নারী-পুরুষ সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যথাসম্ভব মাস্ক পরুন। এমনকি বাড়ির শিশু বা অন্য যে কেউ বাড়ির ছাদে গেলেও মাস্ক পরা উচিত। হাত ধুতে হবে নিয়মমাফিক।
নারী-পুরুষ সবাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশুরাও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। অফিস কিংবা বাজার সদাই নানা কারণে নারীদের বাইরে যেতে হয়। আবার অন্য কেউ বাজার করে দিলেও তা ঘরে আনার পর রান্নার জন্য প্রস্তুত করতে হয় নারীদের। গৃহকর্মী বাইরে থেকে এলে গৃহকর্ত্রীরাই মূলত বাজার সদাইয়ের সংস্পর্শে আসেন। বাড়ির অন্য সদস্যরা নিজেদের অজান্তে বাড়িতে বয়ে আনতে পারেন করোনাভাইরাস, যাতে আক্রান্ত হতে পারেন ঘরে থাকা নারীরাও। গর্ভাবস্থায় মায়ের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকায় এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে বেশি। আবার সন্তানকে সব সময় আগলে রাখতে চান মা। তাই শিশু যদি সংক্রমিত হয়, তাহলে তাকে একেবারে আলাদা ঘরে অন্তরীণ রাখার সুযোগ কম। কাছ থেকে শিশুকে দেখভাল করতে হয় মাকেই। এসব কারণেই নারীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রতিরোধে করণীয়
● নারী-পুরুষ সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যথাসম্ভব মাস্ক পরুন। এমনকি বাড়ির শিশু বা অন্য যে কেউ বাড়ির ছাদে গেলেও মাস্ক পরা উচিত। সেখান থেকে ফিরে হাত ধুতে হবে নিয়মমাফিক।
● বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সত্ত্বেও কোনো অতিথি এলে, কোনো কিছু স্পর্শ করার আগেই তাঁর হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করুন। তাঁর সামনে মাস্ক পরে যান। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁর ব্যবহৃত তৈজসপত্র সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং সেগুলো স্পর্শ করার পর নিজের হাত ধুয়ে ফেলুন।
● বাইরে থেকে আনা জিনিসপত্র স্পর্শ করার পর হাত জীবাণুমুক্ত না করে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করা যাবে না। সম্ভব হলে ব্যবহারের তিন দিন আগে জিনিসপত্র কিনে এনে আলাদা করে রাখুন। নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র বাইরে নিয়ে গেলে ঘরে ফিরে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে নিন।
● গৃহকর্মীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শেখান এবং তিনি তা মানছেন কি না, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ঘরে ঢুকেই তাঁকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। তাঁর উপস্থিতির সময়ে মাস্ক পরে থাকুন। তাঁকে মাস্ক পরে থাকতে উৎসাহিত করুন। প্রয়োজনে তাঁকে মাস্ক কিনে দিন।
● টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকলে নিয়ে নিন। গৃহকর্মীর টিকার ব্যবস্থা করে দিন।
● পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন। তাঁর বাইরের কাজগুলো যথাসম্ভব করে দিন। তাঁর সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করুন। তাঁকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জনসমাগম থেকে বিরত থাকুন। সন্তানের জন্ম হলে আত্মীয়–বন্ধুদের আসাটাও নিরুৎসাহিত করুন। ঐতিহ্যবাহী যেকোনো অনুষ্ঠান এবং নবজাতকের মুখদর্শন সেরে নিন অনলাইনেই।
● ঘরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবায় নিয়োজিত নারীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টি নিশ্চিত করুন।
● করোনার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
* ডা. রাফিয়া আলম, কোভিড আইসিইউ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড
নারী-পুরুষ সবাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশুরাও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। অফিস কিংবা বাজার সদাই নানা কারণে নারীদের বাইরে যেতে হয়। আবার অন্য কেউ বাজার করে দিলেও তা ঘরে আনার পর রান্নার জন্য প্রস্তুত করতে হয় নারীদের। গৃহকর্মী বাইরে থেকে এলে গৃহকর্ত্রীরাই মূলত বাজার সদাইয়ের সংস্পর্শে আসেন। বাড়ির অন্য সদস্যরা নিজেদের অজান্তে বাড়িতে বয়ে আনতে পারেন করোনাভাইরাস, যাতে আক্রান্ত হতে পারেন ঘরে থাকা নারীরাও। গর্ভাবস্থায় মায়ের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকায় এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে বেশি। আবার সন্তানকে সব সময় আগলে রাখতে চান মা। তাই শিশু যদি সংক্রমিত হয়, তাহলে তাকে একেবারে আলাদা ঘরে অন্তরীণ রাখার সুযোগ কম। কাছ থেকে শিশুকে দেখভাল করতে হয় মাকেই। এসব কারণেই নারীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রতিরোধে করণীয়
● নারী-পুরুষ সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যথাসম্ভব মাস্ক পরুন। এমনকি বাড়ির শিশু বা অন্য যে কেউ বাড়ির ছাদে গেলেও মাস্ক পরা উচিত। সেখান থেকে ফিরে হাত ধুতে হবে নিয়মমাফিক।
● বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সত্ত্বেও কোনো অতিথি এলে, কোনো কিছু স্পর্শ করার আগেই তাঁর হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করুন। তাঁর সামনে মাস্ক পরে যান। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁর ব্যবহৃত তৈজসপত্র সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং সেগুলো স্পর্শ করার পর নিজের হাত ধুয়ে ফেলুন।
● বাইরে থেকে আনা জিনিসপত্র স্পর্শ করার পর হাত জীবাণুমুক্ত না করে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করা যাবে না। সম্ভব হলে ব্যবহারের তিন দিন আগে জিনিসপত্র কিনে এনে আলাদা করে রাখুন। নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র বাইরে নিয়ে গেলে ঘরে ফিরে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে নিন।
● গৃহকর্মীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শেখান এবং তিনি তা মানছেন কি না, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। ঘরে ঢুকেই তাঁকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। তাঁর উপস্থিতির সময়ে মাস্ক পরে থাকুন। তাঁকে মাস্ক পরে থাকতে উৎসাহিত করুন। প্রয়োজনে তাঁকে মাস্ক কিনে দিন।
● টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকলে নিয়ে নিন। গৃহকর্মীর টিকার ব্যবস্থা করে দিন।
● পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন। তাঁর বাইরের কাজগুলো যথাসম্ভব করে দিন। তাঁর সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করুন। তাঁকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জনসমাগম থেকে বিরত থাকুন। সন্তানের জন্ম হলে আত্মীয়–বন্ধুদের আসাটাও নিরুৎসাহিত করুন। ঐতিহ্যবাহী যেকোনো অনুষ্ঠান এবং নবজাতকের মুখদর্শন সেরে নিন অনলাইনেই।
● ঘরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবায় নিয়োজিত নারীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টি নিশ্চিত করুন।
● করোনার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
* ডা. রাফিয়া আলম, কোভিড আইসিইউ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড