গাযায় গণহত্যা ইহূদীবাদীদের পতনঘণ্টা
মিথ্যা অজুহাতে গত বেশ কিছুদিন থেকে গাযায় ইস্রাঈলের একতরফা গণহত্যা চলছে। সারা বিশ্ব চেয়ে চেয়ে দেখছে। যাদের ক্ষমতা নেই, তারা চোখের পানি ফেলছে, প্রতিবাদ করছে, মিছিল-মিটিং করছে ও আল্লাহর কাছে প্রাণভরে দো'আ করছে। পক্ষান্তরে যাদের ক্ষমতা আছে, তারা নিজেদের মধ্যকার অনৈক্য ও রাজনৈতিক স্বার্থদ্বন্দ্বের কারণে চুপ করে আছে। অন্যদিকে ইস্রাঈলের অবৈধ জন্মদাতাদের বর্তমান নেতা বিশ্ব নেতাও বলা যায় যাকে সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যভাবে এই গণহত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, ইস্রাঈলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে'। অতএব এজন্য তিনি কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য প্রেরণ করছেন ইস্রাঈলের নিকট।
সাম্প্রতিক এ জঘন্যতম হামলা হঠাৎ করে হয়নি। বরং দীর্ঘ পরিকল্পনার মঞ্চায়ন মাত্র। ১৯৪৮ সালে পাশ্চাত্য বলয়ের সরাসরি মদদে ফিলিস্তীনীদেরকে তাদের হাযার বছরের আবাসভূমি থেকে হটিয়ে সেখানে হিটলারের হাতে বিতাড়িত ইহূদীদের সারা দুনিয়া থেকে এনে জড়ো করা হয় এবং 'ইস্রাঈল' নামে একটি অবৈধ রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া হয়। কথিত আছে যে, ৬০ লাখ ইহূদীকে গ্যাস চেম্বার ঢুকিয়ে হত্যা করার পরে হিটলার নাকি বলেছিলেন, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কিছু ইহূদী এখনো বেঁচে থাকল। এরা যে কত নিকৃষ্ট, এদের আচরণেই লোকেরা টের পাবে। আর তখনই লোকেরা বলবে, কেন আমি ওদেরকে এভাবে হত্যা করেছি'। বর্তমান পৃথিবীতে ইহূদীদের মোট জনসংখ্যা মাত্র ০.১৯% । অথচ তারাই এখন বিশ্বকে হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের মাত্র ৩টি প্রস্তাব অমান্য করায় আমেরিকার নেতৃত্বে ন্যাটো জোট ইরাককে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করল। অথচ ৬৭টি প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলেও ইস্রাঈলের বিরুদ্ধে বিশ্বসংস্থা কিছুই করতে পারল না। উল্টা ভেটো ক্ষমতার অধিকারী বৃটেন-আমেরিকা সর্বদা তাদের পাশে থাকছে। কারণ এটা তাদেরই সৃষ্ট একাট সামরিক কলোনী মাত্র। যার উদ্দেশ্য হ'ল, ইস্রাঈলকে লেলিয়ে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে কবজায় রাখা। আর মধ্যপ্রাচ্যকে কবজায় রাখার অর্থ হ'ল মুসলিম দুনিয়াকে কবজায় রাখা। আল্লাহর রহমতে বিশ্বের সকল সম্পদের সিংহ ভাগের মালিক হ'ল মুসলিম বিশ্ব। এরা যদি কখনো ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহ'লে খ্রিষ্টান বিশ্ব চোখে অন্ধকার দেখবে। যদিও প্রকৃত ইসলামী শাসন কখনো কারু জন্য হুমকি নয়। তার জাজ্বল্যমান প্রমাণ বিগত ইসলামী খেলাফত সমূহ।