What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ : শেষ পর্ব (3 Viewers)

Joined
Aug 2, 2018
Threads
244
Messages
21,963
Credits
140,759
Guitar
Statue Of Liberty
Helicopter
Television
Laptop Computer
Lollipop
UwQ3pNgh.jpg



কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ এর যাত্রা শুরু ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২০ বাংলাদেশ বিমানের দুপুর ২টার ফ্লাইটে। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ৪০ মিনিটে প্লেন থেকে পাখির চোখে দেখা অপরূপ দৃশ্যের স্বাদ নিতে নিতে আমরা ৪ জন পৌছে যাই কক্সবাজার এয়ারপোর্টে। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে একটি ইজিবাইক ভাড়া করে চলে আসি কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টের কল্লোল হোটেলের রেস্টুরেন্ট কাশুন্দি-তে। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে পাশেই হোটেল অভিসারে উঠে আসি। তারপর চলে যাই সাগর সৈকতে প্রথম দিনে সূর্যাস্ত দেখবো বলে। বিকেল আর সন্ধ্যেটা কাটে সাগর পারে ভাড়া করা বিচ চেয়ারে আয়েসী আলসেমীতে চারধার দেখতে দেখতে।

পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বরে সকালে নাস্তা সেরে চলে আসি সাগর পারে। শুরু হয় কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ এর দ্বিতীয় দিনের সমূদ্র স্নান। অনেকটা সময় নিয়ে চলে সমূদ্র স্নান আর ছবি তোলা। সমূদ্র স্নান শেষে হোটেলে ফিরে দুপুরে লাঞ্চ শেষে আমরা বেড়াতে যাই রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের রঙ্গীন মাছের দুনিয়ায়। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে নানান প্রজাতির মাছ দেখা শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যাই পুরনো বার্মীজ মার্কেটের পিছনে অবস্থিত আগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং দেখতে।

৩০ সেপ্টেম্বর সকালের নাস্তা সেরে বেরিয়ে পরি সারাদিনের জন্য বেড়াতে। সম্ভবতো ১,২০০ টাকায় একটি সিএনজি ভাড়া করি সারা দিনের জন্য। রুট প্লান হচ্ছে কক্সবাজার > রামু > ইনানী > কক্সবাজার

প্রথমেই দেখে নেই অতি পুরনো কক্সবাজার বিজিবি ক্যাম্প মসজিদ। সেখান থেকে চলে যাই রামুতে ভুবন শান্তি ১০০ সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি দেখতে। বিশাল বুদ্ধমূর্তি দেখা শেষে সেখান থেকে আমরা রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পৌছে সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে যাই লামাছড়ার রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার দেখতে। বনাশ্রম দেখা শেষে আমারা চলে যাই প্রবাল পাথরের ইনানী সমূদ্র সৈকত। ইনানী বেড়িয়ে ফেরার পথে দেখতে পাই হিমছড়ি বন্ধ আছে করোনার কারণে, একই কারণে বন্ধ হয়ে আছে দড়িয়া নগরও। তাই ফিরে আসি কক্সবাজারে নিজেদের হোটেলে।
 
১লা অক্টোবর সকালের নাস্তা সেরে বেরিয়ে পরি সারাদিনের জন্য বেড়াতে। দিনের প্রথম গন্তব্য টেকনাফ সমূদ্র সৈকতে। বেশ কিছুটা সময় সৈকতে কাটিয়ে আমরা এবার মাথিনের কুপ দেখতে চললাম।



মাথিনের কুপ বা কুয়াটি দেখার তেমন কিছু না। এর অবস্থান টেকনাফের থানার পাশে। এর মূল আকর্ষণ এর পিছনের ঐতিহাসিক কাহিনীটি। আমরা মোটামুটি সকলেই জানি সেই কাহিনীটি। চাকমা তরুনী মাথিন ও পুলিশ অফিসার ধীরাজ ভট্টাচার্যের প্রেম কাহিনী এটি।



 
উইকি হতে জানাজায় –



nNgloAhh.jpg






আঠারো শতকের শেষদিকে টেকনাফে সুপেয় পানির খুবই অভাব ছিল। টেকনাফ থানা প্রাঙ্গনে একটিমাত্র মিষ্টি পানির কূপ ছিল। প্রতিদিনই রাখাইন তরুণীরা সেই কূয়ায় জল নিতে আসতেন। অন্যান্য রাখাইন তরুণীর সাথে রাখাইন জমিদার কন্যা মাথিনও জল নিতে আসতেন। ধীরাজ ভট্টাচার্য কলকাতা থেকে টেকনাফ থানায় বদলী হয়ে আসেন। এখানেই ধীরাজের সাথে মাথিনের প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। দুজনে বিয়ে করারও সিন্ধান্ত নেন। কিন্তু হঠাৎ করে কলকাতা থেকে আসা চিঠিতে ধীরাজকে জানানো হয় যে বাবা গুরুতর অসুস্থ আছেন। ফলে, কলকাতায় ফিরে যাবার প্রস্তুতি নেন ধীরাজ। কিন্তু মাথিন এতে রাজি ছিলেন না। তাঁর ধারণা ছিল যে, পরদেশী বাবু চলে গেলে আর ফিরে আসবেন না। তাই মাথিনকে না জানিয়ে ধীরাজ কলকাতা চলে যান। মাথিন বেশ কষ্ট পান ও নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেন। কোনভাবেই তাঁকে বোঝানো যায়নি। একসময় মাথিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরবর্তীকালে তাঁদের অমর প্রেমের আত্মত্যাগের নিদর্শন হিসেবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জায়গাটি সংরক্ষণ করে একটিকে মাথিনের কূপ হিসেবে নামকরণ করেন।



 
আবার এর বিপরীত মতও আছে।

১৯৩০ সালে ধীরাজ ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত জীবনী নিয়ে লেখা ‘যখন পুলিশ ছিলাম’ গ্রন্থে তারই ভালোবাসার স্মৃতিচারণে মাথিনের কথাও লিখেছেন। ওই বইয়েই মাথিনের কূপ সংশ্লিষ্ট কাহিনীটি রচিত রয়েছে।

তবে ভালোবাসার জন্য রাখাইন জমিদার-কন্যা মাথিনের এই জীবন বিসর্জন কাহিনী কোনোভাবেই মানতে রাজি নন টেকনাফের রাখাইনরা।

তাদের দাবি, মাথিন কূপের এই প্রেম-কাহিনী সাহিত্যিক পুলিশ অফিসার ধীরাজের লেখা উপন্যাসের কল্পিত চরিত্রের ইতিহাস মাত্র।



raVdxoMh.jpg




সত্যি যেটাই হোক সারাদেশের সাধারন মানুষ বিশ্বাস করে মাথিনের প্রেমকাহিনীর কথা। কুপের সামনে দেখলাম ছোট্ট একটি পার্কের মতো তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়েছে।
 
FroxRIoh.jpg



কড়া রোদের কারণে আমরা ক্লান্ত। এদিকে দুপুর পেরিয়ে গেছে, ক্ষুধাও লেগেছে। অথচো টেকনাফে ভালো কোনো রেস্টুরেন্ট পেলাম না খুঁজে। একটি বেকারী কাম মিষ্টির দোকান পেলাম। খাবারের মান খুবই ভালো। গাজরের হালুয়া পেলা, স্বাদ অসাধারণ।
 
T7AD6Hah.jpg



খাওয়া-দাওয়া শেষে এবার যাবো টেকনাফ জেটিতে। এই জেটি দিয়েই মায়ানমারে যাওয়ার এন্ট্রি দেয়া হয়। একটি ইজিবাইকে চললাম জেটির দিকে। পথের অবস্থা অতিশয় খারাপ। জেটির কাছাকাছি গিয়ে নামিয়ে দেয়, তারপর দীর্ঘ জেটিপথ ধরে হেঁটে যেতে হবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top