বল্টুর পছন্দের খাবার খিচুড়ি। আজ বল্টুদের বাড়ির পাশে শির্নীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।বল্টু তো দারুণ খুশি। শির্নী চড়ানো হবে একটাই।এখন বাজে বারোটা।
বল্টু ভাবলো শির্নী রেডি হতে তো দেরি আছে তাই এইবেলা একটু ঘুমিয়ে নিয়া যাক।ঘুমানোর আগে বল্টু তার মাকে বলল,"মা আমি ঘুমাতে গেলাম,ওরা খিচুড়ি দিতে আসলে তুমি নিয়ে রেখে দিও।আমি ঘুম থেকে উঠে খাবো।"
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বল্টু খিচুড়ির স্বপ্ন দেখতে লাগলো।দেখছে সে একটা দাওয়াত ওয়ালা বাড়িতে গেছে।সেখানে সবাইকে খিচুড়ি খেতে দাওয়া হয়েছে।বল্টু তো মনের সুখে গোগ্রাসে খিচুড়ি খাচ্ছে।কোন দিকে দেখাদেখির নাম নাই।দেখতে দেখতে সে তিন প্লেট খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছে।যখন চতুর্থ বারের মতো প্লেটে খিচুড়ি তুলতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে ঘুম ভেঙ্গে গেলো তার মায়ের ডাকে।
বল্টু ঘুমঘুম গলায় বললো,কি হয়েছে?ডাকছো কেন?দেখছ না?আমি খিচুড়ি খাচ্ছি?
-ওরে হারামজাদা পোলা!তুই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছিলি?দেখ তুই বালিশের কি অবস্থা করেছিস!!
বল্টুর হটাৎ খেয়াল হলো তার মুখ ভর্তি তুলো।তার মানে সে ঘুমের ঘোরে বালিশের তুলো খাচ্ছিলো!উফফ!কি বিচ্ছিরি ব্যাপার!
"যা ফ্রেশ হয়ে আয়",মা বললো।
বল্টু উঠে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে বিকাল হয়ে গেছে।
সে বলল,"মা আমার খিচুড়ি কই?"
-খিচুড়ি নি নাই।ফেরত পাঠিতে দিয়েছি
-কেনো?
-তুই দিন দিন যা মোটা হচ্ছিস তাতে তোর তো অবস্থা খারাপ।তোর আর খিচুড়ি খেয়ে কাম নাই।
-এইটা তুমি কি করলা মা?
-এই বেশি ন্যাকামি করিস না তো।
দেখ তোর জন্য কচুর শাক রান্না করেছি।
শিগগিরী খেতে আয়।
বেচারা বল্টু এখন মনের দুঃখে শাক দিয়ে ভাত খাচ্ছে আর ভাবছে,"সত্যিতো আর খিচুড়ি খেতে পারলাম না।স্বপ্নে যাও-বা খাচ্ছিলাম তাও ঘুম থেকে ডেকে তুলে দিলো। যদিওবা আমার বালিশটা অর্ধেক তুলোই শেষ হয়ে যেতে তাও খেতে তো পারতাম!আহারে আমার সাধের খিচুড়ি!!"