেখা-পড়ার পাঠ চুকিয়ে পাখি যখন ইঞ্জিনিয়ার আর জিসান যখন ডাক্তারী শুরু করেছে তখন থেকে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কারনে আজ তারা বেশ ঘনিষ্ঠ। সেই ঘনিষ্ঠতার সূত্রে মাঝে মধ্যেই যখন যে সময় আর সুযোগ পায় একে অন্যের সাথে আড্ডা দিতে ছুটে আসে। এদিক দিয়ে অবশ্য পাখিই বেশীরভাগ সময় জিসানের কাছে আড্ডা মারতে যায়। কারন জিসান চেম্বার সামলে আড্ডা মারার জন্য খুব একটা সময় পায় না।
ঐদিন দুপরে এমনি একটা ছোট্ট আড্ডা হচ্ছিলো ডাঃ জিসানের চেম্বারে। কি কারনে আজ বিকেলের আগে রোগি দেখবে না বলে জিসানের হাতে কিছুটা সময় ছিলো। আর পাখিও জিসানের চেম্বারের কাছাকাছি একটা কাজে এসেছিলো। কথায় কথায় পাখি ডাক্তারদের সাইন হিসাবে "+" কেনো হলো সেটা জানতে চাইলো...
পাখিঃ আচ্ছা ডাক্তার সাহেব, দুনিয়ারে এতো সাইন থাকতে এই "+" কেনো আপনারা সাইন হিসাবে বেছে নিলেন ?
পাখির কথায় জিসান খুব সরলভাবেই উত্তর দিলো,
ডাঃ জিসানঃ দেখুন, রোগী বাঁচুক কিংবা মরুক, ডাক্তার তো সব সময় প্লাসই থাকে নাকি ?
সেজন্য প্লাসের চাইতে ভালো আর কি সাইন হতে পারে !!
 
দ্বিতীয় জোক টি বেশ ছিল।

অনেক ধন্যবাদ, মামা।
অন্তত একটা জোক হলেও উৎরে গেছে...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top