maruftamimauthor
Member
গল্পের নাম: আমার জন্মদিন
লেখক: আব্দুল্লা-হিল-মারুফ তামিম
******************************
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বিছানার চারপাশে আব্বু-আম্মু,ভাইয়া-ভাবি আর আমার বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকের মাথায় রয়েছে জন্মদিনের টুপি। তাদের দেখে বুঝতে পারলাম আজ ৩১শে আগস্ট আমার জন্মদিন তাই সবাই এখানে এসেছে আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। কিন্তু একি আমার খাটটি এত ছোট লাগছে কেন আর চারপাশে বেড়া দেওয়া মনে হচ্ছে এটা কোনো ছোট বাচ্চাদের খাট। কিন্তু আমি এই খাটে কেন আমিত আর বাচ্চা নই আমার বয়স এখন ১৯ বছর। কিছুক্ষণ পর সবাই আমাকে আদর করতে থাকে যেমনভাবে একজন বাচ্চাকে আদর করে। তাদের এই আদরের কারণে আমার অনেক সুড়সুড়ি লাগছে কিন্তু আমি কিছু বলতে পারছি না, কথা বলতে চাইছি কিন্তু মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না। যাই হক এরপর ভাইয়া আমাকে কোলে করে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে নিয়ে অন্য রুমে যায়। সেখানে যেয়ে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় কারণ সেখানে টেবিলের উপর সাজানো রয়েছে সব আমার পছন্দের খাবার। আমার খাবারগুলো দেখে খুব লোভ হতে থাকে তাই সেদিকে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি কিন্তু যেতে পারছি না ভাইয়ার কোলে থাকার কারণে। আমার এমন দাপাদাপি দেখে ভাইয়া হয়ত বুঝতে পেরেছে আমি খেতে চাইছি তাই ভাইয়া আম্মুকে বলল আমাকে খেতে দিতে। ভাইয়ার কথা শুনে আমার খুব আনন্দ লাগল অন্তত সে আমার কষ্টটা বুঝতে পেরেছে। কিছুক্ষণ পর আম্মু রান্নাঘর থেকে এসে আমার মুখের ভিতর দুধ ভর্তি ফিডার ঠেসে দিলেন। কিন্তু আমি এটা চাইনি আমি চেয়েছি টেবিলে রাখা খাবারগুলো। এরপর আম্মু আমাকে কোলে নিয়ে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছেন আর টেবিলে বসে সবাই খাওয়া শুরু করে। এক একজনের খাওয়া দেখে আমার নিজেরই লোভ লাগতে থাকে এবং রাগ হচ্ছে। সব থেকে বেশি রাগ হচ্ছে ভাইয়ার উপর আমাকে এই ফিডারে দুধ খেতে দিয়ে নিজে মাংস চিবচ্ছে। মনে মনে বলছি একদিন সুযোগ আমারও আসবে তখন আমিও এইভাবে মজা নিব। ওদের খাওয়া দেখে রাগে দুঃখে কেঁদে দেই তখন আম্মু আমাকে নিয়ে পাশের ঘরে শুইয়ে দিয়ে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করে। চুপচাপ শুয়ে আছি আর আম্মু আমাকে নানারকম এর ছড়া গান করে ঘুম পড়াচ্ছেন তখন মনে হল দুইপায়ের মাঝখানে গরম গরম এবং ভিজা ভিজা। তখন বুঝতে পারলাম আমি আমার প্যান্টের মধ্যেই কাজ সেরে ফেলেছি।
......
ছোট্ট এই ছোট্ট ঘুম দিয়ে ওঠো..
ঘুমিয়ে আছি তখন মনে হল পিঠের উপর কেউ ড্রাম বাজাচ্ছে। চোখ মেলে দেখি আম্মু আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সব কিছু আগেরমতোই আছে তারমানে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু আম্মু আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? তখন মনে হল আমার প্যান্ট ভিজা ভিজা লাগছে তাহলে কী আমি সত্যি প্যান্টে করে দিয়েছি এবার আমার কী হবে?
আম্মু আমার দিকে রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে বললেন " এত বড় ছেলে হয়েছিস তারপরও বিছানায় বাথরুম করিস? দাড়া আজকে তোকে মজা দেখাচ্ছি।"
এই বলে আম্মু হাতে লাঠি নিলেন আমাকে মারার জন্য।
আমিও আর দেরী না করে দৌড় শুরু করলাম।
হায় রে আজকে আমার জন্মদিন তারপরও এভাবে দৌড়ানি খেতে হচ্ছে কপাল খারাপ আমার।
সমাপ্ত....
[HASH=3848]#রম্যগল্প[/HASH]
(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গল্পটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।)
Copyright: August 31,2019 at 12:01
Maruf Tamim (Author).
লেখক: আব্দুল্লা-হিল-মারুফ তামিম
******************************
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বিছানার চারপাশে আব্বু-আম্মু,ভাইয়া-ভাবি আর আমার বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকের মাথায় রয়েছে জন্মদিনের টুপি। তাদের দেখে বুঝতে পারলাম আজ ৩১শে আগস্ট আমার জন্মদিন তাই সবাই এখানে এসেছে আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। কিন্তু একি আমার খাটটি এত ছোট লাগছে কেন আর চারপাশে বেড়া দেওয়া মনে হচ্ছে এটা কোনো ছোট বাচ্চাদের খাট। কিন্তু আমি এই খাটে কেন আমিত আর বাচ্চা নই আমার বয়স এখন ১৯ বছর। কিছুক্ষণ পর সবাই আমাকে আদর করতে থাকে যেমনভাবে একজন বাচ্চাকে আদর করে। তাদের এই আদরের কারণে আমার অনেক সুড়সুড়ি লাগছে কিন্তু আমি কিছু বলতে পারছি না, কথা বলতে চাইছি কিন্তু মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না। যাই হক এরপর ভাইয়া আমাকে কোলে করে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে নিয়ে অন্য রুমে যায়। সেখানে যেয়ে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় কারণ সেখানে টেবিলের উপর সাজানো রয়েছে সব আমার পছন্দের খাবার। আমার খাবারগুলো দেখে খুব লোভ হতে থাকে তাই সেদিকে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি কিন্তু যেতে পারছি না ভাইয়ার কোলে থাকার কারণে। আমার এমন দাপাদাপি দেখে ভাইয়া হয়ত বুঝতে পেরেছে আমি খেতে চাইছি তাই ভাইয়া আম্মুকে বলল আমাকে খেতে দিতে। ভাইয়ার কথা শুনে আমার খুব আনন্দ লাগল অন্তত সে আমার কষ্টটা বুঝতে পেরেছে। কিছুক্ষণ পর আম্মু রান্নাঘর থেকে এসে আমার মুখের ভিতর দুধ ভর্তি ফিডার ঠেসে দিলেন। কিন্তু আমি এটা চাইনি আমি চেয়েছি টেবিলে রাখা খাবারগুলো। এরপর আম্মু আমাকে কোলে নিয়ে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছেন আর টেবিলে বসে সবাই খাওয়া শুরু করে। এক একজনের খাওয়া দেখে আমার নিজেরই লোভ লাগতে থাকে এবং রাগ হচ্ছে। সব থেকে বেশি রাগ হচ্ছে ভাইয়ার উপর আমাকে এই ফিডারে দুধ খেতে দিয়ে নিজে মাংস চিবচ্ছে। মনে মনে বলছি একদিন সুযোগ আমারও আসবে তখন আমিও এইভাবে মজা নিব। ওদের খাওয়া দেখে রাগে দুঃখে কেঁদে দেই তখন আম্মু আমাকে নিয়ে পাশের ঘরে শুইয়ে দিয়ে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করে। চুপচাপ শুয়ে আছি আর আম্মু আমাকে নানারকম এর ছড়া গান করে ঘুম পড়াচ্ছেন তখন মনে হল দুইপায়ের মাঝখানে গরম গরম এবং ভিজা ভিজা। তখন বুঝতে পারলাম আমি আমার প্যান্টের মধ্যেই কাজ সেরে ফেলেছি।
......
ছোট্ট এই ছোট্ট ঘুম দিয়ে ওঠো..
ঘুমিয়ে আছি তখন মনে হল পিঠের উপর কেউ ড্রাম বাজাচ্ছে। চোখ মেলে দেখি আম্মু আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সব কিছু আগেরমতোই আছে তারমানে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু আম্মু আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? তখন মনে হল আমার প্যান্ট ভিজা ভিজা লাগছে তাহলে কী আমি সত্যি প্যান্টে করে দিয়েছি এবার আমার কী হবে?
আম্মু আমার দিকে রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে বললেন " এত বড় ছেলে হয়েছিস তারপরও বিছানায় বাথরুম করিস? দাড়া আজকে তোকে মজা দেখাচ্ছি।"
এই বলে আম্মু হাতে লাঠি নিলেন আমাকে মারার জন্য।
আমিও আর দেরী না করে দৌড় শুরু করলাম।
হায় রে আজকে আমার জন্মদিন তারপরও এভাবে দৌড়ানি খেতে হচ্ছে কপাল খারাপ আমার।
সমাপ্ত....
[HASH=3848]#রম্যগল্প[/HASH]
(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গল্পটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।)
Copyright: August 31,2019 at 12:01
Maruf Tamim (Author).