আমাদের মস্তিষ্ক খুবই জটিল। কখন কি চিন্তা করে কিংবা আমাদের করতে বলে, অনেক সময় তার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি না। এমন অনেক সাধারণ বিষয় আছে যার উপর নির্ভর করে মস্তিষ্কের এই জটিল কাজ। সেসব সাধারণ বিষয় জেনে নিলে অনেক কিছুকেই সাধারণভাবে নিতে পারবো। আজকে আমরা জানবো কয়েকটি ভিন্ন সাইকোলজিকাল তথ্য যা আমরা হয়তো কখনো উপলব্ধি করতে পারিনি।
১। মানুষ সিদ্ধান্ত নেয় অবচেতন মনে
অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমদের অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়, বিকল্প যাচাই বাছাই করা, সব ফলাফলের প্রভাব ইত্যাদি। কিন্তু আসলে আমরা সব সিদ্ধান্তই আমাদের অবচেতন মনে নিয়ে থাকি। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে ১১ মিলিয়ন বিট তথ্য গ্রহণ করতে পারে। সুতরাং আমাদের মস্তিষ্কের এত বিশাল পরিমাণ তথ্য একসাথে যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা নেই এবং আমরা যেই সিদ্ধান্ত নেই তা আসলে নিজেদের অবচেতন মনেই নিয়ে থাকি।
২। কম বিকল্পে বেশি পছন্দ
মানুষ অনেক অনেক বিকল্প চায়, কিন্তু কম বিকল্পের সাথে আরও ভাল নির্বাচন করে। আমরা তখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেই যখন আমাদের হাতে বিকল্পের সংখ্যা কম থাকে। অধ্যাপক ড্যান এরিল্যি তাঁর “Predictably Irrational” বইয়ে তাঁর করা একটি গবেষণার কথা বলেছেন, যেখানে তাঁরা দুটো বুথ খুলেছেন জ্যাম বিক্রির জন্য। একটি বুথে ২৪ রকমের জ্যাম দেয়া হয়েছিল এবং আরেকটিতে মাত্র ৬ রকমের। স্বল্প সংখ্যক বিকল্প থাকলেও সেই বুথে বিক্রির সংখ্যা ছয় গুণ বেশি ছিল সেই বেশি সংখ্যক বিকল্পের বুথের চেয়ে। সুতরাং আমরা তখনই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারি যখন আমাদের হাতে বিকল্পের সংখ্যা কম থাকে।
৩। একটি অভ্যাস তৈরি করতে লাগে ৬৬ দিন
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কোন কিছুকে অভ্যাসে পরিণত করতে হলে ৬৬ দিনই যথেষ্ট। কেউ যদি সেই কাজটি টানা ৬৬ দিন ধরে করে, তবে সেটি তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠা, ব্যয়াম করা ইত্যাদি। কোন খারাপ অভ্যাস থেকে বের হতেও এটি প্রযোজ্য।
৪। মানুষের পক্ষে মাল্টিটাস্কিং সম্ভব না
আমরা অনেককেই শুনেছি একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে। প্রকৃতপক্ষে, একসাথে একাধিক কাজ করা মানুষের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। আমাদের মস্তিষ্ক এক সময়ে শুধুমাত্র একটি কাজেই মনোযোগ দিতে পারে।
৫। মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার ভয়কে বলে নোমোফোবিয়া
২০১০ সালে একটি গবেষণায় ‘Nomophobia’ নামের এই ফোবিয়াটি আবিষ্কার করা হয়। এটির পূর্ণ রুপ হচ্ছে ‘no mobile phone phobia’। গবেষণায় যাদের প্রশ্ন করা হয় তাদের ৫৪% মানুষই কখনো না কখনো এটির মুখোমুখি হয়েছে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে ‘Nomophobia’-তে পুরুষদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি আক্রান্ত হয়।
৬। মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত তখনই হয় সৃজনশীল
কথাটি অদ্ভুত শুনালেও আসলে এটি সত্যি। মানুষের মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত থাকে তখনই বিভিন্ন সৃজনশীল চিন্তা মাথায় আসে। এটা হয়তো মনে হতে পারে যে ক্লান্ত অবস্থায় মস্তিষ্ক তো কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। তবে জেনে রাখুন এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এবং এটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।
৭। ভ্রমণ দেয় অবসন্নতা এবং হৃদরোগ থেকে মুক্তি
যে যত ভ্রমণ করে তার বিষণ্ণতা এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা তত কমে যায়। ভ্রমণ মানসিক সুস্থতা প্রদানে সাহায্য করে। সুতরাং কেউ যদি কোন ওষুধ ছাড়াই বাঁচতে চান, তবে এখুনি নেমে পড়ুন ভ্রমণে।
৮। মানুষ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে শুধুমাত্র ১০ মিনিট
কখনো এমন হয়েছে কি যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুব মনোযোগ দিয়ে ক্লাসটি করবেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তা আর সম্ভব হলো না! এর কারণ হল আমরা কোন কাজে শুধু ১০ মিনিটই মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। গবেষণায় দেখা গেছে কেউ ১০ মিনিটের উপর মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না এবং এ সময়টুকুর পরেই মন অন্য চিন্তা করতে শুরু করে দেয়।
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত, সংকলিত ও পরিমার্জিত)
১। মানুষ সিদ্ধান্ত নেয় অবচেতন মনে
অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমদের অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়, বিকল্প যাচাই বাছাই করা, সব ফলাফলের প্রভাব ইত্যাদি। কিন্তু আসলে আমরা সব সিদ্ধান্তই আমাদের অবচেতন মনে নিয়ে থাকি। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে ১১ মিলিয়ন বিট তথ্য গ্রহণ করতে পারে। সুতরাং আমাদের মস্তিষ্কের এত বিশাল পরিমাণ তথ্য একসাথে যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা নেই এবং আমরা যেই সিদ্ধান্ত নেই তা আসলে নিজেদের অবচেতন মনেই নিয়ে থাকি।
২। কম বিকল্পে বেশি পছন্দ
মানুষ অনেক অনেক বিকল্প চায়, কিন্তু কম বিকল্পের সাথে আরও ভাল নির্বাচন করে। আমরা তখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নেই যখন আমাদের হাতে বিকল্পের সংখ্যা কম থাকে। অধ্যাপক ড্যান এরিল্যি তাঁর “Predictably Irrational” বইয়ে তাঁর করা একটি গবেষণার কথা বলেছেন, যেখানে তাঁরা দুটো বুথ খুলেছেন জ্যাম বিক্রির জন্য। একটি বুথে ২৪ রকমের জ্যাম দেয়া হয়েছিল এবং আরেকটিতে মাত্র ৬ রকমের। স্বল্প সংখ্যক বিকল্প থাকলেও সেই বুথে বিক্রির সংখ্যা ছয় গুণ বেশি ছিল সেই বেশি সংখ্যক বিকল্পের বুথের চেয়ে। সুতরাং আমরা তখনই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারি যখন আমাদের হাতে বিকল্পের সংখ্যা কম থাকে।
৩। একটি অভ্যাস তৈরি করতে লাগে ৬৬ দিন
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে কোন কিছুকে অভ্যাসে পরিণত করতে হলে ৬৬ দিনই যথেষ্ট। কেউ যদি সেই কাজটি টানা ৬৬ দিন ধরে করে, তবে সেটি তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠা, ব্যয়াম করা ইত্যাদি। কোন খারাপ অভ্যাস থেকে বের হতেও এটি প্রযোজ্য।
৪। মানুষের পক্ষে মাল্টিটাস্কিং সম্ভব না
আমরা অনেককেই শুনেছি একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে। প্রকৃতপক্ষে, একসাথে একাধিক কাজ করা মানুষের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। আমাদের মস্তিষ্ক এক সময়ে শুধুমাত্র একটি কাজেই মনোযোগ দিতে পারে।
৫। মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার ভয়কে বলে নোমোফোবিয়া
২০১০ সালে একটি গবেষণায় ‘Nomophobia’ নামের এই ফোবিয়াটি আবিষ্কার করা হয়। এটির পূর্ণ রুপ হচ্ছে ‘no mobile phone phobia’। গবেষণায় যাদের প্রশ্ন করা হয় তাদের ৫৪% মানুষই কখনো না কখনো এটির মুখোমুখি হয়েছে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে ‘Nomophobia’-তে পুরুষদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি আক্রান্ত হয়।
৬। মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত তখনই হয় সৃজনশীল
কথাটি অদ্ভুত শুনালেও আসলে এটি সত্যি। মানুষের মস্তিষ্ক যখন ক্লান্ত থাকে তখনই বিভিন্ন সৃজনশীল চিন্তা মাথায় আসে। এটা হয়তো মনে হতে পারে যে ক্লান্ত অবস্থায় মস্তিষ্ক তো কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। তবে জেনে রাখুন এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এবং এটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।
৭। ভ্রমণ দেয় অবসন্নতা এবং হৃদরোগ থেকে মুক্তি
যে যত ভ্রমণ করে তার বিষণ্ণতা এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা তত কমে যায়। ভ্রমণ মানসিক সুস্থতা প্রদানে সাহায্য করে। সুতরাং কেউ যদি কোন ওষুধ ছাড়াই বাঁচতে চান, তবে এখুনি নেমে পড়ুন ভ্রমণে।
৮। মানুষ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে শুধুমাত্র ১০ মিনিট
কখনো এমন হয়েছে কি যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুব মনোযোগ দিয়ে ক্লাসটি করবেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পর তা আর সম্ভব হলো না! এর কারণ হল আমরা কোন কাজে শুধু ১০ মিনিটই মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। গবেষণায় দেখা গেছে কেউ ১০ মিনিটের উপর মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না এবং এ সময়টুকুর পরেই মন অন্য চিন্তা করতে শুরু করে দেয়।
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত, সংকলিত ও পরিমার্জিত)
আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি ফোরামের সাথে থাকবেন এবং একে অন্যকে উৎসাহ যোগাবেন।