হিউমান সাইকোলজি সবসময় মানুষের কৌতূহলের বিষয় ছিল এবং আছে। কোন ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে অথবা কোন নতুন বিষয় নিয়ে জানতে সাইকোলজি কাজ করে থাকে। মানুষ সাইকোলজির অনেক কিছুই বোঝে না। আজকের আর্টিকেলে সাইকোলজি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট তুলে ধরা হলো।
১। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, আপনি যদি আপনার জীবনের লক্ষ্যের কথা কাউকে বলে দেন তাহলে হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনাকে আনন্দ পেতে সহায়তা করে। পরবর্তী সময়ে ওই কাজ করার পেছনে মোটিভেশন কমে যায়।
২। মাতৃভাষা ব্যতীত যদি দ্বিতীয় ভাষায় আমরা কোন কিছু চিন্তা করি তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে। সারাদিন নিজের রুমে না থেকে সূর্যের আলোর স্পর্শ পাওয়ার জরুরী। সূর্যের আলো আপনার মনে আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং আপনার মনকে সতেজ রাখে।
৩। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমান তাহলে আপনার শরীর এবং মনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। আপনি অতিরিক্ত ঘুমালে আপনার সাইকোলজি এমনভাবে কাজ করবে যেন আপনি কম ঘুমিয়েছেন। সেজন্য পরিমিত ঘুম মানুষের জন্য যথেষ্ট।
৪। দুশ্চিন্তার কারণে রাতে ঘুমাতে না পারলে একটি কাগজে আপনার সব মনের অনুভূতি লিখে ফেলুন। এতে আপনার মন হালকা হবে এবং রিলাক্স মুডে ঘুমানো সম্ভব হবে।
৫। হিউমান সাইকোলজি এভাবে কাজ করে যে আপনি যদি কোন ফুলের ঘ্রাণ নেন তাহলে হয়তো পুরনো স্মৃতির কথা মনে পড়ে যাবে।
৬। মানুষ মারা যাওয়ার পর ৭ মিনিট ধরে ব্রেইন সচল থাকে। সে সময় ব্রেইন পুরনো স্মৃতি নিয়ে কাজ করে।
৭। মানুষকে কোন কাজ করার জন্য অনুরোধ করলে সে না করতে পারে না। তবে সে কাজটি করতে পারবে কিনা বলে যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে নেতিবাচক উত্তর আসতে পারে। অচেনা কাউকে জানতে হলে তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে যান। রেস্টুরেন্টের স্টাফদের সাথে তার আচরণ কেমন তা পর্যবেক্ষণ করুন।
৮। দেখতে সুন্দর হওয়া মানুষগুলো অন্য মানুষদের কাছে সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আপনার চেহারা দেখতে যদি গড়পরতা হয় তাহলে আপনাকে গড়ের থেকে বেশি কিছু করতে হবে। আর দেখতে একেবারে খারাপ লোকদের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে অসাধারণ কিছু করতে হয়। কারণ মানুষের মন শারীরিক সৌন্দর্যকে বেশি পছন্দ করে এবং মনের অপরিপক্কতার কারণে কুৎসিত চেহারাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য এবং সেই প্রজ্ঞা অভিজ্ঞতা যা সময় থেকে পাওয়া যায়।
৯। আপনার বান্ধবী/প্রেমিককে ছেড়ে যাওয়া আপনার বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে অনেক কঠিন বলে মনে হতে পারে। কারণ রোমান্টিক সম্পর্ক আপনার শরীরে শক্তিশালী ফেরোমোন নিঃসৃতি কে প্ররোচিত করে যা আপনাকে আপনার সঙ্গীর সাথে শক্তিশালী বন্ধন অনুভূতি বিকাশ করতে বাধ্য করে। যার ফলে এই ধরনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা আপনার কাছে কঠিন মনে হয়।
১০। আপনি একজন ব্যক্তির প্রতি যত বেশি মনোযোগ দেবেন, সে আপনাকে তত বেশি অ্যাটিচুড দেখাবে। এর কারণ হল মানুষ যত বেশি মনোযোগ পায়, তাদের মন মনে করে যে তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সুদর্শন এবং যে ব্যক্তি তার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে সে তার সঙ্গ পাবার জন্য মরিয়া।
১১। অর্থ বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং সুখ জাগিয়ে তোলে। এটি তাদের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা বাড়ায়। এর কারণ অর্থ আপনার প্রয়োজনীয়তা খুব সহজে পূরণ করতে পারে এবং আপনার মনে আত্মতৃপ্তির জন্ম দিতে পারে।
১২। মানুষ কক্ষনোই মনে রাখে না যে, আপনি তাকে কি বলেছিলেন। মানুষ সবসময় মনে রাখে যে, সে যখন আপনার সাথে ছিল তখন আপনি তার সাথে কেমন ব্যবহার করেছিলেন। এরপর আপনি যখন পুনরায় তার সামনে আসবেন তখন সে আপনার করা ব্যবহারটি মনে করবে, তারপর সে সিদ্ধান্ত নিবে যে সে আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করবে। তাই যা করবেন ভেবে চিন্তে করবেন।
১৩। মানুষ সত্য কথার উপর সহজে বিশ্বাস করতে চায় না, কিন্তু মিথ্যা কথায় সহজে বিশ্বাস করে ফেলে। আপনি যদি কাউকে সত্যি কথা বলেন, তাহলে সে আপনার কাছে আরেকবার তার সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করবেই। যেমন ধরুন, আপনি কাউকে বললেন যে আমি একটি বড় সরকারি চাকরি পেয়েছি, সে আপনার কথা সহজে বিশ্বাস করবে না, সে আপনাকে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করবেই। কিন্তু আপনি যদি তাকে মিথ্যে বলেন যে আমি এবারেও ফেল করেছি, সে সহজে বিশ্বাস করে আপনাকে বলবে পরেরবার আবার চেষ্টা করতে। বিশ্বাস না হলে নিজে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত ও সংকলিত)
১। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, আপনি যদি আপনার জীবনের লক্ষ্যের কথা কাউকে বলে দেন তাহলে হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনাকে আনন্দ পেতে সহায়তা করে। পরবর্তী সময়ে ওই কাজ করার পেছনে মোটিভেশন কমে যায়।
২। মাতৃভাষা ব্যতীত যদি দ্বিতীয় ভাষায় আমরা কোন কিছু চিন্তা করি তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে। সারাদিন নিজের রুমে না থেকে সূর্যের আলোর স্পর্শ পাওয়ার জরুরী। সূর্যের আলো আপনার মনে আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং আপনার মনকে সতেজ রাখে।
৩। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমান তাহলে আপনার শরীর এবং মনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে। আপনি অতিরিক্ত ঘুমালে আপনার সাইকোলজি এমনভাবে কাজ করবে যেন আপনি কম ঘুমিয়েছেন। সেজন্য পরিমিত ঘুম মানুষের জন্য যথেষ্ট।
৪। দুশ্চিন্তার কারণে রাতে ঘুমাতে না পারলে একটি কাগজে আপনার সব মনের অনুভূতি লিখে ফেলুন। এতে আপনার মন হালকা হবে এবং রিলাক্স মুডে ঘুমানো সম্ভব হবে।
৫। হিউমান সাইকোলজি এভাবে কাজ করে যে আপনি যদি কোন ফুলের ঘ্রাণ নেন তাহলে হয়তো পুরনো স্মৃতির কথা মনে পড়ে যাবে।
৬। মানুষ মারা যাওয়ার পর ৭ মিনিট ধরে ব্রেইন সচল থাকে। সে সময় ব্রেইন পুরনো স্মৃতি নিয়ে কাজ করে।
৭। মানুষকে কোন কাজ করার জন্য অনুরোধ করলে সে না করতে পারে না। তবে সে কাজটি করতে পারবে কিনা বলে যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে নেতিবাচক উত্তর আসতে পারে। অচেনা কাউকে জানতে হলে তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে যান। রেস্টুরেন্টের স্টাফদের সাথে তার আচরণ কেমন তা পর্যবেক্ষণ করুন।
৮। দেখতে সুন্দর হওয়া মানুষগুলো অন্য মানুষদের কাছে সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আপনার চেহারা দেখতে যদি গড়পরতা হয় তাহলে আপনাকে গড়ের থেকে বেশি কিছু করতে হবে। আর দেখতে একেবারে খারাপ লোকদের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে অসাধারণ কিছু করতে হয়। কারণ মানুষের মন শারীরিক সৌন্দর্যকে বেশি পছন্দ করে এবং মনের অপরিপক্কতার কারণে কুৎসিত চেহারাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য এবং সেই প্রজ্ঞা অভিজ্ঞতা যা সময় থেকে পাওয়া যায়।
৯। আপনার বান্ধবী/প্রেমিককে ছেড়ে যাওয়া আপনার বন্ধুদের ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে অনেক কঠিন বলে মনে হতে পারে। কারণ রোমান্টিক সম্পর্ক আপনার শরীরে শক্তিশালী ফেরোমোন নিঃসৃতি কে প্ররোচিত করে যা আপনাকে আপনার সঙ্গীর সাথে শক্তিশালী বন্ধন অনুভূতি বিকাশ করতে বাধ্য করে। যার ফলে এই ধরনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা আপনার কাছে কঠিন মনে হয়।
১০। আপনি একজন ব্যক্তির প্রতি যত বেশি মনোযোগ দেবেন, সে আপনাকে তত বেশি অ্যাটিচুড দেখাবে। এর কারণ হল মানুষ যত বেশি মনোযোগ পায়, তাদের মন মনে করে যে তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সুদর্শন এবং যে ব্যক্তি তার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে সে তার সঙ্গ পাবার জন্য মরিয়া।
১১। অর্থ বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং সুখ জাগিয়ে তোলে। এটি তাদের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা বাড়ায়। এর কারণ অর্থ আপনার প্রয়োজনীয়তা খুব সহজে পূরণ করতে পারে এবং আপনার মনে আত্মতৃপ্তির জন্ম দিতে পারে।
১২। মানুষ কক্ষনোই মনে রাখে না যে, আপনি তাকে কি বলেছিলেন। মানুষ সবসময় মনে রাখে যে, সে যখন আপনার সাথে ছিল তখন আপনি তার সাথে কেমন ব্যবহার করেছিলেন। এরপর আপনি যখন পুনরায় তার সামনে আসবেন তখন সে আপনার করা ব্যবহারটি মনে করবে, তারপর সে সিদ্ধান্ত নিবে যে সে আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করবে। তাই যা করবেন ভেবে চিন্তে করবেন।
১৩। মানুষ সত্য কথার উপর সহজে বিশ্বাস করতে চায় না, কিন্তু মিথ্যা কথায় সহজে বিশ্বাস করে ফেলে। আপনি যদি কাউকে সত্যি কথা বলেন, তাহলে সে আপনার কাছে আরেকবার তার সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করবেই। যেমন ধরুন, আপনি কাউকে বললেন যে আমি একটি বড় সরকারি চাকরি পেয়েছি, সে আপনার কথা সহজে বিশ্বাস করবে না, সে আপনাকে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করবেই। কিন্তু আপনি যদি তাকে মিথ্যে বলেন যে আমি এবারেও ফেল করেছি, সে সহজে বিশ্বাস করে আপনাকে বলবে পরেরবার আবার চেষ্টা করতে। বিশ্বাস না হলে নিজে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত ও সংকলিত)
আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি ফোরামের সাথে থাকবেন এবং একে অন্যকে উৎসাহ যোগাবেন।