What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কদবেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা। 🍈 (1 Viewer)

Kaptan Jacksparoow

Community Team
Elite Leader
Joined
Apr 6, 2019
Threads
333
Messages
6,295
Credits
48,779
T-Shirt
Profile Music
Recipe sushi
Rocket
Euro Banknote
Butterfly
কদবেল অতি পরিচিত একটি দেশীয় ফল। মৌসুমি ফল হিসাবে এর জুড়ি মেলা ভার। সব বয়সের মানুষেরই এটি অনেক পছন্দের একটি ফল। পথেঘাটে কদবেলের পসরা হরহামেশাই চোখে পড়ে। শক্ত খোলসে আবৃত টক মিষ্টি স্বাদের দেশীয় ফল কদবেল। আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, আর আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি পরিমাণ আমিষ রয়েছে ফলটিতে। পুষ্টিগুণেও অনন্য কদবেলের নানান দিক তুলে ধরতেই আমাদের আজকের আয়োজন।


কদবেল দেখতে অনেকটা টেনিস বলের মত। বর্ষার শেষে যখন অন্য কোন ফল বাজারে পাওয়া যায় না তখন এই ফল দেখা যায়। পাকা কদবেলের খুব সুন্দর ঘ্রাণ বিদ্যমান। পাকা ফল ফাটিয়ে অথবা ছিদ্র করে কাঠি দিয়ে এ ফলের শাঁস কেতে হয় । কাঁচা শাঁসের রঙ হালকা বাদামি-ঘিয়ে, মিষ্টি-টক। কিন্তু পাকলে গাঢ় চকোলেট বা পীতাভ বাদামি হয়ে যায়, কালচে বাদামিও হয়। পাকলে শাঁস নরম হয়, চটকালে মাখনের মতো হয়ে যায়। শাঁসের ভেতর থাকে ছোট ছোট অনেক হালকা বাদামি রঙের বীজ। বীজ থেকে সহজে চারা হয়। যদি টবে রোপণ করতে চান তাহলে কলমের চারা উপযোগী। কলমের চারা থেকে দুই তিন বছরের মধ্যে ফুল-ফল ধরে।

পুষ্টি বিচার করলেও কদবেলের জুড়ি নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের পুষ্টিমান পানীয় অংশ ৮৫ দশমিক ৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২ দশমিক ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলো ক্যালরি, আমিষ ৩ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, শর্করা ৮ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম, লৌহ শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি শূন্য দশমিক ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলো ক্যালরি।

কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়। কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।এছাড়া কদবেল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ভিটামিন সি’ এর ভালো উৎস বিধায় স্কার্ভি প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। কদবেলের ট্যানিন নামক উপাদান দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করতে সাহায্য করে। কদবেলে রয়েছে ট্যানিন, যা অন্ত্রের কৃমি ধ্বংস করে। কদবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়। আলসারের ক্ষত সারাতে তাজা কদবেল বেশ কার্যকরী।

কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই কদবেল খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।


(collected)
 

Users who are viewing this thread

Back
Top