কলা কিশমিশ কেক
একটা লম্বা ছুটি পেলে আমরা সেই ছুটিতে অনেক কিছুই শিখি। মানে লম্বা ছুটি আসলে আমাদের নিজের অজান্তেই অনেক কিছু শিখিয়ে যায়। তার মধ্যে একেবারে প্রথমেই আসবে কম সাধ্যেও জীবন কাটানোর উপায়। লক্ষ্য করে দেখেছেন কি, এখন আমরা খাবার জিনিস মোটেই নষ্ট করছি না? বরং বাজার থেকে যা যা বাড়িতে আসছে, তার পুরোটাই ব্যবহার করে নেওয়ার চেষ্টা করছি সবাই মিলে? ঠিক সেই কাজটি করতে গিয়েই আমরা দারুণ একটি কেকের রেসিপি তৈরি করে ফেলেছি! এমন সুস্বাদু কেক কিনতে গেলে আপনার নিঃসন্দেহে অনেক টাকা খরচ হত। তার চেয়েও বড়ো কথা, আমাদের স্টকে যথেষ্ট মাখন, যতগুলো প্রয়োজন তত ডিম যথেষ্ঠ পরিমানে না থাকলেও এই কেকটি অনায়াসে তৈরী করে নেয়া যায়। দেখা গেল মাখনের সাথে সাদা তেল মিশিয়েে আর ডিমের অভাব পূরণ করার জন্য দুধ দিয়েও অনায়াসে কাজ চালিয়ে নেয়া যায়! আর হ্যাঁ, কলাগুলো উদ্ধার হয়েছিল ফ্রিজের গহীন কোণ থেকে। কালো হয়ে মজে গিয়েছে, খাওয়ার উপায় ছিল না। তার পর কী হল, জানতে রেসিপি দেখুন। তবে হ্যাঁ, অন্তত ওটিজি থাকতে হবে। তা না হলে কেক বানাবেন কিসে?
উপকরণঃ
৩ কাপ ময়দা
আধা কাপ কলার পিউরি (যেন দলা না থাকে)
আধা কাপ চিনি (মিক্সিতে গুঁড়ো করে নিন)
আধা চা-চামচ দারচিনি গুঁড়ো
১ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
আধা কাপ মাখন/ সাদা তেল/ দুটোর মিশ্রণ
৪টি ডিম
১ কাপ দুধ
১ চা-চামচ বেকিং পাউডার
১ চা-চামচ বেকিং সোডা
১ মুষ্ঠি বাদাম বা কিশমিশ (না থাকলে কোনও সমস্যা নেই)
পদ্ধতিঃ
কিশমিশ বাদে আর সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন একটি বড়ো পাত্রে।
হুইস্ক দিয়ে খুব ভালো করে মেশান, কোনও কিছুই যেন দলা পাকিয়ে না থাকে।
তবে খুব বেশি ফেটানোর দরকার নেই।
এবার আভেন গরম করে নিন, ১৮০ ডিগ্রি তাপে অন্তত ১০ মিনিট গরম হওয়া চাই।
কেক সেঁকার পাত্রে একটু তেল মাখান প্রথমে। তার পর ময়দা ছড়িয়ে রেডি করে নিন।
এর উপর ব্যাটার ঢালুন, ঢালার আগে বাদাম বা কিশমিশ মিশিয়ে একবার নেড়ে নিন।
মিনিট ৪০ বেক করলেই কেক রেডি হয়ে যাবে।
কেকের মাঝে একটা ছুরি ঢুকিয়ে দেখে নিন পুরো সেঁকা হয়েছে কিনা।
না হলে আরও পাঁচ মিনিট করে সময় দিন।
এই কেক ঠান্ডা করে একদিন পর খেলে বেশি ভালো লাগবে।