What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ঘরেই হোক ঈদ আনন্দ (1 Viewer)

xMan29I.jpg


প্রচলিত ধাঁচের ছোটখাটো একটা ফ্ল্যাটবাড়ি। আট-দশটি পরিবারের বসবাস। বাড়ির বাসিন্দারা সবাই হয়তো সবাইকে চেনেনও না। শহুরে জীবনের বাস্তবতা। কিংবা চাকরির জন্য মফস্বল শহরে বাস করা একাকী একটি ছোট্ট পরিবার। এমন চিত্রপটে করোনাকালে আরও একটি ঈদ চলে এল। এক জেলা থেকে অন্য জেলা, শহর থেকে গ্রামে যাতায়াতে রয়েছে বিধিনিষেধ। বাড়ি যাওয়ার আনন্দ নেই বললেই চলে। ঈদের খুশির ফল্গুধারা তবু তো বইবে চার দেয়ালের মাঝে, হয়তো দেয়াল ছাড়িয়ে একটু এপাশে–ওপাশে।

নিজেদের বাড়ি থাকলে বাড়ির লনেও হতে পারে ঈদের বৈকালিক আয়োজন। যৌথ পরিবার কিংবা ‘সমন্বিত’ পরিবার থাকতে পারে একটা বড় বাড়িতে কিংবা একটা বড় ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটবাড়ির বিভিন্ন তলায় আত্মীয়েরা থাকলে সেটাও দারুণ। এই যেমন চিকিৎসক সাইখ ফেরদৌস শোনাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের ঈদের গল্প।

ভবনজুড়ে আত্মীয়

রাজধানীর আদাবর এলাকায় একই ভবনের বিভিন্ন তলায় থাকেন সাইখ ফেরদৌসের মামা-খালাদের পরিবার। মহামারি পরিস্থিতিতে গত বছর ঈদে বাইরে কোথাও না গিয়ে বাড়ির ছাদে নেট ঘিরে নিয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন খালাতো-মামাতো ভাইয়েরা মিলে, সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই মামা। এবারের ঈদেও সে রকমই ইচ্ছা। সবাই মিলে হইচই, টুকটাক আড্ডা হয় বছরজুড়েই, ঈদে বেড়ে যায় আনন্দের আতিশয্য।

ঈদের কয়েকটা দিন এক একজনের বাসায় এক এক বেলা খাওয়ার পর্ব চলে। বহুজনের বহুমুখী ব্যস্ততার এই জীবনে সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ সব সময় পাওয়া যায় না, ঈদের কয়েকটা দিন এমন আনন্দময় সময় কাটানোটাকে অসাধারণ বলে মনে করেন তিনি। তাই পরিস্থিতি মেনে নিয়ে নিজে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি আশপাশের লোকজনকে সুস্থ রাখাও একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব।

7k6TNKW.jpg


বাড়ির সদস্যারা মিলে নানা রকম আনন্দ আ্ড্ডার আয়োজন করা যায়

অচেনা বাসিন্দারা?

সাইখের পরিবারের মতো সব ফ্ল্যাটবাড়ির সব পরিবারই আত্মীয় নন অবশ্য। কিন্তু প্রতিবেশী তো বটে। সেখানেও বাচ্চারা ঈদ উপলক্ষে ছবি আঁকতে পারে, ছড়া লিখতে পারে। বাসার দরজার কাছে সিঁড়ির কিছুটা অংশ সাজানো যায় কাগজ কেটে। সিঁড়ির কাছে দেয়ালে আটকে দিতে পারেন নিজের আঁকা কিংবা লেখা। সিঁড়িঘরেও টাঙানো যেতে পারে ছবি, ছবির নিচে লেখা থাকল শিশুটির নাম, ফ্ল্যাট নম্বর। বিষয়টা অনেকটা দেয়াল পত্রিকার মতো। কেউ হয়তো নিচে নামার সময় কিংবা বাইরের প্রয়োজন সেরে ঘরে ফেরার সময় দেখল ছবিগুলো। সুন্দর একটা ছবি দিয়েই হয়তো পরে কখনো বন্ধুত্ব হয়ে গেল দুই পরিবারের শিশুদের।

বাড়ির ছাদে আরও মজা

গৃহবন্দী সময়ে মনমরা হয়ে থাকা শিশুদের এক মায়ের সঙ্গে কথা হলো। ঈদের খুশি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি শুনে অনুরোধ করলেন, অবশ্যই যেন মজার কিছু লিখি, যাতে গৃহবন্দী সন্তানেরা আনন্দের উপায় খুঁজে পায়। এমন মনমরা হয়ে পড়া এই প্রজন্মটার জন্য কী করা যায়? বাড়ির ছাদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন পরিবারের বাসিন্দারা একত্র হতে পারেন, ঈদের দিন বিকেলে সেখানে হতে পারে নানা আয়োজন, শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতা হলেও সব শিশুর জন্যই থাকবে পুরস্কার। বড়রাও যোগ দিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

  • আবৃত্তি, অভিনয় হতে পারে।
  • শিশু–কিশোরেরা নিজেদের আঁকা ছবিও আনতে পারে এখানে। কিংবা ছাদে বসে আঁকতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর সৃজনশীল লেখার প্রতিযোগিতা করা যেতে পারে। যেখানে সবাই পুরস্কার পাবেন।
  • পিলো পাসিংয়ের মতো মজার খেলাও হতে পারে।
  • কেউ একটা শব্দ বললেন, পরের জন সেই শব্দের শেষ অক্ষর দিয়ে আরেকটা শব্দ বললেন। এটাও একটা খেলা। ‘নাম মিলান্তি’ বা ‘আন্তক্ষরি’ খেলার আয়োজন রাখা যায় পরিবারের সবাই মিল।
  • মূকাভিনয় করেও বোঝানো যেতে পারে, কানে কানে বলা প্রতিপক্ষের একটি নির্দিষ্ট বিষয়। এই খেলা দুটো দলে ভাগ হয়ে তারপর খেলতে হয়।
  • ছোটবেলায় নাম-দেশ-ফুল-ফল খেলেছেন কমবেশি সবাই। একটা বর্ণ দিয়ে একজন মানুষের নাম, একটা দেশের নাম, একটা ফুলের নাম আর একটা ফলের নাম লিখে এরপর বাকিদের লেখা নামগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখার খেলাটি কিন্তু বেশ।
  • বাসায় থাকা সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে শিশুরা ঈদের পোশাক পরে একটু মজা করে হাঁটতে পারে। হয়ে গেল ছোটখাটো ফ্যাশন শো। একই পরিবারের সদস্যরা থাকলে হয়তো বড়রাও নির্দ্বিধায় অংশ নেবেন এমন ফ্যাশন শোতে। সময়টা এতে হয় উঠবে আনন্দময়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top