What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

জেনে রাখা ভাল: লাকি সেভেন হেলথ টিপস (পর্ব ১) (1 Viewer)

d2pD6mz.jpeg


”স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল” এই প্রবাদটি প্রাচীনকাল হতে প্রচলিত হলেও অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ উদাসীন। দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে আমাদের ধাবিত হতে হয়। এই কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকে ঠিক মতো শরীর কিংবা স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে পারে না। আবার কেউ বা এমনও যে, যতই বাধা বিপত্তি আসুক, স্বাস্থ্য রক্ষার্থে দৃঢ় প্রতিজ্ঞতাময়। তাই এই ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষদের সুবিধার্থে আলোচনা করবো এমন কিছু স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে, যা খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই যে কেউ চাইলেই ব্যবহার করতে ও অভ্যাস করতে পারবে।

১। সরিষার তেল ব্যবহারে চুল পাকা প্রতিরোধ:
সরিষার তেলে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এটি মূলত চুলের জন্য খুবই উপকারি। এটি চুলের গোড়া মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি সরিষার তেল থেকে আমরা প্রাকৃতিক ভাবেই পেতে পারি। খাটি সরিষায় আছে অ্যান্টি ফ্যাঙ্গাল যা চুলকে অকালে পেকে যাওয়া হতে রোধ করে, পাশাপাশি চুল পড়াও বন্ধ করে এবং মাথার খুসকি দূর করে।

২। সরিষার তেলে রান্নায় শারীরিক উন্নতি:
সরিষার তেল এন্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনকে ব্যাপক সহায়তা এবং উন্নত করে। এতে করে হজমে উন্নতি ঘটে এবং রক্ত সঞ্চালন এর সহায়তার জন্য হার্টের কাজ মসৃণ হয়। আর এ কারণেই সরিষার তেল হার্টের জন্য অনেক উপকারি।

৩। মধু দিয়ে পানি শূণ্যতা দূর করা:
ডায়রিয়া রোগীর জন্য মধু খুব উপকারি। ডায়রিয়া হলে রোগীর দেহে পানি শূণ্যতা বেড়ে যায়। তাই রোগীকে পানি শূণ্যতা দূর করতে নানান কিছু করতে হয় এবং খেতে হয়। সেসময় যদি ১ লিটার পানির সাথে ৫০ মিলি মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি সেবন করা হয়, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীর পানি শূণ্যতা দূর হবে।

৪। মধু দিয়ে অনিদ্রা বিদায়:
যাদের ঘুমে সমস্যা বা রাতে বেশি ঘুম হয় না তাদের জন্য মধু খুবই উপকারি। যদি নিয়মিত রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সাথে দুই চা-চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি সেবন করা হয়, তাহলে সারারাত খুব ভালোভাবে ঘুমাতে পারা যায়।

৫। প্রাকৃতিকভাবে অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা:
কেউ যদি চায় তার ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার থাকুক, সেক্ষেত্রে অ্যালোভেরার গুরুত্ব অপরিসীম। অ্যালোভেরা দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়া যায় এবং এর ব্যবহারে অনেক উপকার পাওয়া যায় - অ্যালোভেরাতে থাকা ভিটামিন-ই ত্বকে টান টান ফিল তৈরি করে; অ্যালোভেরাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পোড়া দাগ অপসারণ করতে সাহায্য করে; নিয়মিত অ্যালোভেরার জেল দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে জাদুর মত কাজ করে।

৬। সুস্বাস্থ্যের জন্য চা পাতা:
গরম চা যেমন ভাবে শরীরে গরম একটা ফিল তৈরি করে তেমনি চা পাতাও ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। ত্বকের যত্নে অনেককাল আগে থেকেই চা পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অল্প সময়ের মধ্যে চা পাতা দিয়ে ত্বকের খুব ভালোভাবে যত্ন নেওয়া সম্ভব সবসময়। ত্বকে ব্যবহারের জন্য চা পাতার কিছু টিপস - ব্রণ কমানোর জন্য ব্যবহার করা যায় ‍গ্রীন টি। এটি ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়; ত্বকের কালো চাপ দূর করার জন্য গ্রীন টি এর সাথে মধু এবং বেসন মিশিয়ে মিশ্রণটি যথাস্থনে লাগিয়ে কয়েক মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে; ত্বক কোমল রাখতে ঘুমানোর আগে গ্রীন টি এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মিশ্রণটি লাগানো যেতে পারে।

৭। বাদামের বিকল্প শুধুই বাদাম:
চর্বি উচ্চ হওয়া সত্ত্বেও বাদাম অবিশ্বাস্যভাবে পুষ্টিকর এবং উপকারী। বাদামে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইবার এবং বিভিন্ন অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। বাদাম ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করতে পারে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে পারে। উপরন্তু, বাদামের মধ্যে প্রায় ১০-১৫% ক্যালরি শরীরের মধ্যেও শোষিত হয় না এবং এটা হজম ও পাচন শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে নির্দিষ্ট এক পদের না হয়ে বিভিন্ন পদের বাদাম মিক্স করে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভাল।

(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত ও সংকলিত)
 
Last edited by a moderator:

Users who are viewing this thread

Back
Top